ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অমিত শাহর দপ্তরের সামনে প্রতিবাদী ধরনায় তৃণমূল সাংসদেরা

  • আপডেট সময় : ১১:৪১:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
  • ১২২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দপ্তরের সামনে গতকাল সোমবার ধরনায় বসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু সাংসদ। এনডিটিভি অনলাইন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশি নিষ্ঠুরতার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ হিসেবে দলের সাংসদেরা ধরনায় বসেন।
ধরনায় অংশ নেওয়া তৃণমূল সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দু শেখর রায়, কল্যাণ ব্যানার্জি, সৌগত রায়, দোলা সেন প্রমুখ। বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় বারবার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-সহিংসতার অভিযোগ এনে তৃণমূল বিষয়টি রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দলের সাংসদেরা এ নিয়ে কথা বলার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সাক্ষাৎও চান। ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে জানান, তৃণমূলের ১৬ জন সাংসদ রাজধানীতে পৌঁছেছেন। তাঁরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে আজ সকালে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তৃণমূল সাংসদদের সাক্ষাতের জন্য সময় দেননি। এর জেরে তৃণমূলের সাংসদেরা নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দপ্তরের সামনে ধরনায় বসেন। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেত্রী ও অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে গত রোববার গ্রেপ্তার করে ত্রিপুরা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে গাড়ি ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনা হয়। তৃণমূলের দাবি, ত্রিপুরার আগরতলায় নির্বাচনী সভা প- করতে পরিকল্পিতভাবে সায়নীকে ফাঁসানো হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, গত শনিবার মধ্যরাত থেকে তাঁদের হোটেল ঘিরে রাখে পুলিশ। গতকাল বেলা ১১টার দিকে পুলিশ হোটেলে ঢুকে সায়নীর খোঁজ করে। পরে তারা সায়নীকে জোর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুনাল ঘোষ। তিনি পুলিশ কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, সায়নীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কোনো নোটিশ আছে কি না। তৃণমূলের দাবি, পুলিশ কোনো নোটিশ দেখাতে পারেনি। কিন্তু পুলিশ জানায়, সায়নীর বিরুদ্ধে ‘হিট অ্যান্ড রান’-এর অভিযোগ আছে। এরপর সায়নীকে আগরতলা থানায় নেওয়া হয়। সায়নীসহ অন্য তৃণমূল নেত্রীরা থানায় পৌঁছানোর পর হেলমেট পরা একদল দুষ্কৃতকারী লাঠি নিয়ে থানা চত্বরে হাজির হয়। তারা থানায় ঢুকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ দলটির।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অমিত শাহর দপ্তরের সামনে প্রতিবাদী ধরনায় তৃণমূল সাংসদেরা

আপডেট সময় : ১১:৪১:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দপ্তরের সামনে গতকাল সোমবার ধরনায় বসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু সাংসদ। এনডিটিভি অনলাইন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশি নিষ্ঠুরতার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ হিসেবে দলের সাংসদেরা ধরনায় বসেন।
ধরনায় অংশ নেওয়া তৃণমূল সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দু শেখর রায়, কল্যাণ ব্যানার্জি, সৌগত রায়, দোলা সেন প্রমুখ। বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় বারবার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-সহিংসতার অভিযোগ এনে তৃণমূল বিষয়টি রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দলের সাংসদেরা এ নিয়ে কথা বলার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সাক্ষাৎও চান। ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে জানান, তৃণমূলের ১৬ জন সাংসদ রাজধানীতে পৌঁছেছেন। তাঁরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে আজ সকালে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তৃণমূল সাংসদদের সাক্ষাতের জন্য সময় দেননি। এর জেরে তৃণমূলের সাংসদেরা নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দপ্তরের সামনে ধরনায় বসেন। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেত্রী ও অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে গত রোববার গ্রেপ্তার করে ত্রিপুরা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে গাড়ি ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনা হয়। তৃণমূলের দাবি, ত্রিপুরার আগরতলায় নির্বাচনী সভা প- করতে পরিকল্পিতভাবে সায়নীকে ফাঁসানো হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, গত শনিবার মধ্যরাত থেকে তাঁদের হোটেল ঘিরে রাখে পুলিশ। গতকাল বেলা ১১টার দিকে পুলিশ হোটেলে ঢুকে সায়নীর খোঁজ করে। পরে তারা সায়নীকে জোর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুনাল ঘোষ। তিনি পুলিশ কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, সায়নীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কোনো নোটিশ আছে কি না। তৃণমূলের দাবি, পুলিশ কোনো নোটিশ দেখাতে পারেনি। কিন্তু পুলিশ জানায়, সায়নীর বিরুদ্ধে ‘হিট অ্যান্ড রান’-এর অভিযোগ আছে। এরপর সায়নীকে আগরতলা থানায় নেওয়া হয়। সায়নীসহ অন্য তৃণমূল নেত্রীরা থানায় পৌঁছানোর পর হেলমেট পরা একদল দুষ্কৃতকারী লাঠি নিয়ে থানা চত্বরে হাজির হয়। তারা থানায় ঢুকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ দলটির।