ঢাকা ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

অর্থ পাচারের মামলায় ‘গাফিলতি’ দেখছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ

  • আপডেট সময় : ০৮:২১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

অর্থ পাচারের মামলায় ‘গাফিলতি’ দেখছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব। তিনি মনে করছেন, যেসব মামলা হচ্ছে সেগুলোতে ‘গাফিলতি’ থেকে যাচ্ছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাকির হোসেন এ মন্তব্য করেন।

ক্ষমতার পালাবদলের পর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অর্থ পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ বলেন, বিগত ১৫-১৬ বছরে দেশের আর্থিকখাত বিভিন্নভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এক শ্রেণীর লোকজন লুঠপাট করে সমস্ত টাকা পয়সা বিদেশে পাচার করে ভোগ করছে। আমাদের যে অর্থ সম্পদ নিয়ে গেল, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

বিচারক হিসেবে এসব মামলা দেখছি, আমার কাছে মনে হচ্ছে এগুলোতে গাফিলতি থেকে যাচ্ছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। মন্ত্রী-এমপিদের কয়েকজন ধরা পড়লও বেশির ভাগ আত্মগোপনে চলে গেছেন।

জাকির হোসেন গালিব বলেন, রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে যা কিছু আছে, সবকিছু বিচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কিন্তু আপনারা ওই বিষয়গুলো নজর দিচ্ছেন না, অবহেলিত রয়ে গেছে।

ভেজাল ঔষধ কারখানা থাকার বিষয়টি তুলে ধরে সেগুলো শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। সেদিন এক মামলায় একজনের সম্পদ নিয়ে দেখলাম ২৫০ কোটি টাকা। কিন্ত তিনি তো দুই লাখ কোটি টাকার মালিক।

কনফারেন্সে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের ‘শহীদ এবং হতাহত শতশত ছাত্র-জনতাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানে ‘আইনের ব্যত্যয় এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহ।

কনফারেন্সে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী, ঢাকা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার তারেক জুবায়ের উপস্থিত ছিলেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অর্থ পাচারের মামলায় ‘গাফিলতি’ দেখছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ

আপডেট সময় : ০৮:২১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব। তিনি মনে করছেন, যেসব মামলা হচ্ছে সেগুলোতে ‘গাফিলতি’ থেকে যাচ্ছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাকির হোসেন এ মন্তব্য করেন।

ক্ষমতার পালাবদলের পর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অর্থ পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ বলেন, বিগত ১৫-১৬ বছরে দেশের আর্থিকখাত বিভিন্নভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এক শ্রেণীর লোকজন লুঠপাট করে সমস্ত টাকা পয়সা বিদেশে পাচার করে ভোগ করছে। আমাদের যে অর্থ সম্পদ নিয়ে গেল, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

বিচারক হিসেবে এসব মামলা দেখছি, আমার কাছে মনে হচ্ছে এগুলোতে গাফিলতি থেকে যাচ্ছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। মন্ত্রী-এমপিদের কয়েকজন ধরা পড়লও বেশির ভাগ আত্মগোপনে চলে গেছেন।

জাকির হোসেন গালিব বলেন, রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে যা কিছু আছে, সবকিছু বিচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কিন্তু আপনারা ওই বিষয়গুলো নজর দিচ্ছেন না, অবহেলিত রয়ে গেছে।

ভেজাল ঔষধ কারখানা থাকার বিষয়টি তুলে ধরে সেগুলো শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। সেদিন এক মামলায় একজনের সম্পদ নিয়ে দেখলাম ২৫০ কোটি টাকা। কিন্ত তিনি তো দুই লাখ কোটি টাকার মালিক।

কনফারেন্সে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের ‘শহীদ এবং হতাহত শতশত ছাত্র-জনতাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানে ‘আইনের ব্যত্যয় এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহ।

কনফারেন্সে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী, ঢাকা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার তারেক জুবায়ের উপস্থিত ছিলেন।