ঢাকা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

আজিমপুর মাতৃসদনের চিকিৎসকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

  • আপডেট সময় : ০১:০৬:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগে আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের (ঘঈঐঞও)- সাতজন চিকিৎসক ও তিনজন ঠিকাদারসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
গতকাল মঙ্গলবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিম্চিত করেছেন সংস্থাটির সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
দুদক সচিব বলেন, ‘আসামিরা একে অপরের সহায়তায় অসৎ উদ্দেশে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মেডিসিন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট টেন্ডারের এর মাধ্যমে কেনাকাটার ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০১৮ লংঘন করে।
সচিব আরও বলেন, কেনাকাটার ক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্য তালিকা মোতাবেক মেডিসিন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মেডিকেল এন্ড সার্কিট এর মূল্য তালিকা মোতাবেক সার্জিক্যাল আইটেম কেনার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন উপেক্ষা করই এই কাজ সম্পন্ন করেন। তিনি বলেন, আসামিরা বর্তমান বাজারদর আমলে না নিয়ে গঠিত বাজার কমিটির প্রথম মনগড়া ও ভিত্তিহীন দরকে বিবেচনায় নিয়ে এমআরপি ওয়েবসাইট এর উত্তরপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে মালামাল ক্রয় করে মোট এক কোটি ২৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৪১ টাকা আত্মসাৎ করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
চার্জশিটে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- মেসার্স মনার্ক এস্টাব্লিশমেন্টের স্বত্বাধিকারী ফাতেনূর ইসলাম, নাফিসা বিজনেস কর্ণার স্বত্বাধিকারী শেখ ইদ্রিস উদ্দিন (চঞ্চল), সান্ত¡না ট্রেডার্সেন স্বত্বাধিকারী নিজামুর রহমান চৌধুরী, আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইসরাত জাহান, প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডা. পারভীন হক চৌধুরী (বর্তমানে অব.), প্রাক্তন জুনিয়র কনসালটেন্ট (অস/গাইনি) মাহফুজা খাতুন (অবসরপ্রাপ্ত), প্রাক্তন সহকারী কো-অর্ডিনেটর (ট্রেনিং এন্ড রিসার্স)ডা. চিন্ময় কান্তি দাস (অবসরপ্রাপ্ত), জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাবেক মেডিকেল অফিসার ও বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. বেগম মাহফুজা দিলারা, ডা. নাজরীনা বেগম ও সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মো. জহিরুল ইসলাম।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আজিমপুর মাতৃসদনের চিকিৎসকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

আপডেট সময় : ০১:০৬:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগে আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের (ঘঈঐঞও)- সাতজন চিকিৎসক ও তিনজন ঠিকাদারসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
গতকাল মঙ্গলবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিম্চিত করেছেন সংস্থাটির সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
দুদক সচিব বলেন, ‘আসামিরা একে অপরের সহায়তায় অসৎ উদ্দেশে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মেডিসিন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট টেন্ডারের এর মাধ্যমে কেনাকাটার ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০১৮ লংঘন করে।
সচিব আরও বলেন, কেনাকাটার ক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্য তালিকা মোতাবেক মেডিসিন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মেডিকেল এন্ড সার্কিট এর মূল্য তালিকা মোতাবেক সার্জিক্যাল আইটেম কেনার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন উপেক্ষা করই এই কাজ সম্পন্ন করেন। তিনি বলেন, আসামিরা বর্তমান বাজারদর আমলে না নিয়ে গঠিত বাজার কমিটির প্রথম মনগড়া ও ভিত্তিহীন দরকে বিবেচনায় নিয়ে এমআরপি ওয়েবসাইট এর উত্তরপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে মালামাল ক্রয় করে মোট এক কোটি ২৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৪১ টাকা আত্মসাৎ করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
চার্জশিটে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- মেসার্স মনার্ক এস্টাব্লিশমেন্টের স্বত্বাধিকারী ফাতেনূর ইসলাম, নাফিসা বিজনেস কর্ণার স্বত্বাধিকারী শেখ ইদ্রিস উদ্দিন (চঞ্চল), সান্ত¡না ট্রেডার্সেন স্বত্বাধিকারী নিজামুর রহমান চৌধুরী, আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইসরাত জাহান, প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডা. পারভীন হক চৌধুরী (বর্তমানে অব.), প্রাক্তন জুনিয়র কনসালটেন্ট (অস/গাইনি) মাহফুজা খাতুন (অবসরপ্রাপ্ত), প্রাক্তন সহকারী কো-অর্ডিনেটর (ট্রেনিং এন্ড রিসার্স)ডা. চিন্ময় কান্তি দাস (অবসরপ্রাপ্ত), জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাবেক মেডিকেল অফিসার ও বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. বেগম মাহফুজা দিলারা, ডা. নাজরীনা বেগম ও সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মো. জহিরুল ইসলাম।