নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন বা অন্য যে কোনো সংস্কারে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হলে জনগণের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ‘রোড টু ইলেকশন’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নির্দলীয় ব্যক্তিদের দ্বারা নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে জানিয়ে করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক বিকাশ ধরে রাখতে হলে অবাধ-সুষ্ঠু নিবার্চন করতে হবে। যারা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন, তারা কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারবেন না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে, তবে তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনের গ্যারান্টির ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পেরেছেন। কিন্তু বাংলাদেশে এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষায় অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে স্থানীয় নির্বাচন করা সরকারি দলের দায়িত্ব। নির্বাচন আয়োজনে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংবিধান প্রদত্ত আইন কাজে লাগিয়ে শক্তিশালী উঠতে হবে।’ নিরপেক্ষ নিবার্চনের জন্য কমিশনকে স্বাধীনতা দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
হাসিনার পতন না হলে আমাদের প্রত্যেকের ফাঁসি হতো: ক্ষমতার জন্য কে মরল কে বাঁচলো তা শেখ হাসিনার কাছে কিছুই না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, যে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য চার বছরের শিশুকে হত্যা করতে পারে, তিনি আমাদেরও ফাঁসি দিতে পারবেন। ক্ষমতা বাঁচিয়ে রাখার জন্য কে মরল কে বাঁচলো শেখ হাসিনার কাছে তা কোনো ব্যাপার নয়। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৫ আগস্ট যদি শেখ হাসিনার পতন না হতো, তাহলে আমরা যারা এখানে আছি আমাদের প্রত্যেকের ফাঁসি হতো।
তিনি আরও বলেন, আমরা ছাত্র-জনতার তাজা প্রাণের বিনিময়ে একটি মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। আজ যদি ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট হাসিনার পালিত পুলিশের বুলেটের সামনে বুক পেতে না দিতো তাহলে এই দেশে স্বাধীনতার মুখ দেখা হতো না। এখন বাংলাদেশের মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে জীবনযাপন করতে পারছে।
দেশের মানুষ দীর্ঘ ১৭ বছর গণতন্ত্র বঞ্চিত হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এই স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপি ১৭ বছর শেখ হাসিনার ভয়াবহ নিপীড়ন-নির্যাতনের মধ্যে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চার অভ্যাস করতে হবে।
এসময় কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার, সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সী, মেঘনা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. ওয়াদুদ মুন্সীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।