ক্রীড়া ডেস্ক : আগামী মাসে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে গিয়ে সেখানকার ভক্ত-সমর্থকদের কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা আশা করছেন নোভাক জকোভিচ। ভ্যাকসিন নাটকীয়তায় গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেও কোর্টে না নেমেই দেশে ফেরত আসতে হয়েছিল তৎকালীন নাম্বার ওয়ান খেলোয়াড় জকোভিচকে। কিন্তু সব কিছুকে পিছনে ফেলে আবারো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েই সেখানে যাচ্ছেন সার্বিয়ান তারকা। মেলবোর্ন পার্কে নয় বারের চ্যাম্পিয়ন জকোভিচ ২০২২ মৌসুমে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামেই খেলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ভ্যাকসিন নিতে অপরাগতা জানানোয় তার অস্ট্রেলিয়ান ভিসা পর্যন্ত বাতিল করা হয়। তবে বিশ^ র্যাঙ্কিংয়ের পঞ্চম স্থানে থাকা জকোভিচ আবারো খেলার সুযোগ পেয়ে ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ১০ম বারের মতো বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের সুযোগ আর হাতছাড়া করতে চাননা। এর মাধ্যমে তিনি রাফায়েল নাদালর সাথে সর্বোচ্চ ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ডও স্পর্শ করবেন। দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড টেনিস লিগ খেলতে এসে সাংবাদিকদের কাছে জকোভিচ বলেছেন, ‘আমি সব সময়ই সেরা ফর্মে খেলতে ভালবাসি, দেখা যাক কি হয়। অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছি, সেজন্য আমি সৌভাগ্যবান। এখানে খেলতে আমি ভালবাসি। এ বছরের শুরুতে যা হয়েছিল আশা করছি সব ভুলে মেলবোর্নে আমি আবারো সকলের ভালবাসা আদায় করতে পারবো। একইসাথে আমি যাতে ভাল টেনিস উপহার দিতে পারি সেজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’ ভ্যাকসিন জটিলতায় এ বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ছাড়াও ইউএস ওপেনেও খেলতে পারেননি ৩৫ বছর বয়সী জকোভিচ। যদিও ২০২২ সালটা তিনি দুর্দান্তভাবেই শেষ করেছেন। তেল আবিব, আস্তানা ও তুরিনে এটিপি শিরোপাসহ প্যারিস মাস্টার্সে ফাইনালে খেলেছেন। এছাড়াও রোম ও উইম্বলডনে শিরোপা জিতেছেন। পুরো মৌসুমে তার জয়-পরাজয়ের অনুপাত ছিল ৪২:৭। বয়স ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে চান বলে এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এই সার্বিয়ান । এখনো সেটাই অনুভব করেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে জকোভিচ বলেছেন, ‘যতদিন সম্ভব আমি খেলা চালিয়ে যেতে চাই। আসলে এ ব্যপারে কোন সংখ্যা আমার মাথায় নেই। এখন পর্যন্ত যেভাবে চলছে সেটা খুবই ভালো। এখানে কোন ধরনের অভিযোগ নেই। সে কারণেই এই পর্যায় যতদিন ফর্ম থাকবে ততদিন খেলা চালিয়ে যাবো।’
এদিকে নারী বিভাগে নাম্বার ওয়ান ইকা সোয়াইটেক ফোর্বসের বার্ষিক তালিকায় বিশে^র সবচেয়ে দামি নারী খেলোয়াড় হিসেবে পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। যদিও ২১ বছর বয়সী এই পোলিশ স্বীকার করেছেন তিনি আশা করছেন নিজের ক্যারিয়ারকে আরো সমৃদ্ধ করতে। ফোর্বসের সূত্রমতে গত বছর সোয়াইটেক সব মিলিয়ে ১৪.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছেন। এর মধ্যে ৯.৯ মিলিয়ন ডলার এসেছ বিভিন্ন টুর্নামেন্টের প্রাইজ মানি থেকে। এ বছর দুটি গ্র্যান্ড স্ল্যামসহ আটটি শিরোপা জয় করেছেন সোয়াইটেক। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটাই আমার কাছে মুখ্য নয়। কোর্টে নামলে এভাবে আমি আসলে কোনো কিছু চিন্তা করিনা। সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পর থেকে যেভাবে আমার জীবন বদলে গেছে তাতে আমি দারুণ খুশি। এর থেকে আমি প্রচুর অর্থ আয় করেছি।’ ২০২২ সালে কোর্টে খুব একটা সময় না দেয়া জাপানের নাওমি ওসাকা ও যুক্তরাস্ট্রের সেরেনা উইলিয়ামস এই তালিকায় শীর্ষ দুটি স্থান দখল করেছেন। এর মধ্যে ওসাকার আয় ৫১.১ মিলিয়ন ও সেরানার আয় ৪১.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে উষ্ণ অভ্যর্থনা আশা করছেন জকোভিচ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