ঢাকা ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

আইএসের শীর্ষ এক নেতাকে হত্যার দাবি তালেবানের

  • আপডেট সময় : ০২:০১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

এএফপি : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে কূটনৈতিক মিশনে হামলার পরিকল্পনাকারী জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শীর্ষ এক নেতাকে হত্যা করেছে তালেবানের সদস্যরা। রোববার রাতে আইএসের ওই নেতাকে অভিযান চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তালেবান। পশ্চিমা সৈন্যদের বিদায়ে ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর আফগানিস্তানে নাটকীয়ভাবে সহিংসতা কমে গেছে। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, রোববার রাতে এক অভিযান চালিয়ে তালেবানের সৈন্যরা আইএসের আঞ্চলিক গোয়েন্দা ও অপারেশনস প্রধান কারি ফাতেহকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, ফাতেহ সম্প্রতি কাবুলে কূটনৈতিক মিশন, মসজিদ এবং অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে সরাসরি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। কাবুলের যে স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, সেখানকার আশপাশের বাসিন্দারা রোববার রাতে বিকট গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে টুইট করা ভিডিওতে দেখা যায়, কাবুলের একটি ধ্বংসস্তূপে দু’জনের মরদেহ পড়ে আছে। গত বছরের জুলাইয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক প্রতিবেদনে ফাতেহকে আইএসের প্রধান নেতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে ভারত, ইরান এবং মধ্য-এশিয়ার বিস্তৃত এলাকায় সামরিক অভিযান পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়। তালেবান শাসনের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিক, ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে এই গোষ্ঠী। উভয় গোষ্ঠী কঠোর সুন্নি ইসলামপন্থি মতাদর্শ অনুসরণ করে। তবে আইএস বিশ্বজুড়ে ইসলামি ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে। আর তালেবান স্বাধীন আফগানিস্তান শাসন করলেও তাদেরও অভ্যন্তরীণ নিজস্ব কিছু লক্ষ্য-উদ্দেশ্য রয়েছে। গত ডিসেম্বরে কাবুলের একটি হোটেলে বন্দুক হামলার দায় স্বীকার করে আইএস। ওই হামলায় অন্তত পাঁচ চীনা নাগরিক আহত হয়েছিলেন। একই মাসে কাবুলে পাকিস্তানি দূতাবাসে হামলা চালায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এই গোষ্ঠী। ইসলামাবাদ এই হামলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে ‘হত্যার প্রচেষ্টা’ বলে নিন্দা জানায়। এছাড়া গত জানুয়ারিতে কাবুলে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানোর দাবি করে আইএস। এই হামলায় কমপক্ষে ১০ জনের প্রাণহানি ঘটে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে কাবুলে রুশ দূতাবাসের বাইরে আইএসের আত্মঘাতী বোমা হামলায় দূতাবাসের দুই কর্মী নিহত হন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে কাবুলে আইসের আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৫৪ জন নিহত হন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আইএসের শীর্ষ এক নেতাকে হত্যার দাবি তালেবানের

আপডেট সময় : ০২:০১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

এএফপি : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে কূটনৈতিক মিশনে হামলার পরিকল্পনাকারী জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শীর্ষ এক নেতাকে হত্যা করেছে তালেবানের সদস্যরা। রোববার রাতে আইএসের ওই নেতাকে অভিযান চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তালেবান। পশ্চিমা সৈন্যদের বিদায়ে ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর আফগানিস্তানে নাটকীয়ভাবে সহিংসতা কমে গেছে। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, রোববার রাতে এক অভিযান চালিয়ে তালেবানের সৈন্যরা আইএসের আঞ্চলিক গোয়েন্দা ও অপারেশনস প্রধান কারি ফাতেহকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, ফাতেহ সম্প্রতি কাবুলে কূটনৈতিক মিশন, মসজিদ এবং অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে সরাসরি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। কাবুলের যে স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, সেখানকার আশপাশের বাসিন্দারা রোববার রাতে বিকট গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে টুইট করা ভিডিওতে দেখা যায়, কাবুলের একটি ধ্বংসস্তূপে দু’জনের মরদেহ পড়ে আছে। গত বছরের জুলাইয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক প্রতিবেদনে ফাতেহকে আইএসের প্রধান নেতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে ভারত, ইরান এবং মধ্য-এশিয়ার বিস্তৃত এলাকায় সামরিক অভিযান পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়। তালেবান শাসনের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিক, ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে এই গোষ্ঠী। উভয় গোষ্ঠী কঠোর সুন্নি ইসলামপন্থি মতাদর্শ অনুসরণ করে। তবে আইএস বিশ্বজুড়ে ইসলামি ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে। আর তালেবান স্বাধীন আফগানিস্তান শাসন করলেও তাদেরও অভ্যন্তরীণ নিজস্ব কিছু লক্ষ্য-উদ্দেশ্য রয়েছে। গত ডিসেম্বরে কাবুলের একটি হোটেলে বন্দুক হামলার দায় স্বীকার করে আইএস। ওই হামলায় অন্তত পাঁচ চীনা নাগরিক আহত হয়েছিলেন। একই মাসে কাবুলে পাকিস্তানি দূতাবাসে হামলা চালায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এই গোষ্ঠী। ইসলামাবাদ এই হামলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে ‘হত্যার প্রচেষ্টা’ বলে নিন্দা জানায়। এছাড়া গত জানুয়ারিতে কাবুলে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানোর দাবি করে আইএস। এই হামলায় কমপক্ষে ১০ জনের প্রাণহানি ঘটে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে কাবুলে রুশ দূতাবাসের বাইরে আইএসের আত্মঘাতী বোমা হামলায় দূতাবাসের দুই কর্মী নিহত হন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে কাবুলে আইসের আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৫৪ জন নিহত হন।