ঢাকা ১১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

আওয়ামী লীগ আরেকবারের জন্য প্রস্তুত, সম্মেলনে দেখাতে চান কাদের

  • আপডেট সময় : ০১:৫০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাদের দল যে আরও এক মেয়াদে দেশের ‘নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত’, ২৪ ডিসেম্বর ‘সুশৃঙ্খল সম্মেলনের’ মাধ্যমে দেশবাসীকে তারা সেটা দেখাতে চান। দলের জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে গতকাল সোমবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপকমিটি এবং মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির যৌথ সভায় ক্ষমতাসীন দলের এ নেতার এমন মন্তব্য আসে। কাদের বলেন, “নেত্রী (শেখ হাসিনা) একটি সুশৃঙ্খল সম্মেলন দেখতে চান। জাতিকে দেখাতে চান, আওয়ামী লীগ আবারও এই দেশের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।”
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তবে ‘সুশৃঙ্খল’ কর্মী বাহিনী ছাড়া সেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয় বলে মনে করেন দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশের পূর্ব শর্ত শৃঙ্খলা। সভা করব সুশৃঙ্খল। আমার ধারণা, এবার ঐতিহাসিক সম্মেলন হবে। কারণ সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে যে গণজাগরণের ঢেউ, গোটা দেশ জেগে গেছে বিজয়ের মাসে। যেখানেই সমাবেশ করেছি সেখানে স্রোতের মত মানুষ। সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ যেন আছড়ে পড়েছে। এরকম তরঙ্গ বিক্ষোভ দেখতে পাচ্ছি।”
শৃঙ্খলার দায়িত্বে যারা আছেন, তারা কয়জন জেলার নেতাদের চেনেন, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “অচেনা মুখ দিয়ে হবে না। আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতা আছেন, যারা জেলার সব নেতাকে চেনেন না।”
বিজয়ের মাসে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মানুষের ‘স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিতি’ প্রত্যাশা করে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ব্যবস্থাপনাটাও ভালোভাবে করতে হবে। সম্মেলন সাদামাটা হবে। উপস্থিতি সাদামাটা হচ্ছে না। এটা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করবে বলে আমার বিশ্বাস। সাদামাটা সাজ-সজ্জা, আলোক সজ্জা হবে।”
বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের’ কর্মসূচির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “রাষ্ট্রকে যারা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে, তারা আবার এ রাষ্ট্র মেরামত করবে! মেরামততো শেখ হাসিনা করেছেন। করেছেন বলেইতো আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।
“(বিএনপি) গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ধ্বংস করেছে। দূর্নীতি ও লুটপাট করে কোষাগার খালি করেছে। রিজার্ভ ৪ বিলিয়ন ডলারেরও নিচে ছিল। আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে গেছেন।”
বিএনপি এবং গণতন্ত্র মঞ্চের ‘যুগপৎ আন্দোলনের’ কর্মসূচি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আজকে অনেকে রাষ্ট্র মেরামত করার প্রয়াস নিয়েছে। গতবারও ২৩ দল ছিল। এবার ৩৩ দল। বাম, ডান, এরমধ্যে প্রগতিশীল আর প্রতিক্রিয়াশীল এক সঙ্গে হয়ে গেছে। সব এক কাতারে একাকার, লক্ষ্য কী? শেখ হাসিনাকে হটানো।
“শুনেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশের কাউন্টার ভিশন-২০৩০, বিএনপির। সেটা কোথায়? এখন তারা কর্মসূচি দিয়ে দেখাচ্ছে তারা আছে। তাদের নেতা কর্মীরা বহুদিন ক্ষমতায় নেই, তাতেই খায় খায় ভাব। তাদের একটু খুশি রাখতে হবে। সেই জন্য অনেক কথা বলছে।” দলীয় কর্মসূচিতে বহু চর্চিত কিছু প্রথা থেকে বেরিয়ে আসতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তাগিদ দেন সাধারণ সম্পাদক। কিছু সভায় অতিথিদের নাম বলতে বলতেই সময় শেষ হয়ে যায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কোনো নেতা অখুশি হবেন। এটাও মাথায় থাকে, পরবর্তীতে পদায়নে সমস্যা হতে পারে। এসব চিন্তা করেও অনেকেই নাম বলেন। এগুলো থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
“কাউকে দুই মিনিট সময় দিলে, তিনি পাঁচ মিনিটই সম্বোধন করতে করতে সময় শেষ করে দেন। মাগরিবের নামাজের আজান দিচ্ছে তখন প্রধান অতিথি সময় পান। মিটিংয়ের প্রধান অতিথির বক্তব্য শ্রোতাদের শুনতে দিতে হবে। না হলে এটাতো অসম্পূর্ণ থেকে যায়।”
