ঢাকা ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

আইইএলটিএস রাইটিং : তালিকা ধরে শব্দ মুখস্থ কতটা কার্যকরী

  • আপডেট সময় : ১১:০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : একাডেমিক রাইটিং মডিউলে যে ২ ধরনের টাস্ক লিখতে দেওয়া হয়, তারমধ্যে গ্রাফ, ডায়াগ্রাম, ম্যাপ ইত্যাদির প্রথমটিতে উপাত্ত বিশ্লেষণ ও তুলনা সংক্রান্ত শব্দের ওপর দখল অর্জন করতে হয়। এসব টাস্ক লিখতে অসংখ্য শব্দ যে জানতেই হবে এমন না। আইইএলটিএস পরীক্ষার রাইটিং মডিউলে ভোকাবুলারিতে ভালো করার জন্য অনেকে তালিকা ধরে শব্দ মুখস্থ করে থাকেন। যা আদতে খুব একটা কার্যকরী পন্থা না। একাডেমিক রাইটিং মডিউলে যে ২ ধরনের টাস্ক লিখতে দেওয়া হয়, তারমধ্যে গ্রাফ, ডায়াগ্রাম, ম্যাপ ইত্যাদির প্রথমটিতে উপাত্ত বিশ্লেষণ ও তুলনা সংক্রান্ত শব্দের ওপর দখল অর্জন করতে হয়। এসব টাস্ক লিখতে অসংখ্য শব্দ যে জানতেই হবে এমন না। এ ক্ষেত্রে অল্প সংখ্যক প্রয়োজনীয় শব্দ জানা থাকলে, সেগুলো ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারলে বেশ ভালো স্কোর তোলা সম্ভব। তবে তুলনামূলক বেশি শব্দ জানতে হয় একাডেমিক রাইটিং মডিউলের দ্বিতীয় টাস্ক অর্থাৎ যুক্তিভিত্তিক লেখার অংশে। এখানেও গড়গড় করে ইংরেজি শব্দ মুখস্থ করার যে প্রবণতা শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা যায়, তা এই অংশের দখল অর্জনে তেমন একটা সাহায্য করে না। একাডেমিক রাইটিং মডিউলের টাস্ক ২-এ ভোকাবুলারির দখল বলতে বোঝায় বিষয় এবং লেখার আলোচ্য অংশ বা বাক্যে এ সংশ্লিষ্ট সুনির্দিষ্ট শব্দের ব্যবহার করতে পারার যোগ্যতা। শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি প্রবণতা আছে, কোনো একটি শব্দ শেখার সময় সেই শব্দের আরও কয়েকটি সমার্থক শব্দ শিখে রাখা। সমার্থক শব্দ শেখা যে খারাপ তা না, নিজেদের শব্দভা-ার বৃদ্ধি করার জন্য বরং অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। শিক্ষার্থীরা যেখানে ভুল করে, তা হলো সমার্থক শব্দ হলেও প্রত্যেকটি শব্দ যে অর্থগত ও ব্যবহারিক দিক থেকে সূক্ষ্মভাবে ভিন্ন সেই বিষয়ে মনযোগ দেয় না। এজন্য মানহীন ইংরেজি সমার্থক শব্দের বই (যেসব বইয়ের অনেকগুলো শিক্ষার্থীদের ভোকাবুলারি ভয়কে পুঁজি করে লেখা), ভাসা-ভাসা আলোচনাভিত্তিক ব্লগ, আর্টিকেল ইত্যাদি দায়ী।
নতুন শব্দ যাতে লেখায় আসে সে উদ্দেশ্যে অনেক শিক্ষার্থী সমার্থক শব্দের ব্যবহার করে। কিন্তু দেখা যায়, লেখায় যে ধারণা প্রকাশের জন্য একটি শব্দের এমন সমার্থক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, সেই সমার্থক শব্দের অর্থ যে শব্দের স্থলে বসানো হয়েছে তা থেকে অর্থগত সূক্ষ্মতার নিরিখে ভিন্ন। এতে করে প্রকাশ করতে চাওয়া ধারণা ঠিকঠাক রূপ পায় না, ফলে ভালো স্কোরও রেজাল্টে যোগ হয় না। অর্থের পার্থক্য সূক্ষ্ম বলে বিষয়টাকে আমলে না নেওয়ার কোনো কারণ নেই। কেন না, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এই