ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০২৮ অলিম্পিকসে খেলতে চান স্মিথ

  • আপডেট সময় : ০৮:২৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: প্রায় এক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা হয় না স্টিভেন স্মিথের। তবে এই সংস্করণের জাতীয় দলে ফেরার আশা এখনই ছাড়ছেন না তারকা ব্যাটসম্যান। ২০ ওভারের ক্রিকেটের ক্যারিয়ার দীর্ঘ করে ২০২৮ সালের অলিম্পিকসে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার লক্ষ্য তারা। তিন বছর পর অলিম্পিকস আসরটি বসবে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞে ১৯০০ সালের পর প্রথমবার থাকবে ক্রিকেট, সংস্করণ টি-টোয়েন্টি। ততদিনে স্মিথের বয়স হয়ে যাবে ৩৯। তবুও আশা ছাড়তে নারাজ ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেন স্মিথ। এরপর আর সুযোগ আসেনি। বাদ পড়েন তিনি গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকেও। গত চার আইপিএল নিলামে তাকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। গত বছর তিনি একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে ওয়াশিংটনের হয়ে।

অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিচ্ছেন স্মিথ। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর টি-টোয়েন্টির তেমন কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই শনিবার মাঠে নেমে করেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। সিডনি সিক্সার্সের হয়ে ৬৪ বলে ১২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন পার্থ স্কর্চার্সের বিপক্ষে। তার ইনিংসটি সাজানো ৭ ছক্কা ও ১০ চারে। অস্ট্রেলিয়ার এই টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় সবশেষ সাত ইনিংসে এটি স্মিথের তৃতীয় সেঞ্চুরই। টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি নেই কারো। বেন ম্যাকডারমটেরও রয়েছে তিন শতক।

তবে স্মিথের চেয়ে তিনগুনের বেশি ম্যাচ খেলেছেন ম্যাকডারমট, ১০০টি। আর স্মিথ খেলেছেন কেবল ৩২ ম্যাচ।
স্মিথের এমন পারফরম্যান্স বলছে, টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার সেরা ওপেনারদের একজন তিনি। বিগ ব্যাশে তার ৪৫.৮৮ গড় যেকোনো স্থানীয় ব্যাটসম্যানের চেয়ে বেশি। তার ১৪৬.৩০ স্ট্রাইক রেট সবমিলিয়ে ষষ্ঠ সেরা। তবে কেবল ঘরোয়া ক্রিকেটে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে খেলে যেতে চান না স্মিথ। অস্ট্রেলিয়া দলে ফেরায় চোখ তার। ফক্স স্পোর্টসে আলাপকালে বলেছেন, লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকসে খেলতে চাওয়ার কথাও।

“আমি অলিম্পিকসে খেলছে চাই। আমার মনে হয়ে, সেখানে খেলতে পারা হবে দুর্দান্ত ব্যাপার হবে। দেখা যাক, দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে আমি কতদূর যেতে পারি। তবে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটের অধ্যায় শেষ করার পর আমি কিছুদিন সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেট খেলার কথা ভাবছি। কি হয়, কেউ জানে না। অনেক তরুণ ক্রিকেটার আছে যারা মাঠের বাইরে বল আছড়ে ফেলছে।

” স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ২৫৬ ম্যাচ খেলেছেন স্মিথ। ৩২.৩২ গড় ও ১২৯.৭১ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৫ হাজার ৭৫৪ রান। নামের পাশে সেঞ্চুরি ৪টি, ফিফটি ২৭টি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০২৮ অলিম্পিকসে খেলতে চান স্মিথ

আপডেট সময় : ০৮:২৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: প্রায় এক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা হয় না স্টিভেন স্মিথের। তবে এই সংস্করণের জাতীয় দলে ফেরার আশা এখনই ছাড়ছেন না তারকা ব্যাটসম্যান। ২০ ওভারের ক্রিকেটের ক্যারিয়ার দীর্ঘ করে ২০২৮ সালের অলিম্পিকসে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার লক্ষ্য তারা। তিন বছর পর অলিম্পিকস আসরটি বসবে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞে ১৯০০ সালের পর প্রথমবার থাকবে ক্রিকেট, সংস্করণ টি-টোয়েন্টি। ততদিনে স্মিথের বয়স হয়ে যাবে ৩৯। তবুও আশা ছাড়তে নারাজ ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেন স্মিথ। এরপর আর সুযোগ আসেনি। বাদ পড়েন তিনি গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকেও। গত চার আইপিএল নিলামে তাকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। গত বছর তিনি একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে ওয়াশিংটনের হয়ে।

অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিচ্ছেন স্মিথ। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর টি-টোয়েন্টির তেমন কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই শনিবার মাঠে নেমে করেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। সিডনি সিক্সার্সের হয়ে ৬৪ বলে ১২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন পার্থ স্কর্চার্সের বিপক্ষে। তার ইনিংসটি সাজানো ৭ ছক্কা ও ১০ চারে। অস্ট্রেলিয়ার এই টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় সবশেষ সাত ইনিংসে এটি স্মিথের তৃতীয় সেঞ্চুরই। টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি নেই কারো। বেন ম্যাকডারমটেরও রয়েছে তিন শতক।

তবে স্মিথের চেয়ে তিনগুনের বেশি ম্যাচ খেলেছেন ম্যাকডারমট, ১০০টি। আর স্মিথ খেলেছেন কেবল ৩২ ম্যাচ।
স্মিথের এমন পারফরম্যান্স বলছে, টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার সেরা ওপেনারদের একজন তিনি। বিগ ব্যাশে তার ৪৫.৮৮ গড় যেকোনো স্থানীয় ব্যাটসম্যানের চেয়ে বেশি। তার ১৪৬.৩০ স্ট্রাইক রেট সবমিলিয়ে ষষ্ঠ সেরা। তবে কেবল ঘরোয়া ক্রিকেটে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে খেলে যেতে চান না স্মিথ। অস্ট্রেলিয়া দলে ফেরায় চোখ তার। ফক্স স্পোর্টসে আলাপকালে বলেছেন, লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকসে খেলতে চাওয়ার কথাও।

“আমি অলিম্পিকসে খেলছে চাই। আমার মনে হয়ে, সেখানে খেলতে পারা হবে দুর্দান্ত ব্যাপার হবে। দেখা যাক, দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে আমি কতদূর যেতে পারি। তবে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটের অধ্যায় শেষ করার পর আমি কিছুদিন সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেট খেলার কথা ভাবছি। কি হয়, কেউ জানে না। অনেক তরুণ ক্রিকেটার আছে যারা মাঠের বাইরে বল আছড়ে ফেলছে।

” স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ২৫৬ ম্যাচ খেলেছেন স্মিথ। ৩২.৩২ গড় ও ১২৯.৭১ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৫ হাজার ৭৫৪ রান। নামের পাশে সেঞ্চুরি ৪টি, ফিফটি ২৭টি।