ঢাকা ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণে বাধা নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল

  • আপডেট সময় : ০৭:১৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

শুক্রবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান- ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেসব ‘মিথ্যা’ এবং ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা হয়েছিল সেগুলো ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে; তাই আগামী নির্বাচনে তার অংশগ্রহণে আইনগত বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে এফডিসিতে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘ছায়া সংসদ’ এ তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য দিয়েছে।

প্রায় দেড় যুগ ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুটি দুর্নীতি মামলা সাজা পেয়ে কারাগারে ছিলেন। কোভিড মহামারীর সময় সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরো বেশ কয়েকটি মামলা হয় সে সময়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এলে খালেদা জিয়ার মামলাগুলো নিষ্পত্তি হতে শুরু করে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা রয়েছে।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায়ে দণ্ডিত হলে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। শেখ হাসিনার নির্মম পরিণামের পরে তার পাশে দলের কেউ দাঁড়াতে সাহস পাচ্ছে না।

অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ মূখ্য নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আওয়ামী লীগের টানা দেড় দশকের শাসনের অবসান ঘটে। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যান। ধরে পড়েন বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও দলের নেতাকর্মী। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। যারা দেশ ছেড়েছেন বা আত্মগোপনে আছেন তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে আসাদুজ্জামান বলেন, যারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধংস করেছিল, সংবিধান কেটে-ছিঁড়ে মানুষের অধিকারকে ভূলন্ঠিত করেছে, তারা ইতিহাসের খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়ে তারা বিচারের মাধ্যমে কারাগারে যাবে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে চিরদিন ক্ষমতায় রাখার অসৎ উদ্দেশ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার রায় জালিয়াতির দায়ে খায়রুল হকের গ্রেফতার ও বিচার সময়ের দাবি। এদেশে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল পতিত আওয়ামী সরকার। আমি–ডামি, একতরফা ও মধ্যরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, পুলিশ, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের সাথে যুক্ত প্রায় সবাই জাল জালিয়াতির অপরাধে অপরাধী ছিল। যারা এসব নির্বাচনী অপরাধ করেছে তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতীতের নির্বাচনী অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হলে ভবিষ্যৎ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করা যাবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হযন।

প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক একরামুল হক সায়েম, সাংবাদিক সাইদুর রহমান ও সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মিশন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিয়ম না মেনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ১৫ গাড়িচালকের নামে ঝিলমিলে প্লট বরাদ্দ

আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণে বাধা নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল

আপডেট সময় : ০৭:১৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেসব ‘মিথ্যা’ এবং ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা হয়েছিল সেগুলো ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে; তাই আগামী নির্বাচনে তার অংশগ্রহণে আইনগত বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে এফডিসিতে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘ছায়া সংসদ’ এ তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য দিয়েছে।

প্রায় দেড় যুগ ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুটি দুর্নীতি মামলা সাজা পেয়ে কারাগারে ছিলেন। কোভিড মহামারীর সময় সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরো বেশ কয়েকটি মামলা হয় সে সময়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এলে খালেদা জিয়ার মামলাগুলো নিষ্পত্তি হতে শুরু করে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা রয়েছে।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায়ে দণ্ডিত হলে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। শেখ হাসিনার নির্মম পরিণামের পরে তার পাশে দলের কেউ দাঁড়াতে সাহস পাচ্ছে না।

অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ মূখ্য নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আওয়ামী লীগের টানা দেড় দশকের শাসনের অবসান ঘটে। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যান। ধরে পড়েন বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও দলের নেতাকর্মী। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। যারা দেশ ছেড়েছেন বা আত্মগোপনে আছেন তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে আসাদুজ্জামান বলেন, যারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধংস করেছিল, সংবিধান কেটে-ছিঁড়ে মানুষের অধিকারকে ভূলন্ঠিত করেছে, তারা ইতিহাসের খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়ে তারা বিচারের মাধ্যমে কারাগারে যাবে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে চিরদিন ক্ষমতায় রাখার অসৎ উদ্দেশ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার রায় জালিয়াতির দায়ে খায়রুল হকের গ্রেফতার ও বিচার সময়ের দাবি। এদেশে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল পতিত আওয়ামী সরকার। আমি–ডামি, একতরফা ও মধ্যরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, পুলিশ, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের সাথে যুক্ত প্রায় সবাই জাল জালিয়াতির অপরাধে অপরাধী ছিল। যারা এসব নির্বাচনী অপরাধ করেছে তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতীতের নির্বাচনী অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হলে ভবিষ্যৎ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করা যাবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হযন।

প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক একরামুল হক সায়েম, সাংবাদিক সাইদুর রহমান ও সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মিশন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।