ঢাকা ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫

অস্ট্রেলিয়াতে সম্পূর্ণ স্কলারশিপ বা বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা

  • আপডেট সময় : ০৫:০৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: যে কোনো উন্নত দেশেই টিউশন ফি দিয়ে পড়া অনেক ব্যয়বহুল। এছাড়া থাকা-খাওয়ার খরচ, বিমানের ভাড়া এবং অন্যান্য খরচের পাশাপাশি ব্যাংক ব্যালেন্স সমন্বয় করা ইত্যাদি কাজ তো আছেই। তবে স্কলারশিপ বা বৃত্তি পেয়ে গেলে এসব নিয়ে কোনো চিন্তাই করতে হবে না। স্কলারশিপ বা বৃত্তি-বিষয়ক খোঁজ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিস্তারিত জানাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ‘অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা: কমপ্লিট গাইড’ বইয়ের লেখক জসীম উদ্দিন রাসেল।

‘অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড স্কলারশিপ’ (অঁংঃৎধষরধ অধিৎফ ঝপযড়ষধৎংযরঢ় (অঅঝ) ‘ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেইন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড (উবঢ়ধৎঃসবহঃ ড়ভ ঋড়ৎবরমহ অভভধরৎং ধহফ ঞৎধফব) এই স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এটি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সম্মানিত স্কলারশিপ এবং খুবই প্রতিযোগিতামূলক। এই বৃত্তি পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের প্রদান করা হয়। অস্ট্রেলিয়াতে পড়া শেষ করে তারা যাতে নিজেদের দেশে ফিরে গিয়ে নিজের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন সেজন্য এই বৃত্তি। এই বৃত্তি নিয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং পিএইচডি করতে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া যায়। কীভাবে আবেদন করতে হয়, কী কী দরকারী কাগজপত্র লাগবে, যোগ্যতা কেমন থাকতে হবে ইত্যাদি িি.িফভধঃ.মড়া.ধঁ এই ওয়েবসাইট থেকে ‘অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড স্কলারশিপ’ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এই স্কলারশিপ পেলে সম্পূর্ণ টিউশন ফি, আসা—যাওয়ার বিমান ভাড়া, অস্ট্রেলিয়াতে থাকা—খাওয়া, বই কেনা, ইন্সু্রন্সে ইত্যাদি যাবতীয় খরচ এর আওতায় থাকবে। অর্থাৎ নিজের কোনো খরচই লাগবে না। সম্পূর্ণ সময়টা পড়াশোনার পেছনে দেওয়া সম্ভব হবে।
এই বৃত্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়াতে পড়তে আসতে চাইলে আগে থেকেই তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করতে হবে। ওপরে যে ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া আছে সেখানে গিয়ে আবেদেনের তারিখ দেখা যাবে।

সেখানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা কবে থেকে আবেদন করতে পারবেন সেই তারিখ উল্লেখ রয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত আবেদন নিয়েছে। কিছুদিন পরই আবার নতুন করে আবেদন নেওয়া শুরু করবে। আগে থেকেই ওয়েবসাইট ভিজিট করে দরকারী কাগজপত্র যা লাগবে তা সংগ্রহ করে রাখতে হবে। তাহলে সময়ে প্রস্তুতি নিয়ে ভালোমতো আবেদন করা সম্ভব হবে। এখানে উল্লেখ্য, এই বৃত্তি পাওয়ার পর একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হতে হবে। যাতে উল্লেখ থাকবে, পড়া শেষ করে বাংলাদেশে চলে যাবেন এবং দুই বছর বাংলাদেশে থাকতে হবে। আর যদি যেতে না চান অর্থাৎ পড়া শেষে অস্ট্রেলিয়াতেই থেকে যেতে চান তাহলে আপনার জন্য যে খরচ হয়েছে সেটা স্কলারশিপ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষকে ফেরত দিতে হবে।
দেশ থেকে আসার আগে মনে হতে পারে, পড়ালেখা এবং থাকা—খাওয়ার যাবতীয় অর্থ পেয়ে যাচ্ছি। ফ্রি ফ্রি পড়ে চলে আসব। তারপর দেশে এসে ভালো কিছু করবো। তবে অস্ট্রেলিয়াতে আসার পর এখানকার জীবনযাপন পদ্ধতি, সুযোগ—সুবিধা দেখে কেউ কেউ থেকে যেতে চাইতে-ই পারেন। এক্ষেত্রে পরামর্শ হল, যদি এই বৃত্তি পেয়ে যান তাহলে নিয়ে নিন। তারপর ভালোভাবে পড়ালেখা করে ভালো ফলাফল নিয়ে দেশে ফিরে যান। দেশে গেলে অবশ্যই কোনো ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারবেন। দুই বছর কাজ করার পর যখন অভিজ্ঞতা হবে তখন সরাসরি ‘স্কিল্ড মাইগ্রেইশন’ করে ‘পারমানেন্ট রেসিডেন্সি (পিআর)’ নিয়ে চলে আসতে পারবেন। এতে করে একদিকে দুই বছর নিজের পরিবারের সঙ্গে থাকা হবে এবং ‘পিআর’ নিয়ে চলেও আসতে পারবেন। দুই বছর কোনো বেশি সময় না। যেহেতু অস্ট্রেলিয়ায় পড়েছেন তাই এখান থেকেও ‘পয়েন্ট’ পাবেন, যা ‘পিআর’ পেতে অনেক সুবিধা হবে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অস্ট্রেলিয়াতে সম্পূর্ণ স্কলারশিপ বা বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা

