ক্রীড়া ডেস্ক: কামিন্দু মেন্ডিসের অল রাউন্ডিং পারফরম্যান্স এবং হার্শল প্যাটেলের বোলিং ভেরিয়েশনে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) চিদাম্বর স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম জয় তুলে নিলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। চেন্নাইয়ের জার্সিতে অভিষেক হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার ‘বেবি এবি ডি ভিলিয়ার্স’ খ্যাত ডেওয়াল্ড ব্রেভিস এবং ক্লাবটির ইতিহাসের সবচেয়ে কনিষ্ঠ খেলোয়াড় আয়ুষ মাহাত্রে একটা লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিইয়েছিল তবে বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সেটা আলোর মুখ দেখেনি। চেন্নাইয়ের ১ বল বাকি থাকতেই অল আউট হয়ে যায় মাত্র ১৫৪ রানে।
প্যট কামিন্সের দলকে রুখে দিতে যা যথেষ্ট ছিল না। ৮ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ। ফলে চেন্নাই তাদের ঘরের মাঠে টানা চতুর্থ হারের তিক্ত স্বাদ পেল। কম রানের ম্যাচে, যেখানে দুই দলই লিগ টেবিলের নিচের দুটি স্থানে অবস্থান করছিল। পিচটাও ব্যাটিং সহায়ক ছিল না। ব্যাটাররা খুব কম সময়ের জন্যই পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছিল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এলোমেলো ছিল চেন্নাইয়ের ব্যাটিং। মোহাম্মদ শামির প্রথম বলেই উইকেটের পর, ১৭ বছর বয়সী মাহাত্রে কার্যকরী ব্যাটিং চালিয়ে যান। প্রথম চার ওভারে ছয়টি চারে স্বাগতিকদের ৩৭/১ এ নিয়ে যান। এরপর হায়দরাবাদের শর্ট বোলিংয়ে ফেরেন মাহাত্রে ও স্যাম কারেন। এরপর ব্রেভিস প্রমাণ করলেন কেন তাকে ‘বেবি এবি’ ডাকা হয়। কিন্তু এই আইপিএলের সেরা ক্যাচটি নিয়ে তার প্রতিশ্রুতিশীল ইনিংস থামিয়ে দেন কামিন্দু। এর আগে কামিন্দু তার দুই হাতে স্পিন করার কৌশল দেখিয়েছিলেন। পরে আবার তিনি ২২ বলে অপরাজিত ৩২ রান করে হায়দরাবাদকে জয় এনে দেন।
হার্শল বল হাতে ৪ ওভারে ২৮ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন। চেন্নাইকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে এক ধাপ উন্নতি হয়েছে হায়দরাবাদের। ৯ ম্যাচে ৩ জয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে। অন্যদিকে সমান ম্যাচে সপ্তম হারে তলানিতেই রয়ে গেছে চেন্নাই। হায়দরাবাদের বিপক্ষে হারের পর চেন্নাই কাপ্তান ধোনি বলেন, “এমন একটা প্রতিযোগিতায় দু’একটা সমস্যা থাকলে, সেটা সামলে নেওয়া যায়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্রিকেটার যদি পারফর্ম করতে না পারে, তা হলে বড় সমস্যা তৈরি হয়। কিছু কিছু জায়গায় বদল করা সম্ভব। সবাই ভাল খেললে বাকিদের দেখে নেওয়ার সুযোগও থাকে। তাতে কাজ না হলেও অসুবিধা হয় না। কিন্তু একই সঙ্গে চার জন ক্রিকেটার ব্যর্থ হলে সমস্যা হয়। তখন দলে বদল করতেই হয়।”