ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং গুঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কার রেকর্ড গড়া জয়

  • আপডেট সময় : ০৪:১১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: আরও একবার নতুন বলে ছোবল দিলেন পেসার আসিথা ফার্নান্দো। মিডল ও লোয়ার অর্ডারে ধস নামালেন দুই স্পিনার দুনিথ ওয়েলালাগে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আরেকবার শ্রীলঙ্কার পেস-স্পিনের যৌথ আক্রমণে বিধ্বস্ত হলো অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। রেকর্ড গড়া জয়ে ওয়ানডে সিরিজে তাদের হোয়াইটওয়াশ করল লঙ্কানরা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার জয় ১৭৪ রানে। দুই ম্যাচের সিরিজ তারা জিতে নিয়েছে ২-০ ব্যবধানে। এই সংস্করণে রানের হিসাবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় জয় এটিই। এর আগে সর্বোচ্চ ৮২ রানে জিতেছিল তারা ২০১৬ সালে কলম্বোতে। সেই আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামেই শুক্রবার ২৮২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২৪.২ ওভারে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে যায় স্রেফ ১০৭ রানে। ২৮ রানে হারায় শেষ ৭ উইকেট।

এই সংস্করণে এশিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সব ভেন্যু মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর এটি। এশিয়ায় তাদের আগের সর্বনিম্ন ছিল ১৩৯, ১৯৮৫ সালে শারজাহতে ভারতের বিপক্ষে ও ১৯৮৯ সালে মুম্বাইয়ে (তখনকার বোম্বে) পাকিস্তানের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার জয়ের ভিত গড়ে দেন কুসাল মেন্ডিস ও চারিথ আসালাঙ্কা। ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ১১৫ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন মেন্ডিস। ১১ চারে গড়া ইনিংসে ম্যাচ-সেরার স্বীকৃতি পান তিনিই। আগের ম্যাচে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি করা আসালাঙ্কা এবার ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ বলে খেলেন অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংস। দুই ম্যাচে ২০৫ রান করে সিরিজের সেরা লঙ্কান অধিনায়ক। বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ৩ উইকেট নেন আসিথা। পরের ৭ উইকেট ভাগ করে নেন ওয়েলালাগে ও হাসারাঙ্গা। বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলালাগের প্রাপ্তি ৩৫ রানে ৪টি, লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গার শিকার ২৩ রানে ৩টি। অস্ট্রেলিয়ার মূল পেসাররা নেই আগে থেকে। এই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয় দুই পেসার স্পেন্সার জনসন ও ন্যাথান এলিসকে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা ভালো ছিল না। ষষ্ঠ ওভারে তারা হারায় পাথুম নিসাঙ্কাকে। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৮ রানের জুটিতে দলকে টানেন নিশান মাদুশকা ও কুসাল মেন্ডিস।

ফিফটি করার পরপরই ফেরেন ওপেনার মাদুশকা (৭০ বলে ৫১)। চারে নেমে টিকতে পারেননি কামিন্দু মেন্ডিস। তবে কুসাল মেন্ডিস দলকে এগিয়ে নেন আসালাঙ্কার সঙ্গে জুটি বেঁধে। ৯৪ রানের জুটি গড়েন দুজন। মেন্ডিস সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১১৩ বলে। পরের ওভারে বিদায় নেন তিনি লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পার বলে ক্যাচ দিয়ে। শেষ দিকে ঝড় তুলে দলের স্কোর ২৮১ পর্যন্ত নিয়ে যান আসালাঙ্কা ও জানিথ লিয়ানাগে। ৩৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬৬ রানের জুটি গড়েন দুজন। ২ ছক্কা ও ৩ চারে ২১ বলে ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন লিয়ানাগে। অস্ট্রেলিয়া এ দিন ফেরায় তিন ব্যাটসম্যান ট্রাভিস হেড, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও জশ ইংলিসকে। তারপরও সফরকারীরা পারেনি ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসতে। প্রথম ওভারে যদিও আসিথাকে তিনটি চার মেরে শুরু করেন হেড। এই ওভারে ১৪ রান দেওয়ার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান আসিথা। নিজের পরের তিন ওভারে তিনি যথাক্রমে ফিরিয়ে দেন ম্যাথু শর্ট, জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক ও হেডকে (১৮ বলে ১৮)। তখন ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ উইকেটে ৪৬ রানের জুটিতে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও জশ ইংলিস। এই জুটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। বাকিদের আর কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। নিজের পরপর দুই ওভারে ইংলিস (২৭ বলে ২২) ও ম্যাক্সওয়েলকে বোল্ড করে দেন ওয়েলালাগে। হাসারাঙ্গা নিজের টানা তিন ওভারে তুলে নেন অ্যারন হার্ডি, স্মিথ (৩৪ বলে ২৯) ও শন অ্যাবটের উইকেট। ওয়েলালাগে পরে শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ইনিংস গুটিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার। স্মিথের নেতৃত্বে এই সফরে টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতলেও, ওয়ানডেতে পাত্তা পেল না অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে ১৬৫ রানে গুটিয়ে ৪৯ রানে হেরেছিল তারা। তাদের এমন বিবর্ণ ব্যাটিং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে যথেষ্ট দুর্ভাবনার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৮১/৪ (নিসাঙ্কা ৬, মাদুশকা ৫১, কুসাল মেন্ডিস ১০১, কামিন্দু মেন্ডিস ৪, আসালাঙ্কা ৭৮*, লিয়ানাগে ৩২*; ডোয়ার্শিস ১০-১-৪৭-১, হার্ডি ৯-০-৬০-১, অ্যাবট ১০-০-৪১-১, শর্ট ৪-০-২৫-০, স্যাঙ্ঘা ৫-০-৩৪-০, জ্যাম্পা ৮-০-৪৭-১, ম্যাক্সওয়েল ৪-০-২৩-০)
অস্ট্রেলিয়া: ২৪.২ ওভারে ১০৭ (শর্ট ২, হেড ১৮, ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক ৯, স্মিথ ২৯, ইংলিস ২২, হার্ডি ০, ম্যাক্সওয়েল ১, অ্যাবট ২, ডোয়ার্শিস ৯, জ্যাম্পা ৮, স্যাঙ্ঘা ৫*; আসিথা ৪-০-২৩-৩, থিকশানা ৩-০-১১-০, ওয়েলালাগে ৭.২-০-৩৫-৪, মালিঙ্গা ৩-০-১৫-০, হাসারাঙ্গা ৭-২-২৩-৩)
ফল: শ্রীলঙ্কা ১৭৪ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজ ২-০তে জয়ী শ্রীলঙ্কা
ম্যান অব দা ম্যাচ: কুসাল মেন্ডিস
ম্যান অব দা সিরিজ: চারিথ আসালাঙ্কা

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আইন-বিবেক অনুযায়ী ডিসিদের কাজ করার নির্দেশনা আইন উপদেষ্টার

অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং গুঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কার রেকর্ড গড়া জয়

আপডেট সময় : ০৪:১১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: আরও একবার নতুন বলে ছোবল দিলেন পেসার আসিথা ফার্নান্দো। মিডল ও লোয়ার অর্ডারে ধস নামালেন দুই স্পিনার দুনিথ ওয়েলালাগে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আরেকবার শ্রীলঙ্কার পেস-স্পিনের যৌথ আক্রমণে বিধ্বস্ত হলো অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। রেকর্ড গড়া জয়ে ওয়ানডে সিরিজে তাদের হোয়াইটওয়াশ করল লঙ্কানরা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার জয় ১৭৪ রানে। দুই ম্যাচের সিরিজ তারা জিতে নিয়েছে ২-০ ব্যবধানে। এই সংস্করণে রানের হিসাবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় জয় এটিই। এর আগে সর্বোচ্চ ৮২ রানে জিতেছিল তারা ২০১৬ সালে কলম্বোতে। সেই আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামেই শুক্রবার ২৮২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২৪.২ ওভারে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে যায় স্রেফ ১০৭ রানে। ২৮ রানে হারায় শেষ ৭ উইকেট।

এই সংস্করণে এশিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সব ভেন্যু মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর এটি। এশিয়ায় তাদের আগের সর্বনিম্ন ছিল ১৩৯, ১৯৮৫ সালে শারজাহতে ভারতের বিপক্ষে ও ১৯৮৯ সালে মুম্বাইয়ে (তখনকার বোম্বে) পাকিস্তানের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার জয়ের ভিত গড়ে দেন কুসাল মেন্ডিস ও চারিথ আসালাঙ্কা। ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ১১৫ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন মেন্ডিস। ১১ চারে গড়া ইনিংসে ম্যাচ-সেরার স্বীকৃতি পান তিনিই। আগের ম্যাচে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি করা আসালাঙ্কা এবার ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ বলে খেলেন অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংস। দুই ম্যাচে ২০৫ রান করে সিরিজের সেরা লঙ্কান অধিনায়ক। বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ৩ উইকেট নেন আসিথা। পরের ৭ উইকেট ভাগ করে নেন ওয়েলালাগে ও হাসারাঙ্গা। বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলালাগের প্রাপ্তি ৩৫ রানে ৪টি, লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গার শিকার ২৩ রানে ৩টি। অস্ট্রেলিয়ার মূল পেসাররা নেই আগে থেকে। এই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয় দুই পেসার স্পেন্সার জনসন ও ন্যাথান এলিসকে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা ভালো ছিল না। ষষ্ঠ ওভারে তারা হারায় পাথুম নিসাঙ্কাকে। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৮ রানের জুটিতে দলকে টানেন নিশান মাদুশকা ও কুসাল মেন্ডিস।

