ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

আইয়ুব বাচ্চুর চলে যাওয়ার তিন বছর

  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক : বাংলা ব্যান্ড সংগীতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। তিনি দেশসেরা গিটারিস্টও ছিলেন। ১৮ অক্টোবর ২০১৮। খ্যাতনামা কন্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক আইয়ুব বাচ্চুর চলে যাওয়ার দিন। ওইদিন রুপালি গিটার ফেলে সবাইকে কাঁদিয়ে ওপারে পাড়ি জমিয়েছিলেন শিল্পী। সেই শোকে এখনো কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন বাচ্চুর ভক্তরা। দেখতে দেখতে শিল্পীর চলে যাওয়ার ৩ বছর পূরণ হলো। আইয়ুব বাচ্চু চলে গেলেও আজও সবার মাঝে বেঁচে আছেন নিজের গানের মাধ্যমে। প্রাণবন্ত হয়ে আছেন ভক্তহৃদয়ে। লোকে লোকারণ্য হয়েছিল এ কিংবদন্তির শেষ যাত্রা। প্রিয় তারকাকে শেষ বিদায় জানাতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত জানাজায় লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।
২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর লাখো ভক্ত, পরিবার পরিজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান সবার প্রিয় আইয়ুব বাচ্চু। এদিন সকালে নিজ বাসায় তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই অবস্থায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রয়াত ব্যান্ড কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চুর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। এদিন প্রিয় শিল্পীকে নানাভাবে স্মরণ করার কর্মসূচি তার পরিবার, সহকর্মী ও ভক্তদের। তবে করোনার কারণে সবই হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও আইয়ুব বাচ্চু স্মরণে রয়েছে বিশেষ আয়োজন। সেসব অনুষ্ঠানে শোনানো হবে তার জনপ্রিয় গানগুলো। আলোচনা হবে বাচ্চুর জীবনের নানা বিষয় নিয়ে। এদিকে, এ মাসেরই ২ অক্টোবর ছিল ব্যান্ড জগতের আরেক কিংবদন্তি জেমসের জন্মদিন। এই মাসেই আইয়ুব বাচ্চু সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন। তাই প্রিয় বন্ধুর সম্মানে গত বছরের মতো এ বছরও নিজের জন্মদিন পালন করেনি আইয়ুব বাচ্চুর সবচেয়ে কাছের ও প্রিয় সহকর্মী জেমস।
প্রয়াত ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর জন্ম ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে। তার সংগীতজীবন শুরু হয় ১৯৭৭ সালে। ব্যান্ড জগতে প্রবেশ করেন ১৯৭৮ সালে। প্রথম গাওয়া গান ‘হারানো বিকেলের গল্প’। ১৯৮০ সালে আইয়ুব বাচ্চু যোগ দেন সোলস ব্যান্ডে। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি দলটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরের বছর তিনি ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড (এলআরবি) ব্যান্ডদল গঠন করেন। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি এই দলটির মেইন ভোকাল ছিলেন। সোলস-এ থাকাকালীন প্রকাশ হয় বাচ্চুর প্রথম একক অ্যালবাম ‘রক্তগোলাপ’। তবে তার সফলতার শুরু দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘ময়না’-এর মাধ্যমে। ৪০ বছরের গায়কী জীবনে ১২টি ব্যান্ড, ১৬টি একক ও বহু মিশ্র অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে আইয়ুব বাচ্চুর। গান গেয়েছেন বেশ কিছু চলচ্চিত্রেও। দীর্ঘ কেরিয়ারে আইয়ুব বাচ্চু অসংখ্য দর্শকপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। সে তালিকায় ‘সুখ’, ‘একদিন ঘুম ভাঙা শহরে’, ‘ফেরারি মন’, ‘এই রুপালি গিটার’, ‘হাসতে দেখো’, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘চলো বদলে যাই’সহ আছে বহু নাম।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আইয়ুব বাচ্চুর চলে যাওয়ার তিন বছর

আপডেট সময় : ১১:৪৭:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

বিনোদন প্রতিবেদক : বাংলা ব্যান্ড সংগীতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। তিনি দেশসেরা গিটারিস্টও ছিলেন। ১৮ অক্টোবর ২০১৮। খ্যাতনামা কন্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক আইয়ুব বাচ্চুর চলে যাওয়ার দিন। ওইদিন রুপালি গিটার ফেলে সবাইকে কাঁদিয়ে ওপারে পাড়ি জমিয়েছিলেন শিল্পী। সেই শোকে এখনো কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন বাচ্চুর ভক্তরা। দেখতে দেখতে শিল্পীর চলে যাওয়ার ৩ বছর পূরণ হলো। আইয়ুব বাচ্চু চলে গেলেও আজও সবার মাঝে বেঁচে আছেন নিজের গানের মাধ্যমে। প্রাণবন্ত হয়ে আছেন ভক্তহৃদয়ে। লোকে লোকারণ্য হয়েছিল এ কিংবদন্তির শেষ যাত্রা। প্রিয় তারকাকে শেষ বিদায় জানাতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত জানাজায় লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।
২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর লাখো ভক্ত, পরিবার পরিজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান সবার প্রিয় আইয়ুব বাচ্চু। এদিন সকালে নিজ বাসায় তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই অবস্থায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রয়াত ব্যান্ড কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চুর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। এদিন প্রিয় শিল্পীকে নানাভাবে স্মরণ করার কর্মসূচি তার পরিবার, সহকর্মী ও ভক্তদের। তবে করোনার কারণে সবই হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও আইয়ুব বাচ্চু স্মরণে রয়েছে বিশেষ আয়োজন। সেসব অনুষ্ঠানে শোনানো হবে তার জনপ্রিয় গানগুলো। আলোচনা হবে বাচ্চুর জীবনের নানা বিষয় নিয়ে। এদিকে, এ মাসেরই ২ অক্টোবর ছিল ব্যান্ড জগতের আরেক কিংবদন্তি জেমসের জন্মদিন। এই মাসেই আইয়ুব বাচ্চু সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন। তাই প্রিয় বন্ধুর সম্মানে গত বছরের মতো এ বছরও নিজের জন্মদিন পালন করেনি আইয়ুব বাচ্চুর সবচেয়ে কাছের ও প্রিয় সহকর্মী জেমস।
প্রয়াত ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর জন্ম ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে। তার সংগীতজীবন শুরু হয় ১৯৭৭ সালে। ব্যান্ড জগতে প্রবেশ করেন ১৯৭৮ সালে। প্রথম গাওয়া গান ‘হারানো বিকেলের গল্প’। ১৯৮০ সালে আইয়ুব বাচ্চু যোগ দেন সোলস ব্যান্ডে। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি দলটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরের বছর তিনি ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড (এলআরবি) ব্যান্ডদল গঠন করেন। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি এই দলটির মেইন ভোকাল ছিলেন। সোলস-এ থাকাকালীন প্রকাশ হয় বাচ্চুর প্রথম একক অ্যালবাম ‘রক্তগোলাপ’। তবে তার সফলতার শুরু দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘ময়না’-এর মাধ্যমে। ৪০ বছরের গায়কী জীবনে ১২টি ব্যান্ড, ১৬টি একক ও বহু মিশ্র অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে আইয়ুব বাচ্চুর। গান গেয়েছেন বেশ কিছু চলচ্চিত্রেও। দীর্ঘ কেরিয়ারে আইয়ুব বাচ্চু অসংখ্য দর্শকপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। সে তালিকায় ‘সুখ’, ‘একদিন ঘুম ভাঙা শহরে’, ‘ফেরারি মন’, ‘এই রুপালি গিটার’, ‘হাসতে দেখো’, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘চলো বদলে যাই’সহ আছে বহু নাম।