নেতা কর্মীদের ‘দেশের মানুষের চিন্তা-চেতনার সঙ্গে মিল রেখে’ পথ চলার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “মানুষ কী চাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম কাজ মানুষকে রক্ষা করা। সঙ্কটকে সম্ভবনায় রূপ দিয়েছেন করোনায়। এখনও (বৈশ্বিক সংকটে) বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।” আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও শৃঙ্খলা উপকমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে এ সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সম্মেলনে পুলিশকে ‘স্বেচ্ছাসেবক’ হওয়ার অনুরোধ: আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ‘পুলিশকে স্বেচ্ছাসেবক’ হিসাবে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন দলের কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে সোমবার দুটি উপ-কমিটির যৌথ বৈঠকে শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপ-কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি এ আহ্বান জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন দলটির সম্মেলন হবে। সেখানে কাউন্সিলর এবং ডেলিগেটদের সহায়তার জন্য ‘পুলিশ ও গোয়েন্দাবাহিনীকে’ স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করতে অনুরোধ জানান আবুল হাসনাত। ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক’ এবং ‘মঞ্চ ও সাজসজ্জা’ উপ-কমিটির ওই বৈঠকে তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিশেষভাবে অনুরোধ করব তার পুলিশবাহিনী, গোয়েন্দাবাহিনী যারাই আছে, তারা অন্তত এই সময়টাতে একটু স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করুক। এটাই আমার বিশেষভাবে অনুরোধ।
“দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ (প্রতিনিধি) লঞ্চে আসবেন। উত্তরবঙ্গ থেকে বাসে আসবেন। তাই বাস-স্টেশনগুলোতে পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনীকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য ব্যবস্থা আপনি করবেন। কারণ আমাদের বিরোধীদল চাচ্ছে এখানে একটা অঘটন ঘটুক। এটা থেকে সতর্ক থাকতে হবে।” নিজের উপ-কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে আবুল হাসনাত বলেন, “আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ে অনেক বয়স্ক লোক আছে, কেন্দ্রীয় পর্যায়েও আছে। তাদেরকে সসম্মানে আসনে বসানোর দায়িত্ব শৃঙ্খলা কমিটির।” তাদের পানি ও খাদ্যের ব্যবস্থা সঠিকভাবে করার জন্যও অনুরোধ জানান এ আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি বলেন, “আমাদের দলের ও প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নির্ভর করবে সুশৃঙ্খল সম্মেলনের মাধ্যমেৃ যদি সমাপ্ত করতে পারি তাহলে জনগণের কাছে ভালো গ্রহণযোগ্যতা হবে। তাই যার যেখানে অবস্থান থাকবে, তিনি সেখানেই ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করবেন। অন্য জায়গায় যাবেন না।”
দলের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আওয়ামী লীগ আরেকবারের জন্য প্রস্তুত, সম্মেলনে দেখাতে চান কাদের

আপডেট সময় : ০১:৫০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাদের দল যে আরও এক মেয়াদে দেশের ‘নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত’, ২৪ ডিসেম্বর ‘সুশৃঙ্খল সম্মেলনের’ মাধ্যমে দেশবাসীকে তারা সেটা দেখাতে চান। দলের জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে গতকাল সোমবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপকমিটি এবং মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির যৌথ সভায় ক্ষমতাসীন দলের এ নেতার এমন মন্তব্য আসে। কাদের বলেন, “নেত্রী (শেখ হাসিনা) একটি সুশৃঙ্খল সম্মেলন দেখতে চান। জাতিকে দেখাতে চান, আওয়ামী লীগ আবারও এই দেশের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।”
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তবে ‘সুশৃঙ্খল’ কর্মী বাহিনী ছাড়া সেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয় বলে মনে করেন দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশের পূর্ব শর্ত শৃঙ্খলা। সভা করব সুশৃঙ্খল। আমার ধারণা, এবার ঐতিহাসিক সম্মেলন হবে। কারণ সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে যে গণজাগরণের ঢেউ, গোটা দেশ জেগে গেছে বিজয়ের মাসে। যেখানেই সমাবেশ করেছি সেখানে স্রোতের মত মানুষ। সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ যেন আছড়ে পড়েছে। এরকম তরঙ্গ বিক্ষোভ দেখতে পাচ্ছি।”
শৃঙ্খলার দায়িত্বে যারা আছেন, তারা কয়জন জেলার নেতাদের চেনেন, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “অচেনা মুখ দিয়ে হবে না। আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতা আছেন, যারা জেলার সব নেতাকে চেনেন না।”
বিজয়ের মাসে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মানুষের ‘স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিতি’ প্রত্যাশা করে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ব্যবস্থাপনাটাও ভালোভাবে করতে হবে। সম্মেলন সাদামাটা হবে। উপস্থিতি সাদামাটা হচ্ছে না। এটা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করবে বলে আমার বিশ্বাস। সাদামাটা সাজ-সজ্জা, আলোক সজ্জা হবে।”
বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের’ কর্মসূচির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “রাষ্ট্রকে যারা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে, তারা আবার এ রাষ্ট্র মেরামত করবে! মেরামততো শেখ হাসিনা করেছেন। করেছেন বলেইতো আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।
“(বিএনপি) গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ধ্বংস করেছে। দূর্নীতি ও লুটপাট করে কোষাগার খালি করেছে। রিজার্ভ ৪ বিলিয়ন ডলারেরও নিচে ছিল। আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে গেছেন।”
বিএনপি এবং গণতন্ত্র মঞ্চের ‘যুগপৎ আন্দোলনের’ কর্মসূচি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আজকে অনেকে রাষ্ট্র মেরামত করার প্রয়াস নিয়েছে। গতবারও ২৩ দল ছিল। এবার ৩৩ দল। বাম, ডান, এরমধ্যে প্রগতিশীল আর প্রতিক্রিয়াশীল এক সঙ্গে হয়ে গেছে। সব এক কাতারে একাকার, লক্ষ্য কী? শেখ হাসিনাকে হটানো।
“শুনেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশের কাউন্টার ভিশন-২০৩০, বিএনপির। সেটা কোথায়? এখন তারা কর্মসূচি দিয়ে দেখাচ্ছে তারা আছে। তাদের নেতা কর্মীরা বহুদিন ক্ষমতায় নেই, তাতেই খায় খায় ভাব। তাদের একটু খুশি রাখতে হবে। সেই জন্য অনেক কথা বলছে।” দলীয় কর্মসূচিতে বহু চর্চিত কিছু প্রথা থেকে বেরিয়ে আসতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তাগিদ দেন সাধারণ সম্পাদক। কিছু সভায় অতিথিদের নাম বলতে বলতেই সময় শেষ হয়ে যায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কোনো নেতা অখুশি হবেন। এটাও মাথায় থাকে, পরবর্তীতে পদায়নে সমস্যা হতে পারে। এসব চিন্তা করেও অনেকেই নাম বলেন। এগুলো থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
“কাউকে দুই মিনিট সময় দিলে, তিনি পাঁচ মিনিটই সম্বোধন করতে করতে সময় শেষ করে দেন। মাগরিবের নামাজের আজান দিচ্ছে তখন প্রধান অতিথি সময় পান। মিটিংয়ের প্রধান অতিথির বক্তব্য শ্রোতাদের শুনতে দিতে হবে। না হলে এটাতো অসম্পূর্ণ থেকে যায়।”
নেতা কর্মীদের ‘দেশের মানুষের চিন্তা-চেতনার সঙ্গে মিল রেখে’ পথ চলার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “মানুষ কী চাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম কাজ মানুষকে রক্ষা করা। সঙ্কটকে সম্ভবনায় রূপ দিয়েছেন করোনায়। এখনও (বৈশ্বিক সংকটে) বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।” আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও শৃঙ্খলা উপকমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে এ সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সম্মেলনে পুলিশকে ‘স্বেচ্ছাসেবক’ হওয়ার অনুরোধ: আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ‘পুলিশকে স্বেচ্ছাসেবক’ হিসাবে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন দলের কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে সোমবার দুটি উপ-কমিটির যৌথ বৈঠকে শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপ-কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি এ আহ্বান জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন দলটির সম্মেলন হবে। সেখানে কাউন্সিলর এবং ডেলিগেটদের সহায়তার জন্য ‘পুলিশ ও গোয়েন্দাবাহিনীকে’ স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করতে অনুরোধ জানান আবুল হাসনাত। ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক’ এবং ‘মঞ্চ ও সাজসজ্জা’ উপ-কমিটির ওই বৈঠকে তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিশেষভাবে অনুরোধ করব তার পুলিশবাহিনী, গোয়েন্দাবাহিনী যারাই আছে, তারা অন্তত এই সময়টাতে একটু স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করুক। এটাই আমার বিশেষভাবে অনুরোধ।
“দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ (প্রতিনিধি) লঞ্চে আসবেন। উত্তরবঙ্গ থেকে বাসে আসবেন। তাই বাস-স্টেশনগুলোতে পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনীকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য ব্যবস্থা আপনি করবেন। কারণ আমাদের বিরোধীদল চাচ্ছে এখানে একটা অঘটন ঘটুক। এটা থেকে সতর্ক থাকতে হবে।” নিজের উপ-কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে আবুল হাসনাত বলেন, “আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ে অনেক বয়স্ক লোক আছে, কেন্দ্রীয় পর্যায়েও আছে। তাদেরকে সসম্মানে আসনে বসানোর দায়িত্ব শৃঙ্খলা কমিটির।” তাদের পানি ও খাদ্যের ব্যবস্থা সঠিকভাবে করার জন্যও অনুরোধ জানান এ আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি বলেন, “আমাদের দলের ও প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নির্ভর করবে সুশৃঙ্খল সম্মেলনের মাধ্যমেৃ যদি সমাপ্ত করতে পারি তাহলে জনগণের কাছে ভালো গ্রহণযোগ্যতা হবে। তাই যার যেখানে অবস্থান থাকবে, তিনি সেখানেই ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করবেন। অন্য জায়গায় যাবেন না।”
দলের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।