আপডেট সময় : ০৫:০৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: যে কোনো উন্নত দেশেই টিউশন ফি দিয়ে পড়া অনেক ব্যয়বহুল। এছাড়া থাকা-খাওয়ার খরচ, বিমানের ভাড়া এবং অন্যান্য খরচের পাশাপাশি ব্যাংক ব্যালেন্স সমন্বয় করা ইত্যাদি কাজ তো আছেই। তবে স্কলারশিপ বা বৃত্তি পেয়ে গেলে এসব নিয়ে কোনো চিন্তাই করতে হবে না। স্কলারশিপ বা বৃত্তি-বিষয়ক খোঁজ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিস্তারিত জানাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ‘অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা: কমপ্লিট গাইড’ বইয়ের লেখক জসীম উদ্দিন রাসেল।

‘অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড স্কলারশিপ’ (অঁংঃৎধষরধ অধিৎফ ঝপযড়ষধৎংযরঢ় (অঅঝ) ‘ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেইন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড (উবঢ়ধৎঃসবহঃ ড়ভ ঋড়ৎবরমহ অভভধরৎং ধহফ ঞৎধফব) এই স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এটি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সম্মানিত স্কলারশিপ এবং খুবই প্রতিযোগিতামূলক। এই বৃত্তি পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের প্রদান করা হয়। অস্ট্রেলিয়াতে পড়া শেষ করে তারা যাতে নিজেদের দেশে ফিরে গিয়ে নিজের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন সেজন্য এই বৃত্তি। এই বৃত্তি নিয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং পিএইচডি করতে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া যায়। কীভাবে আবেদন করতে হয়, কী কী দরকারী কাগজপত্র লাগবে, যোগ্যতা কেমন থাকতে হবে ইত্যাদি িি.িফভধঃ.মড়া.ধঁ এই ওয়েবসাইট থেকে ‘অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড স্কলারশিপ’ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এই স্কলারশিপ পেলে সম্পূর্ণ টিউশন ফি, আসা—যাওয়ার বিমান ভাড়া, অস্ট্রেলিয়াতে থাকা—খাওয়া, বই কেনা, ইন্সু্রন্সে ইত্যাদি যাবতীয় খরচ এর আওতায় থাকবে। অর্থাৎ নিজের কোনো খরচই লাগবে না। সম্পূর্ণ সময়টা পড়াশোনার পেছনে দেওয়া সম্ভব হবে।
এই বৃত্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়াতে পড়তে আসতে চাইলে আগে থেকেই তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করতে হবে। ওপরে যে ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া আছে সেখানে গিয়ে আবেদেনের তারিখ দেখা যাবে।

সেখানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা কবে থেকে আবেদন করতে পারবেন সেই তারিখ উল্লেখ রয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত আবেদন নিয়েছে। কিছুদিন পরই আবার নতুন করে আবেদন নেওয়া শুরু করবে। আগে থেকেই ওয়েবসাইট ভিজিট করে দরকারী কাগজপত্র যা লাগবে তা সংগ্রহ করে রাখতে হবে। তাহলে সময়ে প্রস্তুতি নিয়ে ভালোমতো আবেদন করা সম্ভব হবে। এখানে উল্লেখ্য, এই বৃত্তি পাওয়ার পর একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হতে হবে। যাতে উল্লেখ থাকবে, পড়া শেষ করে বাংলাদেশে চলে যাবেন এবং দুই বছর বাংলাদেশে থাকতে হবে। আর যদি যেতে না চান অর্থাৎ পড়া শেষে অস্ট্রেলিয়াতেই থেকে যেতে চান তাহলে আপনার জন্য যে খরচ হয়েছে সেটা স্কলারশিপ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষকে ফেরত দিতে হবে।
দেশ থেকে আসার আগে মনে হতে পারে, পড়ালেখা এবং থাকা—খাওয়ার যাবতীয় অর্থ পেয়ে যাচ্ছি। ফ্রি ফ্রি পড়ে চলে আসব। তারপর দেশে এসে ভালো কিছু করবো। তবে অস্ট্রেলিয়াতে আসার পর এখানকার জীবনযাপন পদ্ধতি, সুযোগ—সুবিধা দেখে কেউ কেউ থেকে যেতে চাইতে-ই পারেন। এক্ষেত্রে পরামর্শ হল, যদি এই বৃত্তি পেয়ে যান তাহলে নিয়ে নিন। তারপর ভালোভাবে পড়ালেখা করে ভালো ফলাফল নিয়ে দেশে ফিরে যান। দেশে গেলে অবশ্যই কোনো ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারবেন। দুই বছর কাজ করার পর যখন অভিজ্ঞতা হবে তখন সরাসরি ‘স্কিল্ড মাইগ্রেইশন’ করে ‘পারমানেন্ট রেসিডেন্সি (পিআর)’ নিয়ে চলে আসতে পারবেন। এতে করে একদিকে দুই বছর নিজের পরিবারের সঙ্গে থাকা হবে এবং ‘পিআর’ নিয়ে চলেও আসতে পারবেন। দুই বছর কোনো বেশি সময় না। যেহেতু অস্ট্রেলিয়ায় পড়েছেন তাই এখান থেকেও ‘পয়েন্ট’ পাবেন, যা ‘পিআর’ পেতে অনেক সুবিধা হবে।