ঢাকা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু নিউজিল্যান্ডের

  • আপডেট সময় : ০১:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : টি-টোয়েন্টির বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। তাদের মাঠেই আবার এবারের বিশ্বকাপ। স্বাভাবিকভাবেই ফেভারিটের তালিকায় ওপরের দিকে অ্যারন ফিঞ্চরা। অথচ সেই তারাই কিনা নিউজিল্যান্ডের সামনে পাত্তা পেলো না! কিউইদের দাপটে খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
গতকাল শনিবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৮৯ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ডেভন কনওয়ের সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০০ রান করে কিউইরা। কঠিন এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৭.১ ওভারে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
যে উইকেটে তা-ব চালিয়েছেন কিউই ব্যাটাররা, সেখানে পুরোপুরি ব্যর্থ ডেভিড ওয়ার্নার-ফিঞ্চরা। কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে টিম সাউদি-মিচেল স্যান্টনারের বোলিংয়ের সামনে ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার। মাত্র ৫ রানে সাউদির বলে বোল্ড হয়ে যান ওয়ার্নার। এরপর স্যান্টনারের আঘাত। বাঁহাতি স্পিনারের প্রথম শিকার ১৩ রান করা ফিঞ্চ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দেন মিচেল মার্শ (১৬), মার্কাস স্টোইনিস (৭), টিম ডেভিড (১১) ও ম্যাথু ওয়েড (২)। দলীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন গে¬ন ম্যাক্সওয়েল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ প্যাট কামিন্সের।

বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন সাউদি। এই পেসার ২.১ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। স্যান্টনার ৪ ওভারে ৩১ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। আর ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় যোগ করেছেন ২ উইকেট।

এর আগে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। কনওয়ের অপরাজিত ৯২ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০০ রান করে কিউইরা।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামার পর থেকেই নিউজিল্যান্ডের তা-ব। আক্ষরিক অর্থেই সিডনিতে ঝড় তুলেছিলেন ফিন অ্যালেন। এই ওপেনার অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের রীতিমতো শাসন করেছেন। জশ হ্যাজেলউডের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৬ বলে খেলেন ৪২ রানে টর্নেডো ইনিংস। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো তার ইনিংসটি।

তার ওপেনিং সঙ্গী কনওয়ে শুরুতে ধরে খেললেও সময় গড়ানোর সঙ্গে তিনিও হয়ে ওঠেন ভয়ংকর। অজি বোলাররা তাকে আউট করতে পারেননি। ব্যাট ক্যারি করে মাঠ ছেড়েছেন। তবে আক্ষেপ হয়তো কিছুটা আছে। ওভার না থাকায় সেঞ্চুরি যে পাওয়া হলো না! ৯২ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়েন। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা এই ব্যাটার ৫৮ বলের ইনিংসটি সাজান ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়।

কিউইদের বড় সংগ্রহের পথে অবদান আছে জিমি নিশামের। শেষ বলে তার ছক্কাতেই তো ২০০ স্পর্শ করে স্কোর। বাঁহাতি ব্যাটার ১৩ বলে ২ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ২৬ রানে। এছাড়া অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ২৩ বলে ২৩ ও গে¬ন ফিলিপস ১০ বলে করেন ১২ রান।

অস্ট্রেলিয়ার সব বোলারই ছিলেন খরুচে। তাদের মধ্যে সফল হ্যাজেলউড। এই পেসার ৪ ওভারে ৪১ রান দিলেও পেয়েছেন ২ উইকেট। অ্যাডাম জাম্পা ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু নিউজিল্যান্ডের

আপডেট সময় : ০১:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : টি-টোয়েন্টির বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। তাদের মাঠেই আবার এবারের বিশ্বকাপ। স্বাভাবিকভাবেই ফেভারিটের তালিকায় ওপরের দিকে অ্যারন ফিঞ্চরা। অথচ সেই তারাই কিনা নিউজিল্যান্ডের সামনে পাত্তা পেলো না! কিউইদের দাপটে খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
গতকাল শনিবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৮৯ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ডেভন কনওয়ের সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০০ রান করে কিউইরা। কঠিন এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৭.১ ওভারে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
যে উইকেটে তা-ব চালিয়েছেন কিউই ব্যাটাররা, সেখানে পুরোপুরি ব্যর্থ ডেভিড ওয়ার্নার-ফিঞ্চরা। কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে টিম সাউদি-মিচেল স্যান্টনারের বোলিংয়ের সামনে ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার। মাত্র ৫ রানে সাউদির বলে বোল্ড হয়ে যান ওয়ার্নার। এরপর স্যান্টনারের আঘাত। বাঁহাতি স্পিনারের প্রথম শিকার ১৩ রান করা ফিঞ্চ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দেন মিচেল মার্শ (১৬), মার্কাস স্টোইনিস (৭), টিম ডেভিড (১১) ও ম্যাথু ওয়েড (২)। দলীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন গে¬ন ম্যাক্সওয়েল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ প্যাট কামিন্সের।

বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন সাউদি। এই পেসার ২.১ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। স্যান্টনার ৪ ওভারে ৩১ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। আর ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় যোগ করেছেন ২ উইকেট।

এর আগে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। কনওয়ের অপরাজিত ৯২ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০০ রান করে কিউইরা।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামার পর থেকেই নিউজিল্যান্ডের তা-ব। আক্ষরিক অর্থেই সিডনিতে ঝড় তুলেছিলেন ফিন অ্যালেন। এই ওপেনার অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের রীতিমতো শাসন করেছেন। জশ হ্যাজেলউডের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৬ বলে খেলেন ৪২ রানে টর্নেডো ইনিংস। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো তার ইনিংসটি।

তার ওপেনিং সঙ্গী কনওয়ে শুরুতে ধরে খেললেও সময় গড়ানোর সঙ্গে তিনিও হয়ে ওঠেন ভয়ংকর। অজি বোলাররা তাকে আউট করতে পারেননি। ব্যাট ক্যারি করে মাঠ ছেড়েছেন। তবে আক্ষেপ হয়তো কিছুটা আছে। ওভার না থাকায় সেঞ্চুরি যে পাওয়া হলো না! ৯২ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়েন। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা এই ব্যাটার ৫৮ বলের ইনিংসটি সাজান ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়।

কিউইদের বড় সংগ্রহের পথে অবদান আছে জিমি নিশামের। শেষ বলে তার ছক্কাতেই তো ২০০ স্পর্শ করে স্কোর। বাঁহাতি ব্যাটার ১৩ বলে ২ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ২৬ রানে। এছাড়া অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ২৩ বলে ২৩ ও গে¬ন ফিলিপস ১০ বলে করেন ১২ রান।

অস্ট্রেলিয়ার সব বোলারই ছিলেন খরুচে। তাদের মধ্যে সফল হ্যাজেলউড। এই পেসার ৪ ওভারে ৪১ রান দিলেও পেয়েছেন ২ উইকেট। অ্যাডাম জাম্পা ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট।