প্রত্যাশা ডেস্ক: গভীর সমুদ্রে প্রথমবারের মতো ক্যামেরায় ধরা পড়ল অল্প বয়সী বিশালাকৃতির একটি স্কুইড। সাগরতলে দূরনিয়ন্ত্রিত ডুবোযান থেকে আন্তর্জাতিক একদল গবেষক এই বিশাল স্কুইডের ছবি তোলেন।
গত মঙ্গলবার স্মিট ওশান ইনস্টিটিউট এই বিরল দৃশ্য দেখতে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ভিডিওতে ধরা পড়া এই বিশালাকৃতির স্কুইডটি অল্প বয়স্ক। এর দৈর্ঘ্য ১ ফুট (৩০ সেন্টিমিটার)। এটিকে দেখা গেছে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে পানির ১ হাজার ৯৬৮ ফুট (৬০০ মিটার) নিচে। পূর্ণবয়স্ক বিরাট আকৃতির স্কুইড ২৩ ফুট (৭ মিটার) পর্যন্ত বড় হতে পারে, যা ছোট একটি অগ্নিনির্বাপণ ট্রাকের সমান।
স্কুইডটিকে গত মাসে আটলান্টিকের সাউথ স্যান্ডউইচ আইল্যান্ডের কাছে দেখা গেছে। সেখানে গবেষকরা নতুন সামুদ্রিক প্রাণীর খোঁজে অভিযান চালাচ্ছিলেন। ভিডিওটি প্রকাশের আগে অন্যান্য বিজ্ঞানীর মাধ্যমে স্কুইডটির প্রজাতি চিহ্নিত করা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন গবেষকেরা।
স্কুইডটির পরিচয় শনাক্তে ভূমিকা রেখেছেন অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির স্কুইড গবেষক ক্যাট বলস্ট্যাড। তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি যে আমরা কম বয়সী একটি প্রকাণ্ড স্কুইড দেখতে পেয়েছি। এ প্রাণীটি সত্যিই অসাধারণ সুন্দর।’
বলস্টাড বলেন, গবেষকেরা একটি প্রাপ্তবয়স্ক বিশালাকৃতির স্কুইডের দেখা পেতে খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
কম বয়সী এই স্কুইডটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে স্বচ্ছ এবং এর পাতলা বাহু রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক হলে স্কুইড কাচের মতো চেহারা হারিয়ে ফেলে অস্বচ্ছ হয়ে যায় এবং গাঢ় লাল বা বেগুনি বর্ণ ধারণ করে। যখন তারা পূর্ণবয়স্ক হয়, তখন তাদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেরুদণ্ডী প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।