প্রত্যাশা ডেস্ক: ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশে দ্রুত অবাধ, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে ভারত সরকার।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সাপ্তাহিক গণমাধ্যম ব্রিফিংয়ে এমন প্রতিক্রিয়া জানান দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাণধীর জয়সওয়াল। এ বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, সঠিক নিয়ম না মেনে আওয়ামী লীগের উপর নিষেধাজ্ঞা উদ্বেগজনক ঘটনা। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নিয়ন্ত্রণে এবং রাজনৈতিক পরিসর সংকুচিত করার বিষয়ে ভারত স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনকে আমরা জোরালোভাবে সমর্থন করি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সব ধরনের কর্মকাণ্ডে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সোমবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এরপর নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন স্থগিত করায় দেশের অন্যতম প্রাচীন এ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথও বন্ধ হয়ে গেছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের আন্দোলনের মুখে গত শনিবার আওয়ামী লীগের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন এবং ঢাকার শাহবাগে ওই আন্দোলনে অংশ না নিলেও সরকারের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। এ সিদ্ধান্তকে ‘সঠিক’ হিসেবে অভিহিত করে ‘আনন্দিত’ হওয়ার কথা বলেছে দলটি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া দলটিকে জুলাই আন্দোলন দমনে ‘মানবতাবিরোধী’ অপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর সোমবার বিকালে আসে নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন।
সেখানে বলা হয়, ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কর্তৃক যে কোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।