ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫

আগামী বছর থেকে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসা করা যাবে না: এনবিআর চেয়ারম্যান

  • আপডেট সময় : ০৫:২৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান বলেছেন, আগামী বছর এমন একটি নতুন মেকানিজম চালু করা হবে, যার ফলে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানই ব্যবসা করতে পারবে না।

আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ লাখ প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত ভ্যাট পেয়ার রয়েছে মাত্র ৬ লাখ ৪৪ হাজার, যা মোট ব্যবসার সঙ্গে কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ভ্যাট নেট এখনো খুবই ছোট এবং প্রচুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছে। চলতি মাসেই এক লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

আবদুর রহমান বলেন, চলতি মাসের মধ্যে এক লাখ নতুন নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান বাড়বে। সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা, সেটা হচ্ছে আমাদের ভ্যাট পেমেন্ট যারা করে, যাদের হাত দিয়ে ভ্যাট পেমেন্ট হয়—বিশেষ করে ব্যবসায়ীগণ—তাদের যে ভ্যাট নেট, এই ভ্যাট নেটটা যথেষ্ট ছোট।

তিনি বলেন, এখন অ্যারাউন্ড ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার রেজিস্টার্ড ভ্যাট পেয়ার আছে। যেটা বাংলাদেশের ওভারঅল যে বিভিন্ন রকমের জরিপ আমাদের আছে, ব্যবসা-বাণিজ্যের যে সংখ্যা আছে, তার সাথে কোনভাবেই সংগতিপূর্ণ নয়।

আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানো হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রের স্বার্থ সবার ওপরে। সবাই একসঙ্গে মিলে যদি চিন্তা করি যে এই কাজটি রাষ্ট্রের স্বার্থে প্রয়োজন। তাহলে সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে যেটা যৌক্তিক, সেটা করার জন্য প্রস্তুত আছি। অবশ্যই এটা রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত। এনবিআরের এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও নেই।

কর অব্যাহতি পলিসি নেওয়া হয়েছে; এর ফলে এনবিআরের হাতে এখন আর কর অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতাও নেই, যোগ করেন তিনি।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন এটা সরকার জনস্বার্থে যদি প্রয়োজন মনে করে তাও এটা দিতে পারবে অল্প সময়ের জন্য। পরবর্তী সংসদ বসা পর্যন্ত। পরবর্তী সংসদ বসে সিদ্ধান্ত নেবে কী করবে। আমরা যদি মনে করি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এটা প্রয়োজন এবং আমাদের রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা যদি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন আমরা পজিটিভ।

এসি/আপ্র/০৯/১২/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বর্তমানে সবচেয়ে ক্ষমতাধর রণতরী জেরাল্ড আর ফোর্ড

আগামী বছর থেকে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসা করা যাবে না: এনবিআর চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ০৫:২৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান বলেছেন, আগামী বছর এমন একটি নতুন মেকানিজম চালু করা হবে, যার ফলে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানই ব্যবসা করতে পারবে না।

আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ লাখ প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত ভ্যাট পেয়ার রয়েছে মাত্র ৬ লাখ ৪৪ হাজার, যা মোট ব্যবসার সঙ্গে কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ভ্যাট নেট এখনো খুবই ছোট এবং প্রচুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছে। চলতি মাসেই এক লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

আবদুর রহমান বলেন, চলতি মাসের মধ্যে এক লাখ নতুন নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান বাড়বে। সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা, সেটা হচ্ছে আমাদের ভ্যাট পেমেন্ট যারা করে, যাদের হাত দিয়ে ভ্যাট পেমেন্ট হয়—বিশেষ করে ব্যবসায়ীগণ—তাদের যে ভ্যাট নেট, এই ভ্যাট নেটটা যথেষ্ট ছোট।

তিনি বলেন, এখন অ্যারাউন্ড ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার রেজিস্টার্ড ভ্যাট পেয়ার আছে। যেটা বাংলাদেশের ওভারঅল যে বিভিন্ন রকমের জরিপ আমাদের আছে, ব্যবসা-বাণিজ্যের যে সংখ্যা আছে, তার সাথে কোনভাবেই সংগতিপূর্ণ নয়।

আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানো হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রের স্বার্থ সবার ওপরে। সবাই একসঙ্গে মিলে যদি চিন্তা করি যে এই কাজটি রাষ্ট্রের স্বার্থে প্রয়োজন। তাহলে সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে যেটা যৌক্তিক, সেটা করার জন্য প্রস্তুত আছি। অবশ্যই এটা রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত। এনবিআরের এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও নেই।

কর অব্যাহতি পলিসি নেওয়া হয়েছে; এর ফলে এনবিআরের হাতে এখন আর কর অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতাও নেই, যোগ করেন তিনি।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন এটা সরকার জনস্বার্থে যদি প্রয়োজন মনে করে তাও এটা দিতে পারবে অল্প সময়ের জন্য। পরবর্তী সংসদ বসা পর্যন্ত। পরবর্তী সংসদ বসে সিদ্ধান্ত নেবে কী করবে। আমরা যদি মনে করি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এটা প্রয়োজন এবং আমাদের রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা যদি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন আমরা পজিটিভ।

এসি/আপ্র/০৯/১২/২০২৫