ফিফটি করার পরপরই ফেরেন ওপেনার মাদুশকা (৭০ বলে ৫১)। চারে নেমে টিকতে পারেননি কামিন্দু মেন্ডিস। তবে কুসাল মেন্ডিস দলকে এগিয়ে নেন আসালাঙ্কার সঙ্গে জুটি বেঁধে। ৯৪ রানের জুটি গড়েন দুজন। মেন্ডিস সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১১৩ বলে। পরের ওভারে বিদায় নেন তিনি লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পার বলে ক্যাচ দিয়ে। শেষ দিকে ঝড় তুলে দলের স্কোর ২৮১ পর্যন্ত নিয়ে যান আসালাঙ্কা ও জানিথ লিয়ানাগে। ৩৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬৬ রানের জুটি গড়েন দুজন। ২ ছক্কা ও ৩ চারে ২১ বলে ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন লিয়ানাগে। অস্ট্রেলিয়া এ দিন ফেরায় তিন ব্যাটসম্যান ট্রাভিস হেড, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও জশ ইংলিসকে। তারপরও সফরকারীরা পারেনি ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসতে। প্রথম ওভারে যদিও আসিথাকে তিনটি চার মেরে শুরু করেন হেড। এই ওভারে ১৪ রান দেওয়ার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান আসিথা। নিজের পরের তিন ওভারে তিনি যথাক্রমে ফিরিয়ে দেন ম্যাথু শর্ট, জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক ও হেডকে (১৮ বলে ১৮)। তখন ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ উইকেটে ৪৬ রানের জুটিতে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও জশ ইংলিস। এই জুটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। বাকিদের আর কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। নিজের পরপর দুই ওভারে ইংলিস (২৭ বলে ২২) ও ম্যাক্সওয়েলকে বোল্ড করে দেন ওয়েলালাগে। হাসারাঙ্গা নিজের টানা তিন ওভারে তুলে নেন অ্যারন হার্ডি, স্মিথ (৩৪ বলে ২৯) ও শন অ্যাবটের উইকেট। ওয়েলালাগে পরে শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ইনিংস গুটিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার। স্মিথের নেতৃত্বে এই সফরে টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতলেও, ওয়ানডেতে পাত্তা পেল না অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে ১৬৫ রানে গুটিয়ে ৪৯ রানে হেরেছিল তারা। তাদের এমন বিবর্ণ ব্যাটিং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে যথেষ্ট দুর্ভাবনার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৮১/৪ (নিসাঙ্কা ৬, মাদুশকা ৫১, কুসাল মেন্ডিস ১০১, কামিন্দু মেন্ডিস ৪, আসালাঙ্কা ৭৮*, লিয়ানাগে ৩২*; ডোয়ার্শিস ১০-১-৪৭-১, হার্ডি ৯-০-৬০-১, অ্যাবট ১০-০-৪১-১, শর্ট ৪-০-২৫-০, স্যাঙ্ঘা ৫-০-৩৪-০, জ্যাম্পা ৮-০-৪৭-১, ম্যাক্সওয়েল ৪-০-২৩-০)
অস্ট্রেলিয়া: ২৪.২ ওভারে ১০৭ (শর্ট ২, হেড ১৮, ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক ৯, স্মিথ ২৯, ইংলিস ২২, হার্ডি ০, ম্যাক্সওয়েল ১, অ্যাবট ২, ডোয়ার্শিস ৯, জ্যাম্পা ৮, স্যাঙ্ঘা ৫*; আসিথা ৪-০-২৩-৩, থিকশানা ৩-০-১১-০, ওয়েলালাগে ৭.২-০-৩৫-৪, মালিঙ্গা ৩-০-১৫-০, হাসারাঙ্গা ৭-২-২৩-৩)
ফল: শ্রীলঙ্কা ১৭৪ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজ ২-০তে জয়ী শ্রীলঙ্কা
ম্যান অব দা ম্যাচ: কুসাল মেন্ডিস
ম্যান অব দা সিরিজ: চারিথ আসালাঙ্কা