ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

অলরাউন্ড নৈপুণ্যে মাহমুদউল্লাহ জেতালেন গাজী গ্রুপকে

  • আপডেট সময় : ১২:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : প্রথমে বল হাতে ২ উইকেট। পরবর্তীতে ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ফিফটি। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সব পেলেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে। তার অলরাউন্ড নৈপূণ্যে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে জয়ে ফিরেছে গাজী গ্রুপ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে হেরেছিল তারা। অন্যদিকে শেখ জামাল প্রথম ম্যাচ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে পেল পরাজয়ের স্বাদ।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় শেখ জামালকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ। আগে ব্যাটিং করে শেখ জামাল ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৭ বল ও উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে গাজী গ্রুপ।
দলের জয়ের নায়ক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। প্রথমে বল হাতে ৩ ওভারে ২৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। পরবর্তীতে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৬২ রান। তাতে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় গাজী গ্রুপের। তাকে তৃতীয় উইকেটে সঙ্গ দেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশের টেস্ট দলপতি ৩৬ বলে ৮ চারে করেন ৫৪ রান। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার দশম হাফ সেঞ্চুরি।
ওপেনিংয়ে শাহাদাত হোসেন দিপু (১৩) ও সৌম্য সরকার (১৩) সাজঘরে ফিরলে হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ ও মুমিনুল। দুজন ৯৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। মুমিনুল ফিফটির পর উইকেট বিলিয়ে আসেন। সালাউদ্দিন শাকিলকে উড়াতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েন ৫৪ রানে। বাকি করেন মাহমুদউল্লাহ ও জাকির হাসান।
শেখ জামালের অধিনায়ক সোহান আট বোলার ব্যবহার করলেও কেউ দলকে জয়ের পথে নিয়ে আসতে পারেননি। স্পিনার এনামুল দুটি ও শাকিল এক উইকেট নেন।
এর আগে মোহাম্মদ আশরাফুলের ৪১ ও সৈকত আলীর ৩৩ রানে লড়াকু পুঁজি পায় শেখ জামাল। ৪ ছক্কা হাঁকিয়ে আশরাফুল ছিলেন চিরচেনা মহিমায়। কিন্তু পয়েন্টে যখন ক্যাচ দিয়েছেন তখন তার নামের পাশে রান ৩৫ বলে ৪১। স্কোরবোর্ড স্পষ্ট করছে আশরাফুলের ব্যাটিং ছিল গড়পড়তা। ডট বলে সমারোহ। তবে যে ৪ ছক্কা হাঁকিয়েছেন তা মুগ্ধ করেছে সবাইকে।
দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ৬৯ রানের জুটি গড়েছিলেন। তাদের সাজঘরে ফেরার পর ব্যাট হাতে লড়াই করেন নাসির হোসেন ও জিয়াউর। নাসির ২০ ও জিয়াউর ২১ রান করেন। ১১ রানে অপরাজিত থাকেন সোহরাওয়ার্দী শুভ।
ছক্কায় রানের খাতা খুলেছিলেন আশরাফুল। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বল দারুণ ফ্লিকে ফাইন লেগ দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠান তিনি। চতুর্থ ওভারে বাঁহাতি পেসার নাহিদ হাসানকে ছক্কায় উড়ান দুবার। প্রথমটি পুল করে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে। পরেরটি লং লেগ দিয়ে। এরপর স্পিনার নাসুমকে সুইপ করে ছক্কা উড়িয়ে মুগ্ধ করেন আশরাফুল।
ওই ৪ ছক্কা বাদে ইনিংসে ছিল না প্রাণ। স্ট্রাইক রোটেট করতে সমস্যা হচ্ছিল। শট খেলতে পারছিলেন না। তাতে ডট বল হচ্ছিল। বাড়ছিল চাপ। সেই চাপ কমাতে গিয়ে বাড়তি শট খেলার চেষ্টা করছিলেন। তাতেই তিনি আটকে যান। আরিফুলের বল উইকেট থেকে সরে গিয়ে শট খেলতে গিয়ে পয়েন্টে তালুবন্দী হন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অলরাউন্ড নৈপুণ্যে মাহমুদউল্লাহ জেতালেন গাজী গ্রুপকে

