নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলসহ নাশকতার পরিকল্পনায় জড়িত অভিযোগে কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন (পাভেল) এবং দলটির অঙ্গসংগঠনের আরো সাত নেতা–কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয় বলে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন (৫০), পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলা শাখার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তানজিল হোসেন ওরফে অভি (২৯), ছাত্রলীগের বাউফল উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এ কে এম খোরশেদ আলম (৬৫), বাউফল উপজেলার সূর্যমণি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান হাওলাদার (৪৩), বংশাল থানার ৩২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মো. দেলোয়ার হোসেন ওরফে বাবলু (৬১), উত্তরা পূর্ব থানার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন ভূঁইয়া (২৯), যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মো. কায়কোবাদ ওসমানী (৫৩) এবং মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানার খিতিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন (৬০)।
ডিএমপি বলেছে, গ্রেফতার সাবেক সংসদ সদস্য সাদ্দাম আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের পাশাপাশি নাশকতার পরিকল্পনা ও অর্থের জোগান দিতেন।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করে ডিবি-সাইবার বিভাগের একটি দল। একই দিন সন্ধ্যায় ডিবি মতিঝিল বিভাগের একটি দল সবুজবাগ থানার মানিকদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তানজিল হোসেন ও আনিসুর রহমানকে গ্রেফতার করে।
এরপর রাতে ডিবি মতিঝিল বিভাগের একটি দল পান্থপথ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ কে এম খোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করে। এর আগে সন্ধ্যায় ডিবি লালবাগ বিভাগের একটি দল রাজধানীর নয়াবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেলোয়ার হোসেন ওরফে বাবলুকে গ্রেফতার করে। তার আগে বিকেলে পুরান ঢাকার কোতোয়ালি থানার পুলিশ প্রেসক্লাবের সামনে অভিযান চালিয়ে আল মামুন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে। পরে মধ্যরাতে ডিবি সাইবার বিভাগের একটি দল মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে কায়কোবাদ ওসমানীকে গ্রেফতার করে। মধ্যরাতে ডিবি মতিঝিল বিভাগের একটি দল কাকরাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গ্রেফতার সবার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল।
সানা/আপ্র/০৬/০৯/২০২৫