নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে যে কোনও চ্যানেল সম্প্রচার করা যায়, তবে তা দেশের আইন মেনে করতে হয়। আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে যে কোনও বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করতে হয় বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে। এই উপ-মহাদেশের সর্বত্র এমনকি ইউরোপেরও সব দেশে আইন মেনে চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করে। শুধু আমাদের দেশে আইনকে বছরের পর বছর বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চ্যানেলগুলো প্রদর্শন করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি জানিয়েছেন, সরকার কোনও চ্যানেল বন্ধ করেনি, বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দুই বছর আগে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসেছিলাম। বেশ কয়েকবার তাগাদা দেওয়া হয়েছে, নোটিশ করা হয়েছে। গত মাসের শুরুতে তাদের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো বসে সিদ্ধান্ত হয় ১ অক্টোবর থেকে আইন কার্যকর করব। তাই করেছি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ বলছেন ডিজিটালাইজড না হওয়া পর্যন্ত আইন শিথিল রাখতে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা পুরোটা ডিজিটালাইজড হয়নি। সেখানে আইন কার্যকর আছে। আমাদের দেশে এ ধরনের অজুহাত তোলার কোনও যুক্তি নেই।
ক্লিন ফিডে থাকা চ্যানেল বন্ধের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা, ফ্রান্স টিভি, রাশান টিভি, ইউরো টিভি, অ্যানিমেল প্ল্যানেটসহ ১৭টি চ্যানেল ক্লিন ফিডে আসে। সেগুলোও তারা চালাচ্ছেন না। যা কেবল অপারেটর লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ। সুতরাং কেউ শর্ত ভঙ্গ করলে শর্ত ভঙ্গের অপরাধে অভিযুক্ত হবেন। যেসব চ্যানেল ক্লিন ফিড পাঠায় না তাদের এজেন্ট আছে। এই দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট চ্যানেল ও এজেন্টের। এটি কেবল অপারেটরদের দায়িত্ব নয়। কিন্তু কোনও কোনও কেবল অপারেটর এজেন্টদের পাশ কাটিয়ে সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে পাইরেসি করে ডাউনলিঙ্ক করে যাচ্ছেন। সেটি কিন্তু তারা করতে পারেন না। এটি আইন বহির্ভূত। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার কোনও চাপের কাছে মাথা নত করবে না। আলাপ-আলোচনা তো হতেই পারে। তবে সেটি হতে হবে অবশ্যই দেশের স্বার্থে। এর বাইরে নয়।
আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেল বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে সম্প্রচার করতে হয়: তথ্যমন্ত্রী
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