নিজস্ব প্রতিবেদক : আইনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতায় কাতারের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘এগ্রিমেন্ট ফর কো-অপারেশন ইন দ্য লিগ্যাল ফিল্ড’ শীর্ষক চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এটি কাতারের সঙ্গে আইনগত সহায়তা চুক্তি। এর মানে এই নয় যে, আসামি বিনিময় হবে। এটা হলো- ওদের লিগ্যাল সিস্টেমটা কেমন আছে, কীভাবে অপারেট করে, ওদের শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা কেমন, ওদের জেলা বা এগুলো কীভাবে চলে, তাদের (কাতার) সঙ্গে আমাদের আইন মন্ত্রণালয়ের একটা চুক্তি হবে। চুক্তি হলে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে যে আইনি ক্ষেত্রগুলো আছে, সেখানে সহযোগিতা করা যাবে।
‘আইনি ক্ষেত্রে ওদের যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, তাদের সঙ্গে একটি এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) হয়ে তারা নিজেদের মধ্যে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম (বিনিময় কর্মসূচি) করতে পারবে। এখান থেকে লোক ওখানে যেতে পারবে। ওদের কর্মকর্তারা এখানে আসতে পারবে।’ খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, সরকার যদি মনে করে সেক্ষেত্রে বারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবে। ওদের বার কীভাবে চলে, আমাদের বার কীভাবে চলে। উভয় দেশ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময় করতে পারবে। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের প্রটোকল ৫০(এ) এবং ৫৬ সংশোধন অনুসমর্থনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইসিএও (ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন) কাউন্সিলের সদস্য হলো ৩৬ জন, এটাকে ৪০ জন করতে হবে। আর এয়ার নেভিগেশনের কমিশনের সদস্য সংখ্যা ১৯ থেকে ২১ করতে হবে। এটা আন্তর্জাতিক চুক্তি, এটা আগেই করা ছিল। তাই ছোট দুটি সংশোধনের জন্য এটা মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতায় চুক্তি হচ্ছে কাতারের সঙ্গে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