আপডেট সময় : ১২:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১

ক্রীড়া প্রতিবেদক : প্রথমে বল হাতে ২ উইকেট। পরবর্তীতে ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ফিফটি। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সব পেলেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে। তার অলরাউন্ড নৈপূণ্যে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে জয়ে ফিরেছে গাজী গ্রুপ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে হেরেছিল তারা। অন্যদিকে শেখ জামাল প্রথম ম্যাচ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে পেল পরাজয়ের স্বাদ।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় শেখ জামালকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ। আগে ব্যাটিং করে শেখ জামাল ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৭ বল ও উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে গাজী গ্রুপ।
দলের জয়ের নায়ক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। প্রথমে বল হাতে ৩ ওভারে ২৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। পরবর্তীতে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৬২ রান। তাতে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় গাজী গ্রুপের। তাকে তৃতীয় উইকেটে সঙ্গ দেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশের টেস্ট দলপতি ৩৬ বলে ৮ চারে করেন ৫৪ রান। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার দশম হাফ সেঞ্চুরি।
ওপেনিংয়ে শাহাদাত হোসেন দিপু (১৩) ও সৌম্য সরকার (১৩) সাজঘরে ফিরলে হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ ও মুমিনুল। দুজন ৯৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। মুমিনুল ফিফটির পর উইকেট বিলিয়ে আসেন। সালাউদ্দিন শাকিলকে উড়াতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েন ৫৪ রানে। বাকি করেন মাহমুদউল্লাহ ও জাকির হাসান।
শেখ জামালের অধিনায়ক সোহান আট বোলার ব্যবহার করলেও কেউ দলকে জয়ের পথে নিয়ে আসতে পারেননি। স্পিনার এনামুল দুটি ও শাকিল এক উইকেট নেন।
এর আগে মোহাম্মদ আশরাফুলের ৪১ ও সৈকত আলীর ৩৩ রানে লড়াকু পুঁজি পায় শেখ জামাল। ৪ ছক্কা হাঁকিয়ে আশরাফুল ছিলেন চিরচেনা মহিমায়। কিন্তু পয়েন্টে যখন ক্যাচ দিয়েছেন তখন তার নামের পাশে রান ৩৫ বলে ৪১। স্কোরবোর্ড স্পষ্ট করছে আশরাফুলের ব্যাটিং ছিল গড়পড়তা। ডট বলে সমারোহ। তবে যে ৪ ছক্কা হাঁকিয়েছেন তা মুগ্ধ করেছে সবাইকে।
দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ৬৯ রানের জুটি গড়েছিলেন। তাদের সাজঘরে ফেরার পর ব্যাট হাতে লড়াই করেন নাসির হোসেন ও জিয়াউর। নাসির ২০ ও জিয়াউর ২১ রান করেন। ১১ রানে অপরাজিত থাকেন সোহরাওয়ার্দী শুভ।
ছক্কায় রানের খাতা খুলেছিলেন আশরাফুল। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বল দারুণ ফ্লিকে ফাইন লেগ দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠান তিনি। চতুর্থ ওভারে বাঁহাতি পেসার নাহিদ হাসানকে ছক্কায় উড়ান দুবার। প্রথমটি পুল করে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে। পরেরটি লং লেগ দিয়ে। এরপর স্পিনার নাসুমকে সুইপ করে ছক্কা উড়িয়ে মুগ্ধ করেন আশরাফুল।
ওই ৪ ছক্কা বাদে ইনিংসে ছিল না প্রাণ। স্ট্রাইক রোটেট করতে সমস্যা হচ্ছিল। শট খেলতে পারছিলেন না। তাতে ডট বল হচ্ছিল। বাড়ছিল চাপ। সেই চাপ কমাতে গিয়ে বাড়তি শট খেলার চেষ্টা করছিলেন। তাতেই তিনি আটকে যান। আরিফুলের বল উইকেট থেকে সরে গিয়ে শট খেলতে গিয়ে পয়েন্টে তালুবন্দী হন।