ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

অযত্নে-অবহেলায় কেয়ারগাতি স্মৃতিস্তম্ভ

  • আপডেট সময় : ০৪:০৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি প্রতিনিধি

আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: কালের বিবর্তনে অযত্নে হারিয়ে যেতে বসেছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত কেয়ারগাতি স্মৃতিস্তম্ভ।

সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের কয়ারগাতি গ্রামে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হয়েছিল এক রক্তক্ষয়ী নৌযুদ্ধ। সেই যুদ্ধে শহীদ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, আবুল হোসেন, আব্দুর রহমান ও অমন হোসেন। তাঁদের স্মরণে নদীর পাড়ে নির্মিত হয় ‘কেয়ারগাতি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ’। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে স্মৃতিস্তম্ভটি এখন অবহেলা ও অযত্নে হারিয়ে যেতে বসেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্মৃতিস্তম্ভের প্রবেশদ্বারের গেট মরিচায় ক্ষয়ে গেছে, দেয়ালের রং উঠে গেছে, চারপাশে শুকনো পাতা ও আবর্জনার স্তূপ জমে আছে। স্মৃতিফলকের লিপি বিবর্ণ হয়ে পড়ায় মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ পড়া প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, বছরজুড়ে কেউ এখানকার দেখভাল করে না। শুধু ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর এলে ফুল দেওয়া হয়, তারপর আবার নেমে আসে নীরবতা। মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর দাবি, উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে দ্রুত সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

তাঁদের ভাষায় ‘এই স্মৃতিস্তম্ভ শুধু স্থাপনা নয়, এটি আমাদের গর্ব ও ইতিহাসের প্রতীক।

রিয়াজ/সানা/আপ্র/১১/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অযত্নে-অবহেলায় কেয়ারগাতি স্মৃতিস্তম্ভ

আপডেট সময় : ০৪:০৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: কালের বিবর্তনে অযত্নে হারিয়ে যেতে বসেছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত কেয়ারগাতি স্মৃতিস্তম্ভ।

সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের কয়ারগাতি গ্রামে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হয়েছিল এক রক্তক্ষয়ী নৌযুদ্ধ। সেই যুদ্ধে শহীদ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, আবুল হোসেন, আব্দুর রহমান ও অমন হোসেন। তাঁদের স্মরণে নদীর পাড়ে নির্মিত হয় ‘কেয়ারগাতি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ’। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে স্মৃতিস্তম্ভটি এখন অবহেলা ও অযত্নে হারিয়ে যেতে বসেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্মৃতিস্তম্ভের প্রবেশদ্বারের গেট মরিচায় ক্ষয়ে গেছে, দেয়ালের রং উঠে গেছে, চারপাশে শুকনো পাতা ও আবর্জনার স্তূপ জমে আছে। স্মৃতিফলকের লিপি বিবর্ণ হয়ে পড়ায় মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ পড়া প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, বছরজুড়ে কেউ এখানকার দেখভাল করে না। শুধু ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর এলে ফুল দেওয়া হয়, তারপর আবার নেমে আসে নীরবতা। মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর দাবি, উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে দ্রুত সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

তাঁদের ভাষায় ‘এই স্মৃতিস্তম্ভ শুধু স্থাপনা নয়, এটি আমাদের গর্ব ও ইতিহাসের প্রতীক।

রিয়াজ/সানা/আপ্র/১১/১১/২০২৫