ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

আইসিসির ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ মিরাজ

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থের লড়াইয়ে প্রথমবার জায়গা করে নিয়েই বাজিমাত করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্সে এপ্রিল মাসের সেরা পুরুষ ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। নারীদের মধ্যে সেরার পুরস্কার জিতেছেন স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ব্রাইস।

 

গত মাসের সেরা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারের নাম বুধবার প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। মিরাজ সেরার লড়াইয়ে হারিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্সকে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস ও পাকিস্তানের ফাতিমা সানাকে পেছনে ফেলে স্বীকৃতিটি জিতেছেন ব্রাইস।

 

বাংলাদেশের তৃতীয় পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে মাস সেরার পুরস্কার জিতলেন মিরাজ। দুই বছর আগে সবশেষ এই সম্মাননা পেয়েছিলেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, ২০২৩ সালের মার্চে। পুরস্কারটি জেতা দেশের আরেকজন হলেন অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে চমৎকার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছিলেন মিরাজ। যার স্বীকৃতি পেলেন তিনি।

 

পুরস্কারটি জিততে পেরে ভীষণ খুশি মিরাজ করলেন স্মৃতিচারণও।

“আইসিসি মেন’স প্লেয়ার অব দ্য মান্থ জিততে পারা অবিশ্বাস্য সম্মানের। আইসিসির পুরস্কারগুলো যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য চূড়ান্ত স্বীকৃতি এবং বৈশ্বিক ভোট থেকে এটি পাওয়া আমার জন্য অনেক কিছু।” “এমন মুহূর্তগুলো আমাকে ক্রিকেট আঙিনায় যাত্রার কথা মনে করিয়ে দেয়- ২০১৬ আইসিসি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টের খেলোয়াড় হওয়া আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বিশাল প্রেরণা ছিল। আর এই পুরস্কারটি ঠিক তেমনই বিশেষ।”

 

সিলেটে প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে হারলেও রেকর্ড গড়া বোলিং করেন মিরাজ। প্রতিপক্ষের প্রথম ইনিংসে শেষের ৫ উইকেট একাই নেন তিনি। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে আঘাত হানেন টপ অর্ডারে, চমৎকার বোলিংয়ে সেবারও তার শিকার ৫ উইকেট।

তৃতীয়বার এক টেস্টে অন্তত ১০ উইকেট পান অভিজ্ঞ অফ স্পিনার। দেশের আর কারও নেই এই কীর্তি। বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচে দুবার করে ১০ উইকেট নিতে পেরেছেন দুই বাঁহাতি স্পিনার সাকিব ও তাইজুল ইসলাম। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের ইনিংস ও ১০৬ রানের জয়ের নায়ক মিরাজ। ১০৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে লিড এনে

 

দেন তিনি। পরে প্রতিপক্ষের দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার তিনি। তার আগে এই কীর্তি ছিল সাকিব আল হাসান (দুবার) ও সোহাগ গাজীর। আর একই সিরিজে এক ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার ও এক ইনিংসে সেঞ্চুরি করা টেস্ট ইতিহাসের সপ্তম ক্রিকেটার তিনি।

 

ব্রাইস মেয়েদের সেরা হয়েছেন বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে। ওই টুর্নামেন্টে স্কটল্যান্ডকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি। ২০২৫ বিশ্বকাপের টিকেট অবশ্য নিশ্চিত করতে পারেনি স্কটিশরা।

চতুর্থ হয়ে বাছাই পর্ব শেষ করে তারা। বাছাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯১ রানের ইনিংসের পর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৬০ রান করেন ব্রাইস। আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে উপহার দেন ১৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচে ৭৩.২৫ গড়ে ২৯৩ রান করেন ব্রাইস, যা আসরে সর্বোচ্চ। পেস বোলিংয়েও দারুণ অবদান রাখেন তিনি।

 

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটিসহ আসরে মোট উইকেট নেন ৬টি। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে বাছাইপর্বের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ব্রাইস। উইমেন’স বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের সেরা একাদশেও জায়গা হয় তার।

এবার জিতে নিলেন মাস সেরার পুরস্কারও।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আইসিসির ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ মিরাজ

