ঢাকা ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

আওয়ামী লীগ রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় : ফখরুল

  • আপডেট সময় : ০২:২২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩
  • ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা এখানে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠাতা করতে চায়।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক কাঠামো’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নয়, তারা অসংখ্য আইন তৈরি করে সুযোগ নিচ্ছে যাতে নাগরিকরা কথা বলতে ভয় পায়। যেটুকু মনে পড়ে- ১৯৮৪ নামে একটা সিনেমা আছে, সেটি নর্থ কোরিয়ার যেভাবে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। কীভাবে নাগরিকদের ভয় দেখিয়ে মস্তিষ্কের দিক দিয়ে কীভাবে দাস করে রাখা যায় বাংলাদেশে তার প্রতিচ্ছবি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, আপনারা দেখবেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অনেককে মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক সাংবাদিকের নামে এখনো মামলা আছে। কাজলকে (সাংবাদিক) গুম করে রাখা হলো, কীভাবে তার ওপর অত্যাচার করা হয়েছে তা তিনি নিজেই বর্ণনা করেছেন। তাদের একটাই লক্ষ্য, নাগরিকরা যেন নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করতে না পারে ও কথা বলতে না পারে। এর কারণ হলো যাতে তারা তাদের মতো করে এখানে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এখন একটি মাত্র পথ… এদেরকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। এই সরকারকে অবৈধ দাবি করে তিনি আরও বলেন, এরা একটি দখলদার সরকার হিসেবে পুরোপুরি ভূমিকা রাখছে। আজকে বাংলাদেশকে এরা যে পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে, সেটা কিন্তু অত্যন্ত ভয়াবহ। যে জাতি গণতন্ত্রকে ভালোবাসে, তাদেরকে একটা সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাদের সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে পরিচালিত করা হচ্ছে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, দেশের যে গণতান্ত্রিক আত্মা (ব্যবস্থা) সেটাকে তারা ধ্বংস করে ফেলেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে শুধু নিজেরা ক্ষমতায় থাকার জন্য একদলীয় শাসন ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যেটা তাদের পুরানো চরিত্র। ৭৫ সালে তারা বাকশাল গঠন করেছিল। তারা সেটায় ব্যর্থ হয়ে এখন পুরোনো সেই শাসনকে নতুন বোতলে গণতন্ত্রের পোশাক পরিয়ে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কায়েম করেছে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল-গুলিতে টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্ক

আওয়ামী লীগ রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় : ফখরুল

আপডেট সময় : ০২:২২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা এখানে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠাতা করতে চায়।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক কাঠামো’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নয়, তারা অসংখ্য আইন তৈরি করে সুযোগ নিচ্ছে যাতে নাগরিকরা কথা বলতে ভয় পায়। যেটুকু মনে পড়ে- ১৯৮৪ নামে একটা সিনেমা আছে, সেটি নর্থ কোরিয়ার যেভাবে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। কীভাবে নাগরিকদের ভয় দেখিয়ে মস্তিষ্কের দিক দিয়ে কীভাবে দাস করে রাখা যায় বাংলাদেশে তার প্রতিচ্ছবি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, আপনারা দেখবেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অনেককে মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক সাংবাদিকের নামে এখনো মামলা আছে। কাজলকে (সাংবাদিক) গুম করে রাখা হলো, কীভাবে তার ওপর অত্যাচার করা হয়েছে তা তিনি নিজেই বর্ণনা করেছেন। তাদের একটাই লক্ষ্য, নাগরিকরা যেন নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করতে না পারে ও কথা বলতে না পারে। এর কারণ হলো যাতে তারা তাদের মতো করে এখানে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এখন একটি মাত্র পথ… এদেরকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। এই সরকারকে অবৈধ দাবি করে তিনি আরও বলেন, এরা একটি দখলদার সরকার হিসেবে পুরোপুরি ভূমিকা রাখছে। আজকে বাংলাদেশকে এরা যে পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে, সেটা কিন্তু অত্যন্ত ভয়াবহ। যে জাতি গণতন্ত্রকে ভালোবাসে, তাদেরকে একটা সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাদের সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে পরিচালিত করা হচ্ছে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, দেশের যে গণতান্ত্রিক আত্মা (ব্যবস্থা) সেটাকে তারা ধ্বংস করে ফেলেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে শুধু নিজেরা ক্ষমতায় থাকার জন্য একদলীয় শাসন ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যেটা তাদের পুরানো চরিত্র। ৭৫ সালে তারা বাকশাল গঠন করেছিল। তারা সেটায় ব্যর্থ হয়ে এখন পুরোনো সেই শাসনকে নতুন বোতলে গণতন্ত্রের পোশাক পরিয়ে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কায়েম করেছে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খান।