ঢাকা ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫

আইপিএল বর্জনের ডাক দিলেন ইনজামাম

  • আপডেট সময় : ০৪:০১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বাড়তি সুবিধা নিয়ে চলমান বিতর্কের আগুনে নতুন করে ঘি ঢাললেন ইনজামাম-উল-হাক। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক তুলে আনলেন আইপিএলের প্রসঙ্গ। বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটাররা ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেললেও ভারতীয় ক্রিকেটারদের খেলতে দেওয়া হয় না ভিন দেশের লিগে। তার মতে, অন্য সব দেশের বোর্ডগুলোর উচিত আইপিএলে ক্রিকেটার না পাঠানো। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আলোচনার তুঙ্গে এখন ভেন্যু নিয়ে ভারতের বাড়তি সুবিধা পাওয়া। ভারতের সরকার তাদের ক্রিকেট দলকে অনুমতি দেয়নি পাকিস্তান সফরে যাওয়ার। অন্য কোনো দেশের ক্ষেত্রে এটা হলে হয়তো সেই দলকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো দল নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হতো। কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বের বাস্তবতায় ভারতকে বাদ দিয়ে বৈশ্বিক আসর আয়োজন করা একরকম অসম্ভবই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হচ্ছে তাই হাইব্রিড মডেলে। ভারতীয় দল তাদের সব ম্যাচ খেলছে দুবাইয়ে। গ্রুপ পর্বে তারা শীর্ষে থাকুক বা দুইয়ে, তাদের সেমি-ফাইনাল ম্যাচটি হবে দুবাইয়েই। ভারতের কারণে এমনকি ফাইনালের ভেন্যুও চূড়ান্ত নয়। ভারত ফাইনালে উঠলে এই ম্যাচও হবে দুবাইয়ে। ভারত বাদ পড়ে গেলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি হবে লাহোরে। অন্য সব দলকেই যেখানে শহর থেকে শহর, ভেন্যু থেকে ভেন্যুতে ছুটোছুটি করতে হচ্ছে, ভারত সেখানে একই শহরে একই হোটেলে থেকে একই মাঠে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। এটাকে বিশাল সুবিধা বলে মন্তব্য করে আলোচনার ঝড় তুলেছেন নাসের হুসেইন, মাইকেল আথারটনের মতো সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকে।

পাকিস্তানেও এটা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে তুমুল। তারা স্বাগতিক হলেও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি তাদেরকে খেলতে হয়েছে দেশের বাইরে গিয়ে এবং সেই ম্যাচ হেরে তারা ছিটকে পড়েছে আসর থেকে। টেলিভিশন আলোচনায় এই বিতর্কেই পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন ইনজামাম টেনে আনলেন আইপিএলের প্রসঙ্গ। “চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা বাদই দিন, আইপিএলে কি হচ্ছে? বিশ্বের শীর্ষ ক্রিকেটাররা আইপিএলে অংশ নেয়, কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটারদের অন্য দেশের লিগে খেলতে দেওয়া হয় না। অন্য দেশের বোর্ডগুলোর উচিত, আইপিএলে ক্রিকেটার পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া। তারা যদি নিজেদের ক্রিকেটারদের না ছাড়ে, অন্য বোর্ডগুলিরও একই অবস্থান নেওয়া উচিত।” ভারতের শুধু জাতীয় দলের বা চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারই নন, ভারতীয় ক্রিকেটে সক্রিয় কোনো ক্রিকেটারকে দেশের বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অনাপত্তিপত্র দেয় না তাদের বোর্ড। রাজনৈতিক কারণে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদেরও আইপিএলে নেওয়া হয় না। ২০০৮ সালে প্রথম আসরের পর আইপিএলে আর নেওয়া হয়নি পাকিস্তানিদের। এখন শুধু ধারাভাষ্যকার হিসেবে রামিজ রাজাকে আইপিএলে সুযোগ দেওয়া হয় মাঝেমধ্যে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আইপিএল বর্জনের ডাক দিলেন ইনজামাম

আপডেট সময় : ০৪:০১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বাড়তি সুবিধা নিয়ে চলমান বিতর্কের আগুনে নতুন করে ঘি ঢাললেন ইনজামাম-উল-হাক। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক তুলে আনলেন আইপিএলের প্রসঙ্গ। বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটাররা ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেললেও ভারতীয় ক্রিকেটারদের খেলতে দেওয়া হয় না ভিন দেশের লিগে। তার মতে, অন্য সব দেশের বোর্ডগুলোর উচিত আইপিএলে ক্রিকেটার না পাঠানো। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আলোচনার তুঙ্গে এখন ভেন্যু নিয়ে ভারতের বাড়তি সুবিধা পাওয়া। ভারতের সরকার তাদের ক্রিকেট দলকে অনুমতি দেয়নি পাকিস্তান সফরে যাওয়ার। অন্য কোনো দেশের ক্ষেত্রে এটা হলে হয়তো সেই দলকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো দল নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হতো। কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বের বাস্তবতায় ভারতকে বাদ দিয়ে বৈশ্বিক আসর আয়োজন করা একরকম অসম্ভবই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হচ্ছে তাই হাইব্রিড মডেলে। ভারতীয় দল তাদের সব ম্যাচ খেলছে দুবাইয়ে। গ্রুপ পর্বে তারা শীর্ষে থাকুক বা দুইয়ে, তাদের সেমি-ফাইনাল ম্যাচটি হবে দুবাইয়েই। ভারতের কারণে এমনকি ফাইনালের ভেন্যুও চূড়ান্ত নয়। ভারত ফাইনালে উঠলে এই ম্যাচও হবে দুবাইয়ে। ভারত বাদ পড়ে গেলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি হবে লাহোরে। অন্য সব দলকেই যেখানে শহর থেকে শহর, ভেন্যু থেকে ভেন্যুতে ছুটোছুটি করতে হচ্ছে, ভারত সেখানে একই শহরে একই হোটেলে থেকে একই মাঠে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। এটাকে বিশাল সুবিধা বলে মন্তব্য করে আলোচনার ঝড় তুলেছেন নাসের হুসেইন, মাইকেল আথারটনের মতো সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকে।

পাকিস্তানেও এটা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে তুমুল। তারা স্বাগতিক হলেও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি তাদেরকে খেলতে হয়েছে দেশের বাইরে গিয়ে এবং সেই ম্যাচ হেরে তারা ছিটকে পড়েছে আসর থেকে। টেলিভিশন আলোচনায় এই বিতর্কেই পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন ইনজামাম টেনে আনলেন আইপিএলের প্রসঙ্গ। “চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা বাদই দিন, আইপিএলে কি হচ্ছে? বিশ্বের শীর্ষ ক্রিকেটাররা আইপিএলে অংশ নেয়, কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটারদের অন্য দেশের লিগে খেলতে দেওয়া হয় না। অন্য দেশের বোর্ডগুলোর উচিত, আইপিএলে ক্রিকেটার পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া। তারা যদি নিজেদের ক্রিকেটারদের না ছাড়ে, অন্য বোর্ডগুলিরও একই অবস্থান নেওয়া উচিত।” ভারতের শুধু জাতীয় দলের বা চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারই নন, ভারতীয় ক্রিকেটে সক্রিয় কোনো ক্রিকেটারকে দেশের বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অনাপত্তিপত্র দেয় না তাদের বোর্ড। রাজনৈতিক কারণে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদেরও আইপিএলে নেওয়া হয় না। ২০০৮ সালে প্রথম আসরের পর আইপিএলে আর নেওয়া হয়নি পাকিস্তানিদের। এখন শুধু ধারাভাষ্যকার হিসেবে রামিজ রাজাকে আইপিএলে সুযোগ দেওয়া হয় মাঝেমধ্যে।