ঢাকা ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক

  • আপডেট সময় : ০২:৫৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন। বাঁশখালীর নির্বাচনি কর্মকর্তা মুহাম্মদ হারুন মোল্লা মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। চট্টগ্রামের জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধির ৮(খ) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। মামলাটি গ্রহণ করে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আচরণ বিধিমালার ৮ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, “কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল বা শোডাউন করিতে পারিবে না।” গত সোমবার নির্বাচন কমিশন মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার নির্দেশনা দেয়।

সেদিন ইসির আইন শাখার উপসচিব মো. আব্দুছ ছালাম স্বাক্ষরিক চিঠিতে বলা হয়, “মোস্তাফিজুর রহমান ৩০ নভেম্বর ব্যাপক শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমার সময় তার সঙ্গীদের নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রশ্ন করলে সাংবাদিকদকে গালিগালাজ ও মারধর করে মাটিতে ফেলে দেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।” পরে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি মোস্তাফিজুর রহমানের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দেয়। সেখানে বলা হয়, মোস্তাফিজুর রহমান বেশি লোকজন নিয়ে এসে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে সাংবাদিককে ‘মারধর ও হুমকির’ বিষয়টি অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়নি।
সে কারণে মামলায় সাংবাদিকদের মারধরের অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি জানিয়ে বাদী হারুন মোল্লা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই মামলা করেছেন তিনি। সেদিনের ঘটনার সূত্রপাত চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কার্যালয়ে। চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান যখন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দিচ্ছিলেন, তার সঙ্গে ঢুকে পড়েন ১৪-১৫ জন নেতাকর্মী।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের হন তারা। এসময় ইনডিপেনডেন্ট টিভির সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন প্রশ্ন করেন, “আপনি কি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন?” প্রশ্ন শুনে সঙ্গে সঙ্গে রেগে যান মোস্তাফিজুর রহমান, গালি দিয়ে ওই সাংবাদিককে হাত দিয়ে ধাক্কা দেন এবং হুমকি দিতে থাকেন। তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা এসময় অন্য সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। পরে এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর লিখিত ব্যাখ্যা চান এ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান। সে অনুযায়ী প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দেন মোস্তাফিজুর রহমান। অভিযোগ ও সংসদ সদস্যের বক্তব্য যাচাই বাছাই করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি যে প্রতিবেদন দেন, সেখানে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, “সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন তার জবানবন্দিতে কিল ঘুষি মারা, ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করলেও তার ওই জবানবন্দি অপরাপর সাক্ষীর সাক্ষ্য দ্বারা সমর্থিত নয়।

“এছাড়া ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, অভিযোগকারী, ভিকটিম ও অপরাপর সাক্ষী তাদের সাক্ষ্যে ঘটনার যে বিবরণ দিয়েছেন, তার সাথে ভিডিও ফুটেজ ভিন্ন বলে প্রতীয়মান হয়। ঘটনাস্থলে একটি ট্রাইপডসহ ক্যামরা পড়ে গিয়েছে মর্মে দেখা গেলেও তা ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘটিত কোনো ঘটনা নয়।
“এক্ষেত্রে অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান কতৃক সাংবাদিক রাকিব উদ্দিনকে কিল-ঘুষি মারার, ক্যামরা ভাংচুর করার ও হুমকি প্রদান করার বিষয়ে অভিযোগকারীর আনিত অভিযোগ অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয় নাই।”
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, “তবে সম্পূর্ণ ঘটনা পরিক্রমা বিশ্লেষণ করে এই কমিটির নিকট প্রতিভাত হয়েছে যে, অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ধৈর্য্য ও পরিপক্কতার সাথে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
“তার ফলে ৩০ নভেম্বের বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তথা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের সামনে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। এক্ষেত্রে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা যেতে পারে।”

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, “অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ৩০ নভেম্বর ২৩-২৪ জন কর্মী সমর্থক নিয়ে শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে এসেছিলেন মর্মে ভিডিও ফুটেজ ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দৃশ্যমান হয়েছে।
“কিন্তু এ বিষয় সংক্রান্তে অভিযুক্তপক্ষ সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা কমিটির সামনে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ৮ (খ) লঙ্ঘন করেছেন মর্মে কমিটির অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়েছে বিধায় তার বিরুদ্ধে উক্ত বিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।”
মামলার বাদী বাঁশখালির নির্বাচনী কর্মকর্তা হারুন মোল্লা বলেন, “আচরণ বিধিমালা অনুসারে ৫ জনের বেশি লোক নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া যায় না। বিধির ৮ (খ) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। “নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। তাই সে অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এর সর্বোচ্চ শাস্তি ৬ মাসের কারাদ- বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।”

