ঢাকা ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

আজ তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসছে ইউক্রেন-রাশিয়া

  • আপডেট সময় : ১০:৪৬:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২
  • ১২৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলমান যুদ্ধের মধ্যে আজ সোমবার তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। তবে এবারের বৈঠকটি কোথায় হচ্ছে সে তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। দেশ দুটির মধ্যে প্রথম বৈঠকটি হয় ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে। তৃতীয় দফার বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত কিছু না জানালেও স্থানীয় সময় শনিবার (৫ মার্চ) ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের আলোচক ডেভিড আরাখামিয়া। রাশিয়ার তরফ থেকেও শুধু বলা হয়েছিল সোমবার বৈঠক হতে পারে।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের ওপর হামলা চালালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। হামলা ঠেকাতে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইউক্রেনও। দুপক্ষের লড়াই গড়ালো ১১তম দিনে। এর আগে যুদ্ধের ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বের হতে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের দুই দফা আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি তারা।
এর আগে বেলারুশের গোমেল অঞ্চলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বেলারুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভ্লাদিমির মাকেই। তবে দেশ দুটির মধ্যে প্রথম বৈঠকটি হয় ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে। সেসময় কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই ওই বৈঠক শেষ হয়।
পরে গত বৃহস্পতিবার আবারও বৈঠক হয় দুপক্ষের। উভয়পক্ষ বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ‘মানবিক করিডোর’ নির্মাণে সম্মত হয়। পাশাপাশি একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আগামীতে উভয়পক্ষ আবারও বৈঠকে বসার কথা জানায়। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বেলারুশে বৈঠক শেষে টুইটারে এসব কথা জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক।
এদিকে, ইউক্রেনের পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১২ লাখের মতো মানুষ দেশ ছেড়েছেন। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধে ৪০ লাখ নাগরিক ইউক্রেন ছাড়তে পারে। তবে তাদের আশ্রয় দিতেও ইউরোপ প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে। কিয়েভ ছেড়ে এসব নাগরিক ইউরোপের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও মলদোভায় প্রবেশ করছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

আজ তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসছে ইউক্রেন-রাশিয়া

আপডেট সময় : ১০:৪৬:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলমান যুদ্ধের মধ্যে আজ সোমবার তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। তবে এবারের বৈঠকটি কোথায় হচ্ছে সে তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। দেশ দুটির মধ্যে প্রথম বৈঠকটি হয় ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে। তৃতীয় দফার বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত কিছু না জানালেও স্থানীয় সময় শনিবার (৫ মার্চ) ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের আলোচক ডেভিড আরাখামিয়া। রাশিয়ার তরফ থেকেও শুধু বলা হয়েছিল সোমবার বৈঠক হতে পারে।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের ওপর হামলা চালালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। হামলা ঠেকাতে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইউক্রেনও। দুপক্ষের লড়াই গড়ালো ১১তম দিনে। এর আগে যুদ্ধের ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বের হতে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের দুই দফা আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি তারা।
এর আগে বেলারুশের গোমেল অঞ্চলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বেলারুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভ্লাদিমির মাকেই। তবে দেশ দুটির মধ্যে প্রথম বৈঠকটি হয় ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে। সেসময় কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই ওই বৈঠক শেষ হয়।
পরে গত বৃহস্পতিবার আবারও বৈঠক হয় দুপক্ষের। উভয়পক্ষ বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ‘মানবিক করিডোর’ নির্মাণে সম্মত হয়। পাশাপাশি একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আগামীতে উভয়পক্ষ আবারও বৈঠকে বসার কথা জানায়। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বেলারুশে বৈঠক শেষে টুইটারে এসব কথা জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক।
এদিকে, ইউক্রেনের পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১২ লাখের মতো মানুষ দেশ ছেড়েছেন। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধে ৪০ লাখ নাগরিক ইউক্রেন ছাড়তে পারে। তবে তাদের আশ্রয় দিতেও ইউরোপ প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে। কিয়েভ ছেড়ে এসব নাগরিক ইউরোপের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও মলদোভায় প্রবেশ করছে।