ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

আইসিসি হল অব ফেমে জয়াবর্ধনে-পোলক

  • আপডেট সময় : ১০:২৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে নতুন তিন ক্রিকেট কিংবদন্তিকে হল অব ফেমে যোগ করার ঘোষণা দিল আইসিসি। এই ৩ জন হলেন- দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার শন পোলক, শ্রীলঙ্কার সাবেক ব্যাটার মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং ইংল্যান্ড নারী দলের সাবেক ব্যাটার জ্যানেট ব্রিটিন। রোববার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ফাইনালের আগে এই ৩ সাবেক ক্রিকেট তারকাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড। ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচের পাঁচ বছর পর আইসিসির হল ফেম স্বীকৃতির জন্য বিবেচিত হন ক্রিকেটাররা। এবারের ৩ জন সহ এই স্বীকৃতি পাওয়াদের মোট সংখ্যা ১০৬। এর মধ্যে চলতি বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে ১০ জনকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। জুনে স্বীকৃতি পাওয়া ১০ জনের মধ্যে একজন ছিলেন মাহেলার সতীর্থ ও শ্রীলঙ্কার আরেক কিংবদন্তি সাঙ্গাকারা। এর আগে পেয়েছিলেন লঙ্কান স্পিন কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরন। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের অন্যতম সফল ব্যাটার জয়াবর্ধনে ১৪৯ টেস্টে ৩৪ সেঞ্চুরিতে করেছেন ১১ হাজার ৮১৪ রান। লাল বলে ১০ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করা প্রথম লঙ্কান ব্যাটার তিনি এবং এই সংস্করণে দেশের হয়ে তার চেয়ে এগিয়ে কেবল সাঙ্গাকারা। ২০০৬ সালে সাঙ্গাকারার সঙ্গে তার ৬২৪ রানের জুটিটি টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এবং ওই ম্যাচেই তার ৩৭৪ রানের ইনিংসটি শ্রীলঙ্কার হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। ৪৪৮টি ওয়ানডে খেলে ১৯ সেঞ্চুরিতে তার নামের পাশে আছে ১২ হাজার ৬৫০ রান, যা শ্রীলঙ্কার জার্সিতে সর্বোচ্চ। এছাড়া ৫৫ টি-টোয়েন্টিতে এক সেঞ্চুরিসহ ১ হাজার ৪৯৩ রান করেছেন তিনি। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যও ছিলেন এই সাবেক ডানহাতি ব্যাটার। একসময় শ্রীলঙ্কার সব ফরম্যাটে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।
হল অব ফেমে নাম তোলা আরেক খেলোয়াড় শন পোলককে বলা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। টেস্ট ও ওয়ানডেতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৩ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের ডাবলের কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮২৩ উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের জার্সিতে সর্বোচ্চসংখ্যক উইকেটের মালিক তিনি। ১০৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে ২ সেঞ্চুরিসহ ৩ হাজার ৭৮১ রান ও ৪২১ উইকেট আছে তার নামের পাশে। অন্যদিকে ৩০৩টি ওয়ানডে খেলে ১ সেঞ্চুরিতে ৩ হাজার ৫১৯ রান করার পাশাপাশি ৩৯৩টি উইকেট পুরেছিলেন ঝুলিতে। পোলক ৫ বছরের বেশি সময় ছিলেন আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ বোলার। একসময় প্রোটিয়াদের নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। হল অব ফেম স্বীকৃতি পাওয়া আরেক ক্রিকেটার ব্রিটিন ২০১৭ সালে ৫৮ বছর বয়সে মারা যান। অর্থাৎ তাকে মরণোত্তর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের জার্সিতে ২৭ টেস্টে ৫সেঞ্চুরিসহ ১ হাজার ৯৩৫ রান এবং ৬৩ ওয়ানডেতে সমান সেঞ্চুরিতে ২ হাজার ১২১ রান করেছিলেন একসময় ইংলিশ নারী দলের দাপুটে এই ব্যাটার। ১৯৯২ বিশ্বকাপের ফাইনালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে তিনি কাউন্টি ক্লাব সারের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আইসিসি হল অব ফেমে জয়াবর্ধনে-পোলক

