ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

আইফোনের দাম হতে পারে ২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা

  • আপডেট সময় : ০৪:৪১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ১২৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণে ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে আইফোনের দাম। চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৫৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করায় অ্যাপলের পণ্যের খরচ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। আর এই বাড়তি খরচের বোঝা গ্রাহকদের কাঁধেই চাপতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অ্যাপল যদি এই পুরো খরচ গ্রাহকদের ওপর চাপায়, তবে ৭৯৯ ডলার দামের সবচেয়ে সস্তা আইফোন ১৬-এর দাম বেড়ে হতে পারে ১ হাজার ১৪২ ডলার (১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা প্রায়)। একইভাবে, ১ টেরাবাইট স্টোরেজের আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের যে দাম এখন ১ হাজার ৫৯৯ ডলার, তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় ২ হাজার ৩০০ ডলারে (২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা প্রায়)।

রোজেনব্লাট সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক বার্টন ক্রকেট বলেন, আমরা ভেবেছিলাম অ্যাপলকে আগের মতোই ছাড় দেওয়া হবে। কিন্তু এবারের শুল্কনীতিতে তা দেখা যাচ্ছে না।

অ্যাপল বছরে দুই কোটির বেশি আইফোন বিক্রি করে এবং তাদের সবচেয়ে বড় বাজারগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপ। বেশিরভাগ আইফোন এখনো চীনেই তৈরি হয়, ফলে ৫৪ শতাংশ শুল্কে কঠিন বিপদে পড়বে প্রতিষ্ঠানটি। যদিও অ্যাপল তার কিছু উৎপাদন ভিয়েতনাম ও ভারতে স্থানান্তর করেছে, কিন্তু সেসব দেশেও যথাক্রমে ৪৬ ও ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

সিএফআরএ রিসার্চের বিশ্লেষক অ্যাঞ্জেলো জিনো বলেন, অ্যাপল খুব বেশি হলে ৫ থেকে ১০ শতাংশ খরচ গ্রাহকদের ওপর চাপাতে পারবে। আমরা মনে করি, প্রতিষ্ঠানটি বড় মূল্যবৃদ্ধির মতো পদক্ষেপ নেবে আগামী শরৎকালেই, যখন নতুন আইফোন ১৭ বাজারে আসবে।

সাম্প্রতিক সময়ে আইফোনের বিক্রিও কমেছে। ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ নামে নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ফিচারগুলো আশানুরূপ সাড়া পায়নি। ব্যবহারকারীদের নোটিফিকেশন সারাংশ তৈরি, ই-মেইল পুনর্লিখন এবং চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে তথ্য অ্যাক্সেসের সুযোগ দিলেও অনেকেই একে আইফোন আপগ্রেড করার মতো যথেষ্ট কারণ বলে মনে করছেন না।

রোজেনব্লাটের হিসাব বলছে, এই শুল্কনীতি অ্যাপলকে ৪০০ কোটি ডলার পর্যন্ত ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে। আর এমন পরিস্থিতিতে সুবিধা পেতে পারে স্যামসাং, কারণ দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর শুল্ক অনেক কম।

অ্যাপল এখনো এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিষয়টি নিয়ে চীন, হোয়াইট হাউজ এবং অ্যাপলের মধ্যে আলোচনা শুরু হতে পারে।

ক্রকেট বলেন, একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যাপলের মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে এভাবে চাপে ফেলবেন, তা ভাবাই কঠিন। কিন্তু বাস্তবতা বেশ কঠিন দেখাচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

আইফোনের দাম হতে পারে ২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা

আপডেট সময় : ০৪:৪১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণে ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে আইফোনের দাম। চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৫৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করায় অ্যাপলের পণ্যের খরচ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। আর এই বাড়তি খরচের বোঝা গ্রাহকদের কাঁধেই চাপতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অ্যাপল যদি এই পুরো খরচ গ্রাহকদের ওপর চাপায়, তবে ৭৯৯ ডলার দামের সবচেয়ে সস্তা আইফোন ১৬-এর দাম বেড়ে হতে পারে ১ হাজার ১৪২ ডলার (১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা প্রায়)। একইভাবে, ১ টেরাবাইট স্টোরেজের আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের যে দাম এখন ১ হাজার ৫৯৯ ডলার, তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় ২ হাজার ৩০০ ডলারে (২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা প্রায়)।

রোজেনব্লাট সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক বার্টন ক্রকেট বলেন, আমরা ভেবেছিলাম অ্যাপলকে আগের মতোই ছাড় দেওয়া হবে। কিন্তু এবারের শুল্কনীতিতে তা দেখা যাচ্ছে না।

অ্যাপল বছরে দুই কোটির বেশি আইফোন বিক্রি করে এবং তাদের সবচেয়ে বড় বাজারগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপ। বেশিরভাগ আইফোন এখনো চীনেই তৈরি হয়, ফলে ৫৪ শতাংশ শুল্কে কঠিন বিপদে পড়বে প্রতিষ্ঠানটি। যদিও অ্যাপল তার কিছু উৎপাদন ভিয়েতনাম ও ভারতে স্থানান্তর করেছে, কিন্তু সেসব দেশেও যথাক্রমে ৪৬ ও ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

সিএফআরএ রিসার্চের বিশ্লেষক অ্যাঞ্জেলো জিনো বলেন, অ্যাপল খুব বেশি হলে ৫ থেকে ১০ শতাংশ খরচ গ্রাহকদের ওপর চাপাতে পারবে। আমরা মনে করি, প্রতিষ্ঠানটি বড় মূল্যবৃদ্ধির মতো পদক্ষেপ নেবে আগামী শরৎকালেই, যখন নতুন আইফোন ১৭ বাজারে আসবে।

সাম্প্রতিক সময়ে আইফোনের বিক্রিও কমেছে। ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ নামে নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ফিচারগুলো আশানুরূপ সাড়া পায়নি। ব্যবহারকারীদের নোটিফিকেশন সারাংশ তৈরি, ই-মেইল পুনর্লিখন এবং চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে তথ্য অ্যাক্সেসের সুযোগ দিলেও অনেকেই একে আইফোন আপগ্রেড করার মতো যথেষ্ট কারণ বলে মনে করছেন না।

রোজেনব্লাটের হিসাব বলছে, এই শুল্কনীতি অ্যাপলকে ৪০০ কোটি ডলার পর্যন্ত ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে। আর এমন পরিস্থিতিতে সুবিধা পেতে পারে স্যামসাং, কারণ দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর শুল্ক অনেক কম।

অ্যাপল এখনো এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিষয়টি নিয়ে চীন, হোয়াইট হাউজ এবং অ্যাপলের মধ্যে আলোচনা শুরু হতে পারে।

ক্রকেট বলেন, একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যাপলের মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে এভাবে চাপে ফেলবেন, তা ভাবাই কঠিন। কিন্তু বাস্তবতা বেশ কঠিন দেখাচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স