সূক্ষ্ম পার্থক্যই অর্থগত জটিলতার সৃষ্টি করে আর লেখায় প্রকাশিত ধারণা হয়ে পড়ে অস্পষ্ট বা সমস্যাপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ জধরংব শব্দটি নিয়ে আলোচনা করা যাক। জধরংব শব্দের একটি অর্থ কোনো কিছুর বৃদ্ধি ঘটানো বা কোন কিছুকে বড়, মানসম্মত, উন্নত ইত্যাদি করা। অনেকে লেখায় কঠিন বা তুলনামূলক অপরিচিত শব্দ প্রয়োগ করতে বলেন, কোন জায়গায় জধরংব-এর সমার্থক শব্দ হিসেবে অঁমসবহঃ জানতে পেরে তা বাক্যে ব্যবহার করতে দেখা যায়।
অঁমসবহঃ শব্দের অর্থে কোন কিছুর আকৃতি বা মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টা থাকলেও সেই বৃদ্ধি ঘটে আলোচ্য বস্তুর সঙ্গে অন্য আরেকটা কিছুর সংযোগ ঘটিয়ে। সেইজন্য চাইলেই সবখানে জধরংব এবং অঁমসবহঃ-কে একে অন্যের পরিবর্তে ব্যবহার করা যায় না। যেকারণে, জধরংব াড়রপব, জধরংব ঃধী, জধরংব ংঃধহফধৎফং ইত্যাদির জধরংব এর স্থলে শুধু অঁমসবহঃ ব্যবহার করলে লেখায় যে ধারণার প্রকাশ ঘটাতে চাওয়া হচ্ছে তা নির্ভুল রূপ পায় না। এর ফলে বেশি স্কোর পাওয়ার উদ্দেশ্যে লেখায় তুলনামূলক অপরিচিত বা কঠিন শব্দ প্রয়োগ করার যে পরিকল্পনা, তা ভালো স্কোরের জন্য বুমেরাং হয়ে উঠে। লেখায় বিস্তৃত শব্দের ব্যবহার ভালো স্কোর পেতে সত্যিই সাহায্য করে, আর তা এক শব্দ থেকে অন্য শব্দের অর্থগত সূক্ষ্মতম পার্থক্যে মনযোগ দিয়ে শব্দ শেখার মাধ্যমেই সম্ভব, ভালোভাবে অর্থ না জেনে সমার্থক শব্দের তালিকা মুখস্থ করে সম্ভব না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আইইএলটিএস রাইটিং : তালিকা ধরে শব্দ মুখস্থ কতটা কার্যকরী

আপডেট সময় : ১১:০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : একাডেমিক রাইটিং মডিউলে যে ২ ধরনের টাস্ক লিখতে দেওয়া হয়, তারমধ্যে গ্রাফ, ডায়াগ্রাম, ম্যাপ ইত্যাদির প্রথমটিতে উপাত্ত বিশ্লেষণ ও তুলনা সংক্রান্ত শব্দের ওপর দখল অর্জন করতে হয়। এসব টাস্ক লিখতে অসংখ্য শব্দ যে জানতেই হবে এমন না। আইইএলটিএস পরীক্ষার রাইটিং মডিউলে ভোকাবুলারিতে ভালো করার জন্য অনেকে তালিকা ধরে শব্দ মুখস্থ করে থাকেন। যা আদতে খুব একটা কার্যকরী পন্থা না। একাডেমিক রাইটিং মডিউলে যে ২ ধরনের টাস্ক লিখতে দেওয়া হয়, তারমধ্যে গ্রাফ, ডায়াগ্রাম, ম্যাপ ইত্যাদির প্রথমটিতে উপাত্ত বিশ্লেষণ ও তুলনা সংক্রান্ত শব্দের ওপর দখল অর্জন করতে হয়। এসব টাস্ক লিখতে অসংখ্য শব্দ যে জানতেই হবে এমন না। এ ক্ষেত্রে অল্প সংখ্যক প্রয়োজনীয় শব্দ জানা থাকলে, সেগুলো ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারলে বেশ ভালো স্কোর তোলা সম্ভব। তবে তুলনামূলক বেশি শব্দ জানতে হয় একাডেমিক রাইটিং মডিউলের দ্বিতীয় টাস্ক অর্থাৎ যুক্তিভিত্তিক লেখার অংশে। এখানেও গড়গড় করে ইংরেজি শব্দ মুখস্থ করার যে প্রবণতা শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা যায়, তা এই অংশের দখল অর্জনে তেমন একটা সাহায্য করে না। একাডেমিক রাইটিং মডিউলের টাস্ক ২-এ ভোকাবুলারির দখল বলতে বোঝায় বিষয় এবং লেখার আলোচ্য অংশ বা বাক্যে এ সংশ্লিষ্ট সুনির্দিষ্ট শব্দের ব্যবহার করতে পারার যোগ্যতা। শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি প্রবণতা আছে, কোনো একটি শব্দ শেখার সময় সেই শব্দের আরও কয়েকটি সমার্থক শব্দ শিখে রাখা। সমার্থক শব্দ শেখা যে খারাপ তা না, নিজেদের শব্দভা-ার বৃদ্ধি করার জন্য বরং অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। শিক্ষার্থীরা যেখানে ভুল করে, তা হলো সমার্থক শব্দ হলেও প্রত্যেকটি শব্দ যে অর্থগত ও ব্যবহারিক দিক থেকে সূক্ষ্মভাবে ভিন্ন সেই বিষয়ে মনযোগ দেয় না। এজন্য মানহীন ইংরেজি সমার্থক শব্দের বই (যেসব বইয়ের অনেকগুলো শিক্ষার্থীদের ভোকাবুলারি ভয়কে পুঁজি করে লেখা), ভাসা-ভাসা আলোচনাভিত্তিক ব্লগ, আর্টিকেল ইত্যাদি দায়ী।
নতুন শব্দ যাতে লেখায় আসে সে উদ্দেশ্যে অনেক শিক্ষার্থী সমার্থক শব্দের ব্যবহার করে। কিন্তু দেখা যায়, লেখায় যে ধারণা প্রকাশের জন্য একটি শব্দের এমন সমার্থক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, সেই সমার্থক শব্দের অর্থ যে শব্দের স্থলে বসানো হয়েছে তা থেকে অর্থগত সূক্ষ্মতার নিরিখে ভিন্ন। এতে করে প্রকাশ করতে চাওয়া ধারণা ঠিকঠাক রূপ পায় না, ফলে ভালো স্কোরও রেজাল্টে যোগ হয় না। অর্থের পার্থক্য সূক্ষ্ম বলে বিষয়টাকে আমলে না নেওয়ার কোনো কারণ নেই। কেন না, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এই সূক্ষ্ম পার্থক্যই অর্থগত জটিলতার সৃষ্টি করে আর লেখায় প্রকাশিত ধারণা হয়ে পড়ে অস্পষ্ট বা সমস্যাপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ জধরংব শব্দটি নিয়ে আলোচনা করা যাক। জধরংব শব্দের একটি অর্থ কোনো কিছুর বৃদ্ধি ঘটানো বা কোন কিছুকে বড়, মানসম্মত, উন্নত ইত্যাদি করা। অনেকে লেখায় কঠিন বা তুলনামূলক অপরিচিত শব্দ প্রয়োগ করতে বলেন, কোন জায়গায় জধরংব-এর সমার্থক শব্দ হিসেবে অঁমসবহঃ জানতে পেরে তা বাক্যে ব্যবহার করতে দেখা যায়।
অঁমসবহঃ শব্দের অর্থে কোন কিছুর আকৃতি বা মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টা থাকলেও সেই বৃদ্ধি ঘটে আলোচ্য বস্তুর সঙ্গে অন্য আরেকটা কিছুর সংযোগ ঘটিয়ে। সেইজন্য চাইলেই সবখানে জধরংব এবং অঁমসবহঃ-কে একে অন্যের পরিবর্তে ব্যবহার করা যায় না। যেকারণে, জধরংব াড়রপব, জধরংব ঃধী, জধরংব ংঃধহফধৎফং ইত্যাদির জধরংব এর স্থলে শুধু অঁমসবহঃ ব্যবহার করলে লেখায় যে ধারণার প্রকাশ ঘটাতে চাওয়া হচ্ছে তা নির্ভুল রূপ পায় না। এর ফলে বেশি স্কোর পাওয়ার উদ্দেশ্যে লেখায় তুলনামূলক অপরিচিত বা কঠিন শব্দ প্রয়োগ করার যে পরিকল্পনা, তা ভালো স্কোরের জন্য বুমেরাং হয়ে উঠে। লেখায় বিস্তৃত শব্দের ব্যবহার ভালো স্কোর পেতে সত্যিই সাহায্য করে, আর তা এক শব্দ থেকে অন্য শব্দের অর্থগত সূক্ষ্মতম পার্থক্যে মনযোগ দিয়ে শব্দ শেখার মাধ্যমেই সম্ভব, ভালোভাবে অর্থ না জেনে সমার্থক শব্দের তালিকা মুখস্থ করে সম্ভব না।