ঢাকা ০২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

আকাশচুম্বী দামের প্রভাবে কমছে ভারতের তুলা রফতানি

  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক : ভারতে তুলার দাম লাফিয়ে বাড়ছে। অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে চলতি বিপণন মৌসুমে পণ্যটির রফতানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বাণিজ্যসংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, চলতি বছরের অক্টোবরে ভারতে তুলার নতুন বিপণন মৌসুম শুরু হয়েছে। মৌসুমের প্রথম দিন থেকেই রফতানিতে শ্লথগতি দেখা দেয়। মৌসুমের (অক্টোবর-নভেম্বর) প্রথম দুই মাসে ভারতের তুলা রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪২ শতাংশ কমেছে।
কটন অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (সিএআই) প্রাক্কলন অনুযায়ী, অক্টেবর ও নভেম্বরে ভারত সব মিলিয়ে সাত লাখ বেল (প্রতি বেলে ১৭০ কেজি) তুলা রফতানি করেছে। গত মৌসুমের একই সময় রফতানির পরিমাণ ছিল ১২ লাখ বেল।
সিএআইর প্রেসিডেন্ট অতুল গানাত্রা বলেন, চলতি মৌসুমে ৪৮ লাখ বেল তুলা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ভারতের। কিন্তু পণ্যটির দামে এমন ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত থাকলে আমরা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব না। এক্ষেত্রে আমরা হয়তো ৩৫-৪০ লাখ বেল তুলা রফতানি করতে সক্ষম হব, যা গত মৌসুমের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম। ওই সময় ৭৮ লাখ বেল তুলা রফতানি করেছিল ভারত।
বাজার পর্যবেক্ষকরা জানান, ভারতের বাজারে এমনিতেই তুলার দাম ঊর্ধ্বমুখী। তার ওপর চাষীরা দাম আরো বাড়ার আশায় উৎপাদিত তুলা বাজারে সরবরাহ করছেন না। এ কারণে পণ্যটির বাজারদর আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে। বর্তমানে আইসিই ফিউচারস এক্সচেঞ্জে আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ প্রতি পাউন্ড তুলা ১০৬ সেন্টে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সেখানে ভারতীয় তুলা বিক্রি হচ্ছে পাউন্ডপ্রতি ১২০ সেন্টে, যা বিদেশী ক্রেতাদের জন্য পণ্যটিকে ব্যয়বহুল করে তুলেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আকাশচুম্বী দামের প্রভাবে কমছে ভারতের তুলা রফতানি

আপডেট সময় : ১২:৪৫:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১

অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক : ভারতে তুলার দাম লাফিয়ে বাড়ছে। অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে চলতি বিপণন মৌসুমে পণ্যটির রফতানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বাণিজ্যসংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, চলতি বছরের অক্টোবরে ভারতে তুলার নতুন বিপণন মৌসুম শুরু হয়েছে। মৌসুমের প্রথম দিন থেকেই রফতানিতে শ্লথগতি দেখা দেয়। মৌসুমের (অক্টোবর-নভেম্বর) প্রথম দুই মাসে ভারতের তুলা রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪২ শতাংশ কমেছে।
কটন অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (সিএআই) প্রাক্কলন অনুযায়ী, অক্টেবর ও নভেম্বরে ভারত সব মিলিয়ে সাত লাখ বেল (প্রতি বেলে ১৭০ কেজি) তুলা রফতানি করেছে। গত মৌসুমের একই সময় রফতানির পরিমাণ ছিল ১২ লাখ বেল।
সিএআইর প্রেসিডেন্ট অতুল গানাত্রা বলেন, চলতি মৌসুমে ৪৮ লাখ বেল তুলা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ভারতের। কিন্তু পণ্যটির দামে এমন ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত থাকলে আমরা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব না। এক্ষেত্রে আমরা হয়তো ৩৫-৪০ লাখ বেল তুলা রফতানি করতে সক্ষম হব, যা গত মৌসুমের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম। ওই সময় ৭৮ লাখ বেল তুলা রফতানি করেছিল ভারত।
বাজার পর্যবেক্ষকরা জানান, ভারতের বাজারে এমনিতেই তুলার দাম ঊর্ধ্বমুখী। তার ওপর চাষীরা দাম আরো বাড়ার আশায় উৎপাদিত তুলা বাজারে সরবরাহ করছেন না। এ কারণে পণ্যটির বাজারদর আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে। বর্তমানে আইসিই ফিউচারস এক্সচেঞ্জে আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ প্রতি পাউন্ড তুলা ১০৬ সেন্টে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সেখানে ভারতীয় তুলা বিক্রি হচ্ছে পাউন্ডপ্রতি ১২০ সেন্টে, যা বিদেশী ক্রেতাদের জন্য পণ্যটিকে ব্যয়বহুল করে তুলেছে।