নিজস্ব প্রতিবেদক: বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের ‘সবুজ’ গুচ্ছের আওতায় মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে গাবতলী ও চাষাড়ার মধ্যে (২১ নম্বর রুট) চলাচল শুরু করবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস।
এদিন ৩৫টি বাস দিয়ে এই যাতায়াত শুরু হবে বলে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
ঢাকার আসাদ গেট এলাকায় এই বাসসেবা উদ্বোধন করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
ডিটিসিএ জানিয়েছে, গাবতলী থেকে বাসগুলো ছেড়ে টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, শ্যামলী, কলেজ গেট, আসাদ গেট, ধানমন্ডি ২৭, কলাবাগান, ধানমন্ডি-৪, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, প্রেস ক্লাব, গুলিস্তান, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার, কাজলা, সাইন বোর্ড, জালকুড়ি ও শিবু মার্কেট হয়ে চাষাড়া পর্যন্ত যাবে।
শুরুতে ৩৫টি বাস দিয়ে এ রুট চালু হবে। পরে প্রয়োজনে বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে ডিটিসিএ।
এসব বাস পরিচালনা করবে বোরাক পরিবহন এবং যাত্রী সার্ভিসেস লিমিটেড।
গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে গত বছরের শেষদিকে নতুন করে কোম্পানির আওতায় বাস চালানোর প্রক্রিয়া শুরু করে ডিটিসিএ।
গত ডিসেম্বরে ডিটিসিএ জানায়, ঢাকার সবগুলো পরিবহনের বাস চলবে ৪২টি রুটে। একটি রুটে বাস পরিচালনা করবে একটি কোম্পানি।
৪২টি রুটকে গোলাপী, নীল, লাল, কমলা, সবুজ, বেগুনি, নর্থ, নর্থ ওয়েস্ট এবং সাউথ- এই নয়টি গুচ্ছে ভাগ করা হয়েছে।
ছয়টি রুটের বাস চলবে ঢাকা মহানগরে, তিনটি গুচ্ছের বাস চলবে শহরতলী রুটে। প্রতিটি গুচ্ছে চলাচলকারী বাসের আলাদা রং হবে, একটি গুচ্ছে একাধিক রুট থাকতে পারে।
ঢাকা নগর পরিবহনের রুটে কোম্পানির অধীনে বাস চালাতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আবেদন চাওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত আড়াইশটি আবেদন জমা পড়ে। যাদের সম্মিলিত বাসের সংখ্যা তিন হাজারের বেশি।
২০১৬ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক ফ্রাঞ্চাইজের আওতায় বাস পরিচালনার উদ্যোগ নেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য বাস রুট র্যাশনালাইজেশন কমিটি গঠন করা হয়।
এ কমিটির কাছে রাজধানীতে নয়টি ক্লাস্টারের মাধ্যমে ২২টি কোম্পানির ৪২টি রুটে বাস রুট র্যাশনালাইজেশনের প্রস্তাব দেন বিশেষজ্ঞরা। নয়টি ভিন্ন রংয়ের বাস চালানোর প্রস্তাব সে সময় দিয়েছিল কমিটি।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাচপুর পর্যন্ত চালু হয় নগর পরিবহন। এরপর আরও কয়েকটি রুটে চলে নগর পরিবহনের বাস। এরপর আরও দুটি রুটে বাস চালু হয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়।