ঢাকা ০৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

আওয়ামী লীগ কখনই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে না: কাদের

  • আপডেট সময় : ০২:৩০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরতন্ত্র মুক্ত বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখন সুপ্রতিষ্ঠিত দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ কারণে বর্তমান সরকার কখনই নির্বাচন কমিশনের উপর প্রভাব বিস্তার করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।
গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। সুতরাং নির্বাচন পরিচালনার কাজে সরকারের পক্ষ থেকে কখনই নির্বাচন কমিশনের উপর প্রভাব বিস্তার করা হয়নি, হবেও না।
“বরং সরকার সর্বদাই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করে থাকে।” আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরে বিবৃতিটি সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বিএনপির শাসনামলে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচন কমিশনকে যথেচ্ছাভাবে ব্যবহার করা হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করতে মাগুরা ও মিরপুর উপনির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপির অভূতপূর্ব ঘটনার জন্ম দেয় বিএনপি।
“গণবিরোধী অবস্থান নিয়ে অগণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে বিএনপি ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন যে নির্বাচন করেছিল, তা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে সমুজ্জ্বল স্মৃতির পাতায় একটি কালো অধ্যায় হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছে।”

তিনি মনে করেন, স্বৈরতন্ত্রের নীতিতে পুষ্ট বিএনপির গণতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রতি এক ধরনের অশ্রদ্ধা ও অবজ্ঞা রয়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল ও ক্ষমতাসীন হয়ে জোর জবরদস্তি করে টিকে থাকা যাদের রাজনৈতিক কৌশল তারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হবে এটাই স্বাভাবিক।

বিবৃতিতে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরতন্ত্রের নাগপাশ থেকে মুক্ত বাংলাদেশ আজ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সুপ্রতিষ্ঠিত। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দল সর্বোপরি সকল স্তরের জনগণের পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

নির্বাচন কমিশন দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের মধ্য থেকেই নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে এবং নির্বাচনের সময় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকে বলেও জানান তিনি।

কাদের বলেন, “কোনো দল বা সরকার নির্বাচন পরিচালনা করে না, নির্বাচনকালীন সরকার শুধু তাদের রুটিন ওয়ার্ক করে থাকে।”

বিবৃতিতে তিনি বিএনপি মহাসচিবের নির্বাচন কমিশন ও সার্চ কমিটি নিয়ে লাগাতার বিষোদগারের প্রতিবাদও জানান।

আওয়ামী লীগের অধীনে দেশে কোনো সুষ্ঠু ভোট হতে পারে না, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, “জনমনে ধোয়াশা সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ও মনগড়া মন্তব্য করে যাচ্ছেন।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “একটি দেশবিরোধী চিহ্নিত রাজনৈতিক শক্তি যখন লাগাতার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকে তখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।“

তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল দেশপ্রেমিক জনগণকে পাকিস্তানি ভাবধারার এ প্রেতাত্মা থেকে দূরে থাকারও আহবান জানান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

আওয়ামী লীগ কখনই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে না: কাদের

আপডেট সময় : ০২:৩০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরতন্ত্র মুক্ত বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখন সুপ্রতিষ্ঠিত দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ কারণে বর্তমান সরকার কখনই নির্বাচন কমিশনের উপর প্রভাব বিস্তার করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।
গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। সুতরাং নির্বাচন পরিচালনার কাজে সরকারের পক্ষ থেকে কখনই নির্বাচন কমিশনের উপর প্রভাব বিস্তার করা হয়নি, হবেও না।
“বরং সরকার সর্বদাই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করে থাকে।” আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরে বিবৃতিটি সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বিএনপির শাসনামলে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচন কমিশনকে যথেচ্ছাভাবে ব্যবহার করা হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করতে মাগুরা ও মিরপুর উপনির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপির অভূতপূর্ব ঘটনার জন্ম দেয় বিএনপি।
“গণবিরোধী অবস্থান নিয়ে অগণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে বিএনপি ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন যে নির্বাচন করেছিল, তা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে সমুজ্জ্বল স্মৃতির পাতায় একটি কালো অধ্যায় হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছে।”

তিনি মনে করেন, স্বৈরতন্ত্রের নীতিতে পুষ্ট বিএনপির গণতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রতি এক ধরনের অশ্রদ্ধা ও অবজ্ঞা রয়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল ও ক্ষমতাসীন হয়ে জোর জবরদস্তি করে টিকে থাকা যাদের রাজনৈতিক কৌশল তারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হবে এটাই স্বাভাবিক।

বিবৃতিতে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরতন্ত্রের নাগপাশ থেকে মুক্ত বাংলাদেশ আজ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সুপ্রতিষ্ঠিত। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দল সর্বোপরি সকল স্তরের জনগণের পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

নির্বাচন কমিশন দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের মধ্য থেকেই নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে এবং নির্বাচনের সময় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকে বলেও জানান তিনি।

কাদের বলেন, “কোনো দল বা সরকার নির্বাচন পরিচালনা করে না, নির্বাচনকালীন সরকার শুধু তাদের রুটিন ওয়ার্ক করে থাকে।”

বিবৃতিতে তিনি বিএনপি মহাসচিবের নির্বাচন কমিশন ও সার্চ কমিটি নিয়ে লাগাতার বিষোদগারের প্রতিবাদও জানান।

আওয়ামী লীগের অধীনে দেশে কোনো সুষ্ঠু ভোট হতে পারে না, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, “জনমনে ধোয়াশা সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ও মনগড়া মন্তব্য করে যাচ্ছেন।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “একটি দেশবিরোধী চিহ্নিত রাজনৈতিক শক্তি যখন লাগাতার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকে তখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।“

তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল দেশপ্রেমিক জনগণকে পাকিস্তানি ভাবধারার এ প্রেতাত্মা থেকে দূরে থাকারও আহবান জানান।