লাইফস্টাইল ডেস্ক: অসম সম্পর্ক ত্যাগ করা মোটেই সহজ কিছু নয়। একটি অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। কারণ এটি শুধু শারীরিকভাবে দূরে সরে যাওয়াকেই বোঝায় না, দূরে সরে যেতে হয় মানসিকভাবেও। মন থেকে একজন মানুষকে, তার সব স্মৃতি মুছে ফেলা অনেকের জন্যই অসম্ভব। যে সম্পর্ক শারীরিক ও মানসিকভাবে কেবল লাঞ্ছনাই দেয়, সেটিতেও মানুষ পড়ে থাকে। কারণÑ
আত্মসম্মান বোধের অভাব ও অসহায়ত্ব: যারা টক্সিক সম্পর্কের মধ্যে থাকে তারা হয় শুরু থেকেই কম আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন অথবা ধীরে ধীরে সঙ্গীর খারাপ ব্যবহারের কারণে তার আত্মসম্মান নষ্ট হতে পারে। সে হয়তো স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে অক্ষম বোধ করতে পারে। সে যে নেতিবাচকতার শিকার হয়েছেন তা ভেতরে বাসা বাঁধতে পারে, যার ফলে অসহায়ত্ব বা অক্ষমতার অনুভূতি হয়।
সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক চাপ: সামাজিক প্রত্যাশা, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সাংস্কৃতিক নিয়ম অনেক ক্ষেত্রে মানুষকে সম্পর্ক ত্যাগ করতে, বিশেষ করে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে নিরুৎসাহিত করে। মানুষ তার পরিবার বা সম্প্রদায় থেকে বিচার, লজ্জা বা বঞ্চিত হওয়ার ভয় থেকে এ ধরনের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখে, বিশেষ করে যদি তাদের সন্তান থাকে।
ট্রমা: অসম সম্পর্ক মানেই হয়তো চব্বিশ ঘণ্টা খারাপ ব্যবহার নয়। হতে পারে সঙ্গী কখনো অপমান আবার পরক্ষণেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন। এ ধরনের চক্রে পড়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা মুশকিল হয়ে যায়। এ ধরনের আচরণ অত্যাচারীর প্রতি মানসিক সংযুক্তিকে শক্তিশালী করে, যার ফলে ভিকটিমের পক্ষে দূরে সরে যাওয়া কঠিন হয়।
পরিবর্তনের আশা: একটি আশা ধরে রাখা যে সঙ্গী পরিবর্তন হবে বা সম্পর্ক উন্নত হবে, বিশেষ করে যদি অপব্যবহারকারী ক্ষমা চায়, ভালো আচরণ করার প্রতিশ্রুতি দেয় বা অনুশোচনা দেখায়। অপব্যবহার এবং পুনর্মিলনের এই চক্রটি এমন একটি সংযুক্তি তৈরি করতে পারে যা ভাঙা কঠিন।
প্রতিশোধের ভয়: অনেক অসম সম্পর্কের ক্ষেত্রে যদি ভিকটিম চলে যাওয়ার চেষ্টা করে তবে প্রতিশোধের সত্যিকারের ভয় থাকে। প্রত্যাখ্যান মেনে নেওয়া কঠিন হতে পারে এবং অপব্যবহারকারীরা শিকারের, নিজেদের, বাচ্চাদের বা পোষা প্রাণিদের ক্ষতি করার হুমকি দিতে পারে, যার ফলে ভিকটিম মনে করে যে চলে যাওয়ার চেয়ে থাকা নিরাপদ।

























