ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

আজকের শিশুরাই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বে

  • আপডেট সময় : ০২:২০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজকের শিশুরাই আগামীতে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে মূল ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ।
গতকাল সোমবার নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন’ আয়োজিত উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আয়োজিত কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি এবং সাংবাদিক ওরিয়েন্টশন সংক্রান্ত এক কর্মশালায় ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কথা বলেন।
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়তে চায়, আজকের শিশুরাই সেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে মূল ভূমিকা পালন করবে। সেজন্য আমাদেরকে একটি সুস্থ-সবল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে এবং তাদের শারীরিক প্রতিরোধ সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। আর শিশুদের সুস্থতার জন্য যেসব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা রয়েছে তার মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো অন্যতম।’
তিনি বলেন, ‘চলমান কোভিড-১৯ মহামারির ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের নগর মাতৃসদন, বিভিন্ন হাসপাতাল, ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়, সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র ইত্যাদিতে কিছুটা স্বল্প পরিসরে এই টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তাই যেসব শিশুদেরকে লক্ষ্য করে এই টিকাদান কার্যক্রম, তাদের অভিভাবকরা যাতে নির্দিষ্ট কেন্দ্র এবং স্থানে গিয়ে এই টিকা গ্রহণ করেন, সেজন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে আমি সাংবাদিকদের আহ্বান জানাই।’
সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই কর্মসূচি শেষ করার অনুরোধ জানিয়ে ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এটি একটি জাতীয় কর্মসূচি। যেকোনো ক্ষেত্রেই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্যাপসুল শুধুমাত্র অন্ধত্ব দূর করে এমন নয়। এটি শিশুদের পুষ্টি ঘাটতিও পূরণ করে। তাই এই ক্যাম্পেইনের গুরুত্ব অনেক।
আগামী ৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনব্যাপী ডিএসসিসি এলাকায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলবে। ডিএসসিসি এলাকার ৬-১১ মাস বয়সী ৫৫ হাজার ৪৯ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ জন শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে কর্মশালায় জানানো হয়।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ডিএসসিসি এলাকায় এক হাজার ৪৮৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে দুই হাজার ৯৭৪ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ১১২ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা, জাতীয় পুষ্টি সেবার (এনএনএস) লাইন ডাইরেক্টরের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের শিশুরাই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বে

আপডেট সময় : ০২:২০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজকের শিশুরাই আগামীতে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে মূল ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ।
গতকাল সোমবার নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন’ আয়োজিত উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আয়োজিত কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি এবং সাংবাদিক ওরিয়েন্টশন সংক্রান্ত এক কর্মশালায় ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কথা বলেন।
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়তে চায়, আজকের শিশুরাই সেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে মূল ভূমিকা পালন করবে। সেজন্য আমাদেরকে একটি সুস্থ-সবল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে এবং তাদের শারীরিক প্রতিরোধ সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। আর শিশুদের সুস্থতার জন্য যেসব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা রয়েছে তার মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো অন্যতম।’
তিনি বলেন, ‘চলমান কোভিড-১৯ মহামারির ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের নগর মাতৃসদন, বিভিন্ন হাসপাতাল, ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়, সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র ইত্যাদিতে কিছুটা স্বল্প পরিসরে এই টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তাই যেসব শিশুদেরকে লক্ষ্য করে এই টিকাদান কার্যক্রম, তাদের অভিভাবকরা যাতে নির্দিষ্ট কেন্দ্র এবং স্থানে গিয়ে এই টিকা গ্রহণ করেন, সেজন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে আমি সাংবাদিকদের আহ্বান জানাই।’
সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই কর্মসূচি শেষ করার অনুরোধ জানিয়ে ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এটি একটি জাতীয় কর্মসূচি। যেকোনো ক্ষেত্রেই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্যাপসুল শুধুমাত্র অন্ধত্ব দূর করে এমন নয়। এটি শিশুদের পুষ্টি ঘাটতিও পূরণ করে। তাই এই ক্যাম্পেইনের গুরুত্ব অনেক।
আগামী ৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনব্যাপী ডিএসসিসি এলাকায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলবে। ডিএসসিসি এলাকার ৬-১১ মাস বয়সী ৫৫ হাজার ৪৯ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ জন শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে কর্মশালায় জানানো হয়।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ডিএসসিসি এলাকায় এক হাজার ৪৮৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে দুই হাজার ৯৭৪ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ১১২ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা, জাতীয় পুষ্টি সেবার (এনএনএস) লাইন ডাইরেক্টরের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।