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক

আপডেট সময় : ০২:৫৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন। বাঁশখালীর নির্বাচনি কর্মকর্তা মুহাম্মদ হারুন মোল্লা মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। চট্টগ্রামের জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধির ৮(খ) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। মামলাটি গ্রহণ করে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আচরণ বিধিমালার ৮ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, “কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল বা শোডাউন করিতে পারিবে না।” গত সোমবার নির্বাচন কমিশন মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার নির্দেশনা দেয়।

সেদিন ইসির আইন শাখার উপসচিব মো. আব্দুছ ছালাম স্বাক্ষরিক চিঠিতে বলা হয়, “মোস্তাফিজুর রহমান ৩০ নভেম্বর ব্যাপক শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমার সময় তার সঙ্গীদের নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রশ্ন করলে সাংবাদিকদকে গালিগালাজ ও মারধর করে মাটিতে ফেলে দেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।” পরে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি মোস্তাফিজুর রহমানের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দেয়। সেখানে বলা হয়, মোস্তাফিজুর রহমান বেশি লোকজন নিয়ে এসে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে সাংবাদিককে ‘মারধর ও হুমকির’ বিষয়টি অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়নি।
সে কারণে মামলায় সাংবাদিকদের মারধরের অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি জানিয়ে বাদী হারুন মোল্লা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই মামলা করেছেন তিনি। সেদিনের ঘটনার সূত্রপাত চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কার্যালয়ে। চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান যখন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দিচ্ছিলেন, তার সঙ্গে ঢুকে পড়েন ১৪-১৫ জন নেতাকর্মী।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের হন তারা। এসময় ইনডিপেনডেন্ট টিভির সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন প্রশ্ন করেন, “আপনি কি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন?” প্রশ্ন শুনে সঙ্গে সঙ্গে রেগে যান মোস্তাফিজুর রহমান, গালি দিয়ে ওই সাংবাদিককে হাত দিয়ে ধাক্কা দেন এবং হুমকি দিতে থাকেন। তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা এসময় অন্য সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। পরে এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর লিখিত ব্যাখ্যা চান এ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান। সে অনুযায়ী প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দেন মোস্তাফিজুর রহমান। অভিযোগ ও সংসদ সদস্যের বক্তব্য যাচাই বাছাই করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি যে প্রতিবেদন দেন, সেখানে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, “সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন তার জবানবন্দিতে কিল ঘুষি মারা, ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করলেও তার ওই জবানবন্দি অপরাপর সাক্ষীর সাক্ষ্য দ্বারা সমর্থিত নয়।

“এছাড়া ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, অভিযোগকারী, ভিকটিম ও অপরাপর সাক্ষী তাদের সাক্ষ্যে ঘটনার যে বিবরণ দিয়েছেন, তার সাথে ভিডিও ফুটেজ ভিন্ন বলে প্রতীয়মান হয়। ঘটনাস্থলে একটি ট্রাইপডসহ ক্যামরা পড়ে গিয়েছে মর্মে দেখা গেলেও তা ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘটিত কোনো ঘটনা নয়।
“এক্ষেত্রে অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান কতৃক সাংবাদিক রাকিব উদ্দিনকে কিল-ঘুষি মারার, ক্যামরা ভাংচুর করার ও হুমকি প্রদান করার বিষয়ে অভিযোগকারীর আনিত অভিযোগ অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয় নাই।”
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, “তবে সম্পূর্ণ ঘটনা পরিক্রমা বিশ্লেষণ করে এই কমিটির নিকট প্রতিভাত হয়েছে যে, অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ধৈর্য্য ও পরিপক্কতার সাথে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
“তার ফলে ৩০ নভেম্বের বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তথা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের সামনে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। এক্ষেত্রে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা যেতে পারে।”

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, “অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ৩০ নভেম্বর ২৩-২৪ জন কর্মী সমর্থক নিয়ে শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে এসেছিলেন মর্মে ভিডিও ফুটেজ ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দৃশ্যমান হয়েছে।
“কিন্তু এ বিষয় সংক্রান্তে অভিযুক্তপক্ষ সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা কমিটির সামনে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ৮ (খ) লঙ্ঘন করেছেন মর্মে কমিটির অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়েছে বিধায় তার বিরুদ্ধে উক্ত বিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।”
মামলার বাদী বাঁশখালির নির্বাচনী কর্মকর্তা হারুন মোল্লা বলেন, “আচরণ বিধিমালা অনুসারে ৫ জনের বেশি লোক নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া যায় না। বিধির ৮ (খ) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। “নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। তাই সে অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এর সর্বোচ্চ শাস্তি ৬ মাসের কারাদ- বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।”