নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। তবে সংস্থাটি বলছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের দরিদ্র ও নিম্নআয় শ্রেণি এখনও কঠিন ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে।
রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক এক সংলাপে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও পুনরুদ্ধার ছিল সময়ের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর একটি। এই ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে সফলতা আসছে এবং ঝুঁকি কমছে—এটিই বড় অর্জন।’
তিনি বলেন, ‘নাগরিকরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কার এবং অর্থনীতি স্থিতিশীল করার ব্যাপারে উচ্চ প্রত্যাশা করেছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় অর্থনীতি ছিল ভঙ্গুর, প্রবৃদ্ধি মন্থর এবং নানা সংকটে জর্জরিত।’
সিপিডি মনে করে, জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সরকার নতুন কোনো বড় সংস্কার প্যাকেজ হাতে নেবে, এমন সম্ভাবনা কম। তাই ইতোমধ্যে অর্জিত সাফল্যগুলো ধরে রাখা এবং অর্থনীতির অন্তর্নিহিত দুর্বলতা মোকাবিলায় গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
ড. ফাহমিদা খাতুন সংবাদমাধ্যমকে জানান, সংস্কার কার্যক্রমে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। সংস্থাটি ৩৮টি সূচকের ওপর ‘সবুজ, হলুদ ও লাল’ তিন রঙের সূচক ব্যবহার করে একটি স্কোরকার্ড তৈরি করেছে, যেখানে মাত্র ৯টি সূচক সবুজ অবস্থায় রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অর্থনীতিকে পুনর্গঠনের জন্য শ্বেতপত্র কমিটি ও টাস্কফোর্সের সুপারিশ থাকলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়নে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উভয় প্রতিবেদনের সুপারিশই এখনও কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ।
এসি/