ঢাকা ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

অর্থপাচার: বিসমিল্লাহর এমডি-চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের কারাদণ্ড

  • আপডেট সময় : ০৮:০৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থপাচারের মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ আটজনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। দণ্ডিত অন্য আসামিরা হলেন— সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, বিসমিল্লাহ গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজ আহম্মেদ উদ্দিন শাফি, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন ও যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ডিএমডি মোজাম্মেল হোসেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ২৪৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৬০ দিনের মধ্যে অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিলে তাদের আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহানুর রহমান বলেন, “আসামিরা পলাতক। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আর দণ্ডিতদের নামে থাকা সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। “যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোর্শেদুর রহমান এবং এস এম জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন।” মামলার অভিযোগে বলা হয়, খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীসহ অন্য আসামিরা ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড খাতে ১৩২ কোটি ৭৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা ‘অপরাধলব্ধ’ আয় করেন। খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীসহ অন্য আসামিরা ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড খাতে অর্জিত ‘অপরাধলব্ধ’ আয়ের ১৩২টি এলসির বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ ডলার পাচার করেছেন। দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক আল-আমিন মতিঝিল থানায় ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর মামলাটি করেন। মামলা তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১৭ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ওই বছরের ৩০ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অনেক বছর পর সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভোট হবে: প্রধান উপদেষ্টা

অর্থপাচার: বিসমিল্লাহর এমডি-চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৮:০৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থপাচারের মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ আটজনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। দণ্ডিত অন্য আসামিরা হলেন— সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, বিসমিল্লাহ গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজ আহম্মেদ উদ্দিন শাফি, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন ও যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ডিএমডি মোজাম্মেল হোসেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ২৪৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৬০ দিনের মধ্যে অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিলে তাদের আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহানুর রহমান বলেন, “আসামিরা পলাতক। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আর দণ্ডিতদের নামে থাকা সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। “যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোর্শেদুর রহমান এবং এস এম জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন।” মামলার অভিযোগে বলা হয়, খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীসহ অন্য আসামিরা ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড খাতে ১৩২ কোটি ৭৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা ‘অপরাধলব্ধ’ আয় করেন। খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীসহ অন্য আসামিরা ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড খাতে অর্জিত ‘অপরাধলব্ধ’ আয়ের ১৩২টি এলসির বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ ডলার পাচার করেছেন। দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক আল-আমিন মতিঝিল থানায় ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর মামলাটি করেন। মামলা তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১৭ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ওই বছরের ৩০ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত।