ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

আইজিপির নাম ও পদবী ব্যবহার করে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১

  • আপডেট সময় : ০১:১৮:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশ মহাপরিদর্শকের নাম ও পদবী ব্যবহার করে ইমেইল ও সোশাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
সিআইডির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের একটি বিশেষ দল সোমবার রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. আরিফ মাইনুদ্দিন নামের ৪৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে চারটি মোবাইলফোন এবং পাঁচটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ইমাম হোসেন বলেন, “গ্রেপ্তার আরিফ ম্যারেজ ডট কম নামের একটি কোম্পানির আড়ালে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের নাম, ছবি ও পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইমেইল, ট্রুকলার, আইকন, হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাকাউন্ট খুলে প্রাতারণা চালিয়ে আসছিলেন।
“তিনি বিভিন্ন দপ্তর, বাণিজ্যিক ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ফোন করে নিজেকে আইজিপি হিসাবে পরিচয় দিয়ে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করতেন।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আরিফ মাইনুদ্দিনের কাছ থেকে জব্দ করা একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে জিমেইল অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল বেনজীর আহমেদ নাম দিয়ে। সেই ইমেইল আইডির নাম ছিল নবহধুরৎ.রমঢ়@মসধরষ.পড়স. তারপর মোবাইল ফোনের অন্যান্য অ্যাপে আইজিপির নামে প্রোফাইল খোলেন তিনি। ফলে ওই মোবাইল থেকে তিনি যখন অন্য কোনো মোবাইলে ফোন করতেন, তখন অপরপ্রান্তে ট্রুকলার বা অন্যান্য অ্যাপে আইজিপির নাম, ছবি ও পদবী ভেসে উঠত।
ইমাম হোসেন জানান, গ্রেপ্তার আরিফ আইজিপি পরিচয় দিয়ে গত ২৬ অগাস্ট তিনটি বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ফোন করেন এবং ২৯ অগাস্ট একটি ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে ফোন করে ‘ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক আর্থিক সুবিধা’ দাবি করেন।
“আরিফ নিজের নামে সিম রেজিস্ট্রেশন না করে তার এক কর্মচারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে এ ধরনের প্রতারণা করে আসছিল। তার কাছে এমন আরও অনেক সিম আছে। আমাদের ধারণা, শুধুমাত্র ইন্সপেক্টর জেনারেলই না, আরও কয়েকজন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার পরিচয় ব্যবহার করেও তিনি প্রতারণা চালিয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।”
ইমাম হোসেন বলেন, “গ্রেপ্তার আরিফ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেছেন। তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স শেষ করে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কিছুদিন চাকরি করেছিলন। পরে তার চাকরি চলে গেলে অর্থ উপার্জনের আশায় এ ধরণের প্রতারণামূলক কাজে যুক্ত হন।”
তবে এ ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত তিনি কারও টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতে পেরেছেন কী না, কিংবা পারলেও সেই টাকার পরিমাণ কত- তা জানা যায়নি। আইজিপিসহ পুলিশের কর্মকর্তা কিংবা সরকারি উচ্চপদস্থ যে কোনো কর্মকর্তার নাম কিংবা পরিচয় ব্যবহার করে কেউ যদি ফোন করে কিংবা কোনো প্রকার হুমকি দেয়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের কাছে কিংবা জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯ এ তা জানাতে সবাইকে অনুরোধ করেন তিনি। গ্রেপ্তার আরিফ মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আইজিপির নাম ও পদবী ব্যবহার করে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১

আপডেট সময় : ০১:১৮:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশ মহাপরিদর্শকের নাম ও পদবী ব্যবহার করে ইমেইল ও সোশাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
সিআইডির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের একটি বিশেষ দল সোমবার রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. আরিফ মাইনুদ্দিন নামের ৪৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে চারটি মোবাইলফোন এবং পাঁচটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ইমাম হোসেন বলেন, “গ্রেপ্তার আরিফ ম্যারেজ ডট কম নামের একটি কোম্পানির আড়ালে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের নাম, ছবি ও পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইমেইল, ট্রুকলার, আইকন, হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাকাউন্ট খুলে প্রাতারণা চালিয়ে আসছিলেন।
“তিনি বিভিন্ন দপ্তর, বাণিজ্যিক ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ফোন করে নিজেকে আইজিপি হিসাবে পরিচয় দিয়ে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করতেন।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আরিফ মাইনুদ্দিনের কাছ থেকে জব্দ করা একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে জিমেইল অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল বেনজীর আহমেদ নাম দিয়ে। সেই ইমেইল আইডির নাম ছিল নবহধুরৎ.রমঢ়@মসধরষ.পড়স. তারপর মোবাইল ফোনের অন্যান্য অ্যাপে আইজিপির নামে প্রোফাইল খোলেন তিনি। ফলে ওই মোবাইল থেকে তিনি যখন অন্য কোনো মোবাইলে ফোন করতেন, তখন অপরপ্রান্তে ট্রুকলার বা অন্যান্য অ্যাপে আইজিপির নাম, ছবি ও পদবী ভেসে উঠত।
ইমাম হোসেন জানান, গ্রেপ্তার আরিফ আইজিপি পরিচয় দিয়ে গত ২৬ অগাস্ট তিনটি বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ফোন করেন এবং ২৯ অগাস্ট একটি ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে ফোন করে ‘ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক আর্থিক সুবিধা’ দাবি করেন।
“আরিফ নিজের নামে সিম রেজিস্ট্রেশন না করে তার এক কর্মচারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে এ ধরনের প্রতারণা করে আসছিল। তার কাছে এমন আরও অনেক সিম আছে। আমাদের ধারণা, শুধুমাত্র ইন্সপেক্টর জেনারেলই না, আরও কয়েকজন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার পরিচয় ব্যবহার করেও তিনি প্রতারণা চালিয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।”
ইমাম হোসেন বলেন, “গ্রেপ্তার আরিফ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেছেন। তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স শেষ করে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কিছুদিন চাকরি করেছিলন। পরে তার চাকরি চলে গেলে অর্থ উপার্জনের আশায় এ ধরণের প্রতারণামূলক কাজে যুক্ত হন।”
তবে এ ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত তিনি কারও টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতে পেরেছেন কী না, কিংবা পারলেও সেই টাকার পরিমাণ কত- তা জানা যায়নি। আইজিপিসহ পুলিশের কর্মকর্তা কিংবা সরকারি উচ্চপদস্থ যে কোনো কর্মকর্তার নাম কিংবা পরিচয় ব্যবহার করে কেউ যদি ফোন করে কিংবা কোনো প্রকার হুমকি দেয়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের কাছে কিংবা জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯ এ তা জানাতে সবাইকে অনুরোধ করেন তিনি। গ্রেপ্তার আরিফ মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।