ঢাকা ০৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

অ্যামাজনের সঙ্গে দুই যুবকের সাড়ে ১১ লাখ টাকার প্রতারণা

  • আপডেট সময় : ০৪:২৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন থেকে ক্যামেরা, আইফোন এবং লক্ষাধিক টাকার দামি জিনিসপত্র লুট করেছে দুই যুবক। অ্যামাজনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এই জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়েছে।
ভারতের গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদন জানা গেছে, ডেলিভারি পার্টনারদের টাকা না দিয়েই মূল্যবান ইলেকট্রনিক্স পণ্যগুলো লুট করেছে তারা। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের উরওয়া থানায় দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, ‘ওই দুই ব্যক্তি হলিা রাজ কুমার মীনা (২৩) ও রাজস্থানের সুভাষ গুর্জার (২৭)। দুই অপরাধীকে শনাক্ত করেছেন উরওয়া পুলিশ কমিশনার অনুপম আগরওয়াল।’
যেভাবে প্রতারণ করা হয়েছে: দু’জনই জাল পরিচয় ব্যবহার করে অ্যামাজন থেকে ১১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার পণ্য অর্ডার করেছিল। এর মধ্যে রয়েছে দুটি উচ্চ-মূল্যের সোনি ক্যামেরা এবং ১০টি অন্যান্য আইটেম। অমিত নামে ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে অ্যামাজন থেকে পণ্য অর্ডার করে তারা।
ব্যাঙ্গালুরু কেএসআরটিসি বাস স্ট্যান্ডের কাছের একটি জাল ঠিকানা এবং যোগাযোগ নম্বর দেয় দু’জন। আইটেমগুলো ডেলিভারির সময় তাদের মধ্যে একজন ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ বিভ্রান্ত করতে শুরু করে। ঠিক তখন আরেকজন ক্রমানুসারে অন্যান্য আইটেমগুলোর সাথে বাক্সের লেবেলগুলোকে অদলবদল করতে থাকে। এরপর রাজ কুমার ইচ্ছা করে একটি ভুল ওটিপি দেয়। ফলে ডেলিভারি দিতে দেরি হয়। এ বিষয়ে ডেলিভারি এক্সিকিউটিভকে জানান, তারা পরের দিন অর্ডারটি নেবেন। ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ অজান্তে ১২টি আসল পণ্যের বদলে ভুল পণ্য নিয়ে চলে যান। পরের দিন দুজনেই আসল পণ্যগুলো রেখে অর্ডারটি বাতিল করে দেয়।
তাদের যেভাবে গ্রেফতার করা হয়: অ্যামাজনের ডেলিভারি পার্টনার মাহিন্দ্রা লজিস্টিকসের কাছে ফেরত আসা পণ্যের স্টিকারগুলো সন্দেহজনক মনে হয়। তারপর তারা সেটি অ্যামাজনকে জানায়। পরে পুলিশি তদন্তে দেখা যায়, অভিযুক্তরা আসল সোনি ক্যামেরাগুলো নকল আইটেমগুলোর সাথে পরিবর্তন করে নিয়েছে। উরওয়া পুলিশ তারপর তাদের প্যাটার্ন শনাক্ত করে এবং যখন অভিযুক্তরা শহর ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তখন তাদের গ্রেফতার করে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অ্যামাজনের সঙ্গে দুই যুবকের সাড়ে ১১ লাখ টাকার প্রতারণা

আপডেট সময় : ০৪:২৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন থেকে ক্যামেরা, আইফোন এবং লক্ষাধিক টাকার দামি জিনিসপত্র লুট করেছে দুই যুবক। অ্যামাজনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এই জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়েছে।
ভারতের গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদন জানা গেছে, ডেলিভারি পার্টনারদের টাকা না দিয়েই মূল্যবান ইলেকট্রনিক্স পণ্যগুলো লুট করেছে তারা। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের উরওয়া থানায় দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, ‘ওই দুই ব্যক্তি হলিা রাজ কুমার মীনা (২৩) ও রাজস্থানের সুভাষ গুর্জার (২৭)। দুই অপরাধীকে শনাক্ত করেছেন উরওয়া পুলিশ কমিশনার অনুপম আগরওয়াল।’
যেভাবে প্রতারণ করা হয়েছে: দু’জনই জাল পরিচয় ব্যবহার করে অ্যামাজন থেকে ১১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার পণ্য অর্ডার করেছিল। এর মধ্যে রয়েছে দুটি উচ্চ-মূল্যের সোনি ক্যামেরা এবং ১০টি অন্যান্য আইটেম। অমিত নামে ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে অ্যামাজন থেকে পণ্য অর্ডার করে তারা।
ব্যাঙ্গালুরু কেএসআরটিসি বাস স্ট্যান্ডের কাছের একটি জাল ঠিকানা এবং যোগাযোগ নম্বর দেয় দু’জন। আইটেমগুলো ডেলিভারির সময় তাদের মধ্যে একজন ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ বিভ্রান্ত করতে শুরু করে। ঠিক তখন আরেকজন ক্রমানুসারে অন্যান্য আইটেমগুলোর সাথে বাক্সের লেবেলগুলোকে অদলবদল করতে থাকে। এরপর রাজ কুমার ইচ্ছা করে একটি ভুল ওটিপি দেয়। ফলে ডেলিভারি দিতে দেরি হয়। এ বিষয়ে ডেলিভারি এক্সিকিউটিভকে জানান, তারা পরের দিন অর্ডারটি নেবেন। ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ অজান্তে ১২টি আসল পণ্যের বদলে ভুল পণ্য নিয়ে চলে যান। পরের দিন দুজনেই আসল পণ্যগুলো রেখে অর্ডারটি বাতিল করে দেয়।
তাদের যেভাবে গ্রেফতার করা হয়: অ্যামাজনের ডেলিভারি পার্টনার মাহিন্দ্রা লজিস্টিকসের কাছে ফেরত আসা পণ্যের স্টিকারগুলো সন্দেহজনক মনে হয়। তারপর তারা সেটি অ্যামাজনকে জানায়। পরে পুলিশি তদন্তে দেখা যায়, অভিযুক্তরা আসল সোনি ক্যামেরাগুলো নকল আইটেমগুলোর সাথে পরিবর্তন করে নিয়েছে। উরওয়া পুলিশ তারপর তাদের প্যাটার্ন শনাক্ত করে এবং যখন অভিযুক্তরা শহর ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তখন তাদের গ্রেফতার করে।