নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে ঘোষিত বাজেটে স্বীকৃতি ও সমাধান দুটোই অপ্রতুল। বৃহস্পতিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় একথা জানান। বাজেট নিয়ে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া শুক্রবার (২ জুন) সকালে জানানো হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকট এবং সমস্যার প্রেক্ষিতে আমাদের যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো বাজেট প্রস্তাবনায় ঘোষণা করা হলো, সেই সূচকে যে অনুমিতি ব্যবহার করে করা হয়েছে এবং সেই সূচকগুলোর যে প্রাক্কলন করা হয়েছে সেগুলো আমাদের কাছে মনে হয়েছে বাস্তবতা বিবর্জিত এবং সেগুলো অর্জন করা সম্ভব নয়। তিনি জানান, মূল্যস্ফীতির চাপ এবং পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের লাগাম টেনে ধরার জন্য যে প্রস্তাবনা করা হয়েছে, যে সমাধান দেওয়া হয়েছে সেগুলো কিন্তু সম্ভব না। সেগুলোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির হার যে তারা ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলছেন, সেগুলো করা সম্ভব হবে না। মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য যে আর্থিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেখানে আমদানি করা কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে কর রেয়াত দিলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যেত। কিন্তু তেমন কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি।
তার মতে, করমুক্ত আয়সীমা আমরা বাড়ানোর কথা বলেছিলাম। এখানে করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ করা হয়েছে, সেটি খুব ভালো। কিন্তু তার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে, কেউ যদি সরকারি সেবা নিতে গেলে রিটার্ন দাখিল করতে হবে এবং আয় যাই হোক দুই হাজার টাকা কর আরোপের বিষয়টি অবিবেচনাপ্রসূত মনে হয়। আমরা দাবি করছি এই দুই হাজার টাকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, এছাড়া আমাদের অর্থনৈতিক সংস্কারের যে কথা ছিল সেগুলোর বিষয়ে বাজেটে তেমন কোনও পদক্ষেপ নেই। এই বাজেট এমন একটা সময় প্রণয়ন করা হয়েছে যখন আইএমএফ এর বিভিন্ন শর্ত আছে ঋণ দেওয়ার। বাজেট উপস্থাপনায় তিন বার আইএমএফ এর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শর্তের বিষয়ে পরিষ্কার কিছু বলা হয়নি। কিন্তু আমরা দেখেছি, বিভিন্ন যে লক্ষ্যমাত্রা আছে সেই শর্তগুলো পরিপালনের ক্ষেত্রে কিছুটা ইঙ্গিত রয়েছে।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাজেটে সমাধান অপ্রতুল: সিপিডি
জনপ্রিয় সংবাদ