ঢাকা ১১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

আইফোন বিক্রি হয় তৈরি খরচের দ্বিগুণ দামে

  • আপডেট সময় : ০৪:৩০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: অ্যাপলের আইফোনের দাম লাখ টাকা। কিন্তু এই ফোন তৈরির খরচ কত তা অনেকেরই জানা নেই। গ্রাহকের কাছ থেকে অ্যাপল কত লাভ করে এ সম্পর্কে ধারণা বুঝি কারোরই নেই।
আইফোন ছাড়াও লাখ টাকায় বিক্রি হয় গুগলের পিক্সেল ফোন ও স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলো। অ্যাপল বা অন্য যে কোনো কোম্পানিই হোক না কেন। কিন্তু এত দাম কেন? কোভিড ও উন্নত মানের চিপ তৈরির খরচ বৃদ্ধির কারণেই ফোনের দাম বেড়েছে বলে দাবি স্মার্টফোন নির্মাতাদের। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে কিছুটা ভিন্ন তথ্য সামনে এসেছে। রিপোর্টে আইফোন ১৬প্রো এবং পিক্সেল-৯প্রো তৈরির খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
পিক্সেল-৯প্রো স্মার্টফোন তৈরি করতে যেসব যন্ত্রাংশ লাগে তার দাম প্রায় ৪০৬ ডলার। একইভাবে আইফোন-১৬প্রো তৈরির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের মূল্য ৫৬৮ ডলার।
পিক্সেল-৯প্রো তৈরির খরচ পিক্সেল-৮প্রোর তুলনায় ১১ শতাংশ কম। তবে এভাবে সব সময় তুলনা করা যায় না। কারণ পিক্সেল-৯প্রোর স্ক্রিন ও ব্যাটারি ছোট। পিক্সেল-৯প্রোর টেনসর জি-৪ চিপের দাম প্রায় ১০ হাজার টাকারও বেশি। সেখানে স্যামসাং এম১৪ ডিসপ্লে এবং ক্যামেরার দাম যথাক্রমে ৭ হাজার ও ৮ হাজার টাকা।
অন্য দিকে আইফোন-১৬প্রো তৈরির খরচ আইফোন-১৫প্রোর তুলনায় ৬ শতাংশ বেশি। রিপোর্ট অনুযায়ী অ্যাপল এ-১৮প্রোর চিপসেটের দাম প্রায় ১৫ হাজার টাকা। সেখানে স্ক্রিন ও ক্যামেরার দাম ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা।
স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, অ্যাপল ও গুগলÑ দুটি কোম্পানিই তাদের প্রো ফোনগুলোর তৈরির খরচের দ্বিগুণ দামে বাজারে বিক্রি করছে। কিন্তু কেন? এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন, রিপোর্টে যে খরচ দেখানো হয়েছে সেটি ম্যানুফ্যাকচারিং কস্ট। অর্থাৎ ফোন তৈরি করতে কত খরচ পড়ে সেটিই।
এখন কারখানায় শুধু ফোন তৈরি করলেই তো হবে না। সেটিকে বাজারজাত করতে হবে। ইউজারকে জানাতে হবে নতুন ফোন এবং এর ফিচারের কথা। সোজা কথায়Ñ শিপিং, ডিস্ট্রিবিউশন, গবেষণা ও উন্নয়ন, মার্কেটিং ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বিপুল খরচ হয়। সেগুলোও হিসেবের মধ্যে ধরতে হবে। এসব মিলিয়েই ফোনের দাম বেড়ে যায়।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আইফোন বিক্রি হয় তৈরি খরচের দ্বিগুণ দামে

আপডেট সময় : ০৪:৩০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: অ্যাপলের আইফোনের দাম লাখ টাকা। কিন্তু এই ফোন তৈরির খরচ কত তা অনেকেরই জানা নেই। গ্রাহকের কাছ থেকে অ্যাপল কত লাভ করে এ সম্পর্কে ধারণা বুঝি কারোরই নেই।
আইফোন ছাড়াও লাখ টাকায় বিক্রি হয় গুগলের পিক্সেল ফোন ও স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলো। অ্যাপল বা অন্য যে কোনো কোম্পানিই হোক না কেন। কিন্তু এত দাম কেন? কোভিড ও উন্নত মানের চিপ তৈরির খরচ বৃদ্ধির কারণেই ফোনের দাম বেড়েছে বলে দাবি স্মার্টফোন নির্মাতাদের। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে কিছুটা ভিন্ন তথ্য সামনে এসেছে। রিপোর্টে আইফোন ১৬প্রো এবং পিক্সেল-৯প্রো তৈরির খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
পিক্সেল-৯প্রো স্মার্টফোন তৈরি করতে যেসব যন্ত্রাংশ লাগে তার দাম প্রায় ৪০৬ ডলার। একইভাবে আইফোন-১৬প্রো তৈরির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের মূল্য ৫৬৮ ডলার।
পিক্সেল-৯প্রো তৈরির খরচ পিক্সেল-৮প্রোর তুলনায় ১১ শতাংশ কম। তবে এভাবে সব সময় তুলনা করা যায় না। কারণ পিক্সেল-৯প্রোর স্ক্রিন ও ব্যাটারি ছোট। পিক্সেল-৯প্রোর টেনসর জি-৪ চিপের দাম প্রায় ১০ হাজার টাকারও বেশি। সেখানে স্যামসাং এম১৪ ডিসপ্লে এবং ক্যামেরার দাম যথাক্রমে ৭ হাজার ও ৮ হাজার টাকা।
অন্য দিকে আইফোন-১৬প্রো তৈরির খরচ আইফোন-১৫প্রোর তুলনায় ৬ শতাংশ বেশি। রিপোর্ট অনুযায়ী অ্যাপল এ-১৮প্রোর চিপসেটের দাম প্রায় ১৫ হাজার টাকা। সেখানে স্ক্রিন ও ক্যামেরার দাম ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা।
স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, অ্যাপল ও গুগলÑ দুটি কোম্পানিই তাদের প্রো ফোনগুলোর তৈরির খরচের দ্বিগুণ দামে বাজারে বিক্রি করছে। কিন্তু কেন? এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন, রিপোর্টে যে খরচ দেখানো হয়েছে সেটি ম্যানুফ্যাকচারিং কস্ট। অর্থাৎ ফোন তৈরি করতে কত খরচ পড়ে সেটিই।
এখন কারখানায় শুধু ফোন তৈরি করলেই তো হবে না। সেটিকে বাজারজাত করতে হবে। ইউজারকে জানাতে হবে নতুন ফোন এবং এর ফিচারের কথা। সোজা কথায়Ñ শিপিং, ডিস্ট্রিবিউশন, গবেষণা ও উন্নয়ন, মার্কেটিং ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বিপুল খরচ হয়। সেগুলোও হিসেবের মধ্যে ধরতে হবে। এসব মিলিয়েই ফোনের দাম বেড়ে যায়।