ঢাকা ১২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

অস্ত্র কেনাবেচা বন্ধে আইন করছে কানাডা

  • আপডেট সময় : ০১:০৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হ্যান্ডগান কেনাবেচা বন্ধ রাখতে পার্লামেন্টে একটি আইনের খসড়া উত্থাপন করেছে কানাডার সরকার। বন্দুক নিয়ন্ত্রণ প্যাকেজের অংশ হিসেবে এই আইন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রস্তাবিত এই আইনে ম্যাগাজিনের সক্ষমতা কমিয়ে আনা এবং বন্দুকের মতো দেখতে কিছু খেলনা নিষিদ্ধের কথাও বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে এক স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৯ শিশু ও ২ শিক্ষক নিহতের সপ্তাহখানেক পর কানাডার সরকার এ আইনের প্রস্তাব করল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, বন্দুক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় নতুন ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। “দ্রুত ও দৃঢ় পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি যে দিন দিন খারাপ হয় এবং মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে পড়ে তা কেবল আমাদের দক্ষিণ সীমান্তের দিকে তাকালেই হবে,” বলেছেন তিনি। নতুন আইনে বন্দুক সংক্রান্ত খেলাধুলায় জড়িত শ্যুটার, অলিম্পিক অ্যাথলেট ও নিরাপত্তারক্ষীদের হ্যান্ডগান কেনায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। এখন যে কানাডীদের কাছে পিস্তল, রিভলবারের মতো হ্যান্ডগান আছে, তারাও সেগুলো রাখতে পারবেন। কেনাবেচা বন্ধের সম্ভাবনা থাকায় এখন অনেকে অস্ত্র কিনতে ছুটতে পারেন- কর্তৃপক্ষ এমনটা মনে করছে না বলে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন এক কর্মকর্তা। এর অন্যতম কারণ, কানাডায় এখনই অস্ত্র কেনাবেচা ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রিত। দেশটির বন্দুক সংক্রান্ত আইন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় কড়া, বন্দুক সহিংতার পরিমাণও যুক্তরাষ্ট্রের এক-পঞ্চমাংশ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কম হলেও অন্য অনেক ধনী দেশের তুলনায় কানাডায় বন্দুক সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যা বেশি। ২০২০ সালে দেশটিতে এ ধরনের যত অপরাধ হয়েছিল, তা ছিল অস্ট্রেলিয়ার ৫ গুণ। দুই বছর আগে কানাডায় এক ‘ম্যাস শুটিংয়ের’ ঘটনার পর দেশটির সরকার এআর-১৫ রাইফেলের মতো প্রায় দেড় হাজার অস্ত্রের বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। আগ্নেয়াস্ত্রের অনেক মালিক সরকারের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতেও গেছেন। ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টির পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও বাম ঘরানার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির সহায়তা নিয়ে হ্যান্ডগান কেনাবেচা বন্ধের এ আইনটি সহজেই পাস হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অস্ত্র কেনাবেচা বন্ধে আইন করছে কানাডা

আপডেট সময় : ০১:০৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হ্যান্ডগান কেনাবেচা বন্ধ রাখতে পার্লামেন্টে একটি আইনের খসড়া উত্থাপন করেছে কানাডার সরকার। বন্দুক নিয়ন্ত্রণ প্যাকেজের অংশ হিসেবে এই আইন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রস্তাবিত এই আইনে ম্যাগাজিনের সক্ষমতা কমিয়ে আনা এবং বন্দুকের মতো দেখতে কিছু খেলনা নিষিদ্ধের কথাও বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে এক স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৯ শিশু ও ২ শিক্ষক নিহতের সপ্তাহখানেক পর কানাডার সরকার এ আইনের প্রস্তাব করল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, বন্দুক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় নতুন ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। “দ্রুত ও দৃঢ় পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি যে দিন দিন খারাপ হয় এবং মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে পড়ে তা কেবল আমাদের দক্ষিণ সীমান্তের দিকে তাকালেই হবে,” বলেছেন তিনি। নতুন আইনে বন্দুক সংক্রান্ত খেলাধুলায় জড়িত শ্যুটার, অলিম্পিক অ্যাথলেট ও নিরাপত্তারক্ষীদের হ্যান্ডগান কেনায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। এখন যে কানাডীদের কাছে পিস্তল, রিভলবারের মতো হ্যান্ডগান আছে, তারাও সেগুলো রাখতে পারবেন। কেনাবেচা বন্ধের সম্ভাবনা থাকায় এখন অনেকে অস্ত্র কিনতে ছুটতে পারেন- কর্তৃপক্ষ এমনটা মনে করছে না বলে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন এক কর্মকর্তা। এর অন্যতম কারণ, কানাডায় এখনই অস্ত্র কেনাবেচা ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রিত। দেশটির বন্দুক সংক্রান্ত আইন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় কড়া, বন্দুক সহিংতার পরিমাণও যুক্তরাষ্ট্রের এক-পঞ্চমাংশ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কম হলেও অন্য অনেক ধনী দেশের তুলনায় কানাডায় বন্দুক সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যা বেশি। ২০২০ সালে দেশটিতে এ ধরনের যত অপরাধ হয়েছিল, তা ছিল অস্ট্রেলিয়ার ৫ গুণ। দুই বছর আগে কানাডায় এক ‘ম্যাস শুটিংয়ের’ ঘটনার পর দেশটির সরকার এআর-১৫ রাইফেলের মতো প্রায় দেড় হাজার অস্ত্রের বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। আগ্নেয়াস্ত্রের অনেক মালিক সরকারের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতেও গেছেন। ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টির পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও বাম ঘরানার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির সহায়তা নিয়ে হ্যান্ডগান কেনাবেচা বন্ধের এ আইনটি সহজেই পাস হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।