আপডেট সময় : ১০:২৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে নতুন তিন ক্রিকেট কিংবদন্তিকে হল অব ফেমে যোগ করার ঘোষণা দিল আইসিসি। এই ৩ জন হলেন- দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার শন পোলক, শ্রীলঙ্কার সাবেক ব্যাটার মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং ইংল্যান্ড নারী দলের সাবেক ব্যাটার জ্যানেট ব্রিটিন। রোববার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ফাইনালের আগে এই ৩ সাবেক ক্রিকেট তারকাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড। ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচের পাঁচ বছর পর আইসিসির হল ফেম স্বীকৃতির জন্য বিবেচিত হন ক্রিকেটাররা। এবারের ৩ জন সহ এই স্বীকৃতি পাওয়াদের মোট সংখ্যা ১০৬। এর মধ্যে চলতি বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে ১০ জনকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। জুনে স্বীকৃতি পাওয়া ১০ জনের মধ্যে একজন ছিলেন মাহেলার সতীর্থ ও শ্রীলঙ্কার আরেক কিংবদন্তি সাঙ্গাকারা। এর আগে পেয়েছিলেন লঙ্কান স্পিন কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরন। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের অন্যতম সফল ব্যাটার জয়াবর্ধনে ১৪৯ টেস্টে ৩৪ সেঞ্চুরিতে করেছেন ১১ হাজার ৮১৪ রান। লাল বলে ১০ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করা প্রথম লঙ্কান ব্যাটার তিনি এবং এই সংস্করণে দেশের হয়ে তার চেয়ে এগিয়ে কেবল সাঙ্গাকারা। ২০০৬ সালে সাঙ্গাকারার সঙ্গে তার ৬২৪ রানের জুটিটি টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এবং ওই ম্যাচেই তার ৩৭৪ রানের ইনিংসটি শ্রীলঙ্কার হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। ৪৪৮টি ওয়ানডে খেলে ১৯ সেঞ্চুরিতে তার নামের পাশে আছে ১২ হাজার ৬৫০ রান, যা শ্রীলঙ্কার জার্সিতে সর্বোচ্চ। এছাড়া ৫৫ টি-টোয়েন্টিতে এক সেঞ্চুরিসহ ১ হাজার ৪৯৩ রান করেছেন তিনি। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যও ছিলেন এই সাবেক ডানহাতি ব্যাটার। একসময় শ্রীলঙ্কার সব ফরম্যাটে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।
হল অব ফেমে নাম তোলা আরেক খেলোয়াড় শন পোলককে বলা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। টেস্ট ও ওয়ানডেতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৩ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের ডাবলের কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮২৩ উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের জার্সিতে সর্বোচ্চসংখ্যক উইকেটের মালিক তিনি। ১০৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে ২ সেঞ্চুরিসহ ৩ হাজার ৭৮১ রান ও ৪২১ উইকেট আছে তার নামের পাশে। অন্যদিকে ৩০৩টি ওয়ানডে খেলে ১ সেঞ্চুরিতে ৩ হাজার ৫১৯ রান করার পাশাপাশি ৩৯৩টি উইকেট পুরেছিলেন ঝুলিতে। পোলক ৫ বছরের বেশি সময় ছিলেন আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ বোলার। একসময় প্রোটিয়াদের নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। হল অব ফেম স্বীকৃতি পাওয়া আরেক ক্রিকেটার ব্রিটিন ২০১৭ সালে ৫৮ বছর বয়সে মারা যান। অর্থাৎ তাকে মরণোত্তর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের জার্সিতে ২৭ টেস্টে ৫সেঞ্চুরিসহ ১ হাজার ৯৩৫ রান এবং ৬৩ ওয়ানডেতে সমান সেঞ্চুরিতে ২ হাজার ১২১ রান করেছিলেন একসময় ইংলিশ নারী দলের দাপুটে এই ব্যাটার। ১৯৯২ বিশ্বকাপের ফাইনালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে তিনি কাউন্টি ক্লাব সারের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।