ঢাকা ০৬:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

আজ থেকে ফাইজারের টিকাদান শুরু

  • আপডেট সময় : ০১:০৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ; করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আজ সোমবার থেকে দেশে প্রথমবারের মতো ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। রাজধানীর তিনটি কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেয়া হবে।
গতকাল রোববার করোনাবিষয়ক নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা বিতরণ কমিটির সদস্য অধ্যাপক শামসুল হক।
যেসব কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেয়া হবে সেগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।
অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, ইতোমধ্যে কোভ্যাক্স থেকে এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা আমাদের হাতে এসেছে। আমরা এটিকে সংরক্ষণ করেছি। টিকা দেওয়ার জন্য গাইড লাইন এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আমরা আশা করি আগামীকাল (আজ সোমবার) থেকে ফাইজার টিকা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি।
১৮ বছরের ওপরের সবাইকে পর্যায়ক্রমে করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় নিয়ে আসার উদ্দেশ্য সামনে রেখে সরকার গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। কিন্তু টিকার স্বল্পতার কারণে ২৬ এপ্রিল সরকার প্রথম ডোজ টিকাদান বন্ধের ঘোষণা দেয়। এর সপ্তাহখানেক পর একই কারণে সারাদেশের সবগুলো কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সরবরাহে ব্যর্থ হলে, বালাদেশের টিকাদান কর্মসূচিতে প্রভাব পড়ে। চুক্তি অনুযায়ী, সেরাম থেকে ছয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশের তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল। জানুয়ারিতে সেরাম প্রথম দফায় ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করে। যার মধ্যে ওই মাসে মাত্র ২০ লাখ ডোজের একটি চালান ঢাকায় পৌঁছায়। এরপর সেরাম থেকে বাংলাদেশে টিকার আর কোনো চালান আসেনি। উপায় না পেয়ে সরকার অন্য দেশ থেকে টিকা কেনার চিন্তাভাবনা করেন।

গত ১২ মে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে পাঁচ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা দেয় বাংলাদেশ। এরপর উপহারের এই টিকা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দেওয়া শুরু করা হয়। এরপর গত ১৩ জুন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুটি উড়োজাহাজ চীন থেকে আরও ছয় লাখ ডোজ সিনোফার্মার টিকা নিয়ে দেশে আনে। গতকাল থেকে এই টিকাও দেওয়া শুরু হয়। এছাড়া গত ৩১ মে বাংলাদেশে এক লাখ ছয় হাজার ডোজ ফাইজারের টিকা পৌঁছায়। ঢাকার বাইরে এই টিকা নেয়ার সুবিধা পাওয়া সম্ভব না হওয়ায় ঢাকার তিনটি টিকাকেন্দ্রে এগুলো ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আজ থেকে টিকাগুলোর প্রয়োগ শুরু হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আজ থেকে ফাইজারের টিকাদান শুরু

আপডেট সময় : ০১:০৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক ; করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আজ সোমবার থেকে দেশে প্রথমবারের মতো ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। রাজধানীর তিনটি কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেয়া হবে।
গতকাল রোববার করোনাবিষয়ক নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা বিতরণ কমিটির সদস্য অধ্যাপক শামসুল হক।
যেসব কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেয়া হবে সেগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।
অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, ইতোমধ্যে কোভ্যাক্স থেকে এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা আমাদের হাতে এসেছে। আমরা এটিকে সংরক্ষণ করেছি। টিকা দেওয়ার জন্য গাইড লাইন এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আমরা আশা করি আগামীকাল (আজ সোমবার) থেকে ফাইজার টিকা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি।
১৮ বছরের ওপরের সবাইকে পর্যায়ক্রমে করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় নিয়ে আসার উদ্দেশ্য সামনে রেখে সরকার গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। কিন্তু টিকার স্বল্পতার কারণে ২৬ এপ্রিল সরকার প্রথম ডোজ টিকাদান বন্ধের ঘোষণা দেয়। এর সপ্তাহখানেক পর একই কারণে সারাদেশের সবগুলো কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সরবরাহে ব্যর্থ হলে, বালাদেশের টিকাদান কর্মসূচিতে প্রভাব পড়ে। চুক্তি অনুযায়ী, সেরাম থেকে ছয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশের তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল। জানুয়ারিতে সেরাম প্রথম দফায় ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করে। যার মধ্যে ওই মাসে মাত্র ২০ লাখ ডোজের একটি চালান ঢাকায় পৌঁছায়। এরপর সেরাম থেকে বাংলাদেশে টিকার আর কোনো চালান আসেনি। উপায় না পেয়ে সরকার অন্য দেশ থেকে টিকা কেনার চিন্তাভাবনা করেন।

গত ১২ মে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে পাঁচ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা দেয় বাংলাদেশ। এরপর উপহারের এই টিকা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দেওয়া শুরু করা হয়। এরপর গত ১৩ জুন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুটি উড়োজাহাজ চীন থেকে আরও ছয় লাখ ডোজ সিনোফার্মার টিকা নিয়ে দেশে আনে। গতকাল থেকে এই টিকাও দেওয়া শুরু হয়। এছাড়া গত ৩১ মে বাংলাদেশে এক লাখ ছয় হাজার ডোজ ফাইজারের টিকা পৌঁছায়। ঢাকার বাইরে এই টিকা নেয়ার সুবিধা পাওয়া সম্ভব না হওয়ায় ঢাকার তিনটি টিকাকেন্দ্রে এগুলো ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আজ থেকে টিকাগুলোর প্রয়োগ শুরু হবে।