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থের লড়াইয়ে প্রথমবার জায়গা করে নিয়েই বাজিমাত করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্সে এপ্রিল মাসের সেরা পুরুষ ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। নারীদের মধ্যে সেরার পুরস্কার জিতেছেন স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ব্রাইস।

 

গত মাসের সেরা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারের নাম বুধবার প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। মিরাজ সেরার লড়াইয়ে হারিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্সকে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস ও পাকিস্তানের ফাতিমা সানাকে পেছনে ফেলে স্বীকৃতিটি জিতেছেন ব্রাইস।

 

বাংলাদেশের তৃতীয় পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে মাস সেরার পুরস্কার জিতলেন মিরাজ। দুই বছর আগে সবশেষ এই সম্মাননা পেয়েছিলেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, ২০২৩ সালের মার্চে। পুরস্কারটি জেতা দেশের আরেকজন হলেন অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে চমৎকার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছিলেন মিরাজ। যার স্বীকৃতি পেলেন তিনি।

 

পুরস্কারটি জিততে পেরে ভীষণ খুশি মিরাজ করলেন স্মৃতিচারণও।

“আইসিসি মেন’স প্লেয়ার অব দ্য মান্থ জিততে পারা অবিশ্বাস্য সম্মানের। আইসিসির পুরস্কারগুলো যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য চূড়ান্ত স্বীকৃতি এবং বৈশ্বিক ভোট থেকে এটি পাওয়া আমার জন্য অনেক কিছু।” “এমন মুহূর্তগুলো আমাকে ক্রিকেট আঙিনায় যাত্রার কথা মনে করিয়ে দেয়- ২০১৬ আইসিসি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টের খেলোয়াড় হওয়া আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বিশাল প্রেরণা ছিল। আর এই পুরস্কারটি ঠিক তেমনই বিশেষ।”

 

সিলেটে প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে হারলেও রেকর্ড গড়া বোলিং করেন মিরাজ। প্রতিপক্ষের প্রথম ইনিংসে শেষের ৫ উইকেট একাই নেন তিনি। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে আঘাত হানেন টপ অর্ডারে, চমৎকার বোলিংয়ে সেবারও তার শিকার ৫ উইকেট।

তৃতীয়বার এক টেস্টে অন্তত ১০ উইকেট পান অভিজ্ঞ অফ স্পিনার। দেশের আর কারও নেই এই কীর্তি। বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচে দুবার করে ১০ উইকেট নিতে পেরেছেন দুই বাঁহাতি স্পিনার সাকিব ও তাইজুল ইসলাম। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের ইনিংস ও ১০৬ রানের জয়ের নায়ক মিরাজ। ১০৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে লিড এনে

 

দেন তিনি। পরে প্রতিপক্ষের দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার তিনি। তার আগে এই কীর্তি ছিল সাকিব আল হাসান (দুবার) ও সোহাগ গাজীর। আর একই সিরিজে এক ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার ও এক ইনিংসে সেঞ্চুরি করা টেস্ট ইতিহাসের সপ্তম ক্রিকেটার তিনি।

 

ব্রাইস মেয়েদের সেরা হয়েছেন বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে। ওই টুর্নামেন্টে স্কটল্যান্ডকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি। ২০২৫ বিশ্বকাপের টিকেট অবশ্য নিশ্চিত করতে পারেনি স্কটিশরা।

চতুর্থ হয়ে বাছাই পর্ব শেষ করে তারা। বাছাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯১ রানের ইনিংসের পর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৬০ রান করেন ব্রাইস। আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে উপহার দেন ১৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচে ৭৩.২৫ গড়ে ২৯৩ রান করেন ব্রাইস, যা আসরে সর্বোচ্চ। পেস বোলিংয়েও দারুণ অবদান রাখেন তিনি।

 

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটিসহ আসরে মোট উইকেট নেন ৬টি। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে বাছাইপর্বের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ব্রাইস। উইমেন’স বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের সেরা একাদশেও জায়গা হয় তার।

এবার জিতে নিলেন মাস সেরার পুরস্কারও।