প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রায়ই অ্যানড্রয়েড ফোনে হ্যাকাররা হানা দেয়। তাই হ্যাকারদের থেকে আপনার অ্যানড্রয়েড ফোন সুরক্ষিত রাখতে সাতটি উপায় জানুন।
১. অনেক স্মার্টফোন কোম্পানিই ফোন বিক্রি করার আগে নিজেদের কিছু অ্যাপ ফোনে ইনস্টল করে দেয়। অথচ কাজের ক্ষেত্রে তা কখনও ব্যবহারেই লাগে না। নিঃশব্দেই সে সব অ্যাপ ফোনের স্টোরেজ, র্যাম ও ব্যাটারি খরচ করে। অ্যানড্রয়েড ইউজাররা কিন্তু এই ব্লটওয়্য়ারগুলো ডিলিট করার অপশন পান। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য তা ডিলিট করলে মোবাইল আনস্টেবল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সেটিংসে গিয়ে অ্যাপগুলোকে ডিসেবেল করে দিতে পারেন।
২. অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোন কেনার পরই গুগলের ফাইন্ড ডিভাইস পরিষেবা অন করে রাখুন। তাহলে মোবাইল হারালে তা ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। আপনার ফোন খোলা গেলে কিন্তু শুধু ডিভাইসটিই হারাবে না, সঙ্গে মূল্যবান ডেটাও চুরি করে নেবে হ্যাকাররা। তাই সাবধান থাকুন প্রথম দিন থেকেই।
৩. অনেক আগে হয়তো একটি অ্যাপ ডাউনলোড করেছিলেন। পরবর্তীতে তা ভুলেই গিয়েছেন। তাই সেটিংস থেকে নিয়মিত ইনস্টলড অ্যাপগুলোর দিকে নজর রাখুন। বিভিন্ন অ্যাপে অকারণ বিজ্ঞাপন চলে। প্রয়োজন না হলে সে সব অ্যাপ ডিজিট করে ফেলুন। এতে ফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশের সম্ভাবনা কমে।
৪. বেশ কিছু অ্যাপের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও তা স্মার্টফোন দখল করে বসে থাকে। যা আদতে কোনও কাজেই লাগে না। এগুলোর মাধ্যমে অজান্তে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করতে পারে। আবার আপডেটও করা যাবে না সেই অ্যাপ। সুতরাং তার সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানুন।
৫. মাঝে মধ্যে গুগল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন। দীর্ঘদিন এক পাসওয়ার্ড ব্যবহার কিংবা ‘রিমেমবার মি’ অপশন অন করে রাখা একেবারেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। পাসওয়ার্ড বদলে ফেললে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকে।
৬. গুগল প্লে-স্টোর ছাড়া অন্য কোনও সোর্স থেকে অ্যাপ ইনস্টল করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে কোনও অ্যাপ প্লে-স্টোরে ঠাঁই পায়। তাই তা অনেক বেশি সুরক্ষিত। আর অজানা সোর্স থেকে থার্ড পার্টি অ্যাপ ফোনে ঢুকলে বিপদ কড়া নাড়তেই পারে।
৭. অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে প্রত্যেক সময় স্ক্রিনে ভেসে ওঠে একটি শর্তাবলির পেজ। বেশিরভাগ সময়ই তা না পড়ে ‘অ্যাক্সেপ্ট’ অপশনে টিক দিয়ে দেন ইউজাররা। শর্তাবলি পড়ে নিলে কিন্তু অনেক বিপদ এড়ানো সম্ভব হবে।
অ্যানড্রয়েড ফোন সুরক্ষিত রাখার ৭ উপায়
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