ঢাকা ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

অভিষেক মাসেই আইসিসির সেরা কনওয়ে

  • আপডেট সময় : ০২:২৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম’, এটি এখন বলতেই পারেন ডেভন কনওয়ে। টেস্ট আঙিনায় পা দিয়েই তার যে অসাধারণ সাফল্য, সেটির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও মিলে গেল। আইসিসির জুন মাসের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন এই কিউই ব্যাটসম্যান। মেয়েদের ক্রিকেটে জুনের সেরা ইংল্যান্ডের সোফি এক্লেস্টোন। আইসিসির মাস সেরা হওয়া নিউ জিল্যান্ডের প্রথম ক্রিকেটার কনওয়ে। জুনের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে টেস্ট ক্যাপ পান তিনি। অভিষেকে ক্রিকেট তীর্থে করেন দুর্দান্ত এক ডাবল সেঞ্চুরি। সেই ধারাবাহিকতায় পরের টেস্টে খেলেন ৮০ রানের ইনিংস। এরপর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষেও করেন ফিফটি। সেরার লড়াইয়ে কনওয়ের সঙ্গী ছিলেন এবার সতীর্থ কাইল জেমিসন ও দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ম্যাচ সেরা হন জেমিসন। সংক্ষিপ্ত তালিকায় ডি কক জায়গা পান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সাফল্যে। তবে ধারাবাহিক সাফল্যে কনওয়ে পেছনে ফেলেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে।
তিন টেস্টে ৩৭৯ রান কনওয়ের। রেকর্ড ৪৪৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তার আবির্ভাব হয় আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে। ৩০ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের কাছে এই অর্জন বিশেষ কিছু হয়ে উঠেছে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণের পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি বলেই। “এই পুরস্কার পেয়ে আমি সত্যিই সম্মানিত। টেস্ট ক্রিকেটের পারফরম্যান্সের জন্য এই স্বীকৃতি পাওয়ায় তা বাড়তি স্পেশাল হয়ে উঠেছে।” “লর্ডসে ডাবল সেঞ্চুরি করা ছিল স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জয়ে দলে অবদান রাখতে পারাও এমন কিছু, অনেক বছর পরে যেটিতে ফিরে তাকাব গর্ব নিয়ে।” এক্লেস্টোন সেরা হন সাদা আর রঙিন, দুই সংস্করণই রাঙিয়ে। ভারতের বিপক্ষে টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে এই বাঁহাতি স্পিনারের শিকার ৮ উইকেট। পরে দুই ওয়ানডেতে নেন তিনটি করে উইকেট। সেরার লড়াইয়ে তিনি পেছনে ফেলেন ভারতের স্নেহ রানা ও শেফালি ভার্মাকে।
এই বছরের শুরু থেকে মাস সেরার এই স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করে আইসিসি। কনওয়ের আগে পাঁচ মাসে সেরা নির্বাচিত হন রিশাভ পান্ত, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, বাবর আজম ও মুশফিকুর রহিম। মেয়েদের সেরা হন এক্লেস্টোনের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার শাবনিম ইসমাইল, ইংল্যান্ডের ট্যামি বিউমন্ট, দক্ষিণ আফ্রিকার লিজেল লি ও অস্ট্রেলিয়ার এলিসা হিলি। আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসি ওয়েবসাইটে লগ ইন করে সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে। সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অভিষেক মাসেই আইসিসির সেরা কনওয়ে

আপডেট সময় : ০২:২৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : ‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম’, এটি এখন বলতেই পারেন ডেভন কনওয়ে। টেস্ট আঙিনায় পা দিয়েই তার যে অসাধারণ সাফল্য, সেটির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও মিলে গেল। আইসিসির জুন মাসের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন এই কিউই ব্যাটসম্যান। মেয়েদের ক্রিকেটে জুনের সেরা ইংল্যান্ডের সোফি এক্লেস্টোন। আইসিসির মাস সেরা হওয়া নিউ জিল্যান্ডের প্রথম ক্রিকেটার কনওয়ে। জুনের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে টেস্ট ক্যাপ পান তিনি। অভিষেকে ক্রিকেট তীর্থে করেন দুর্দান্ত এক ডাবল সেঞ্চুরি। সেই ধারাবাহিকতায় পরের টেস্টে খেলেন ৮০ রানের ইনিংস। এরপর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষেও করেন ফিফটি। সেরার লড়াইয়ে কনওয়ের সঙ্গী ছিলেন এবার সতীর্থ কাইল জেমিসন ও দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ম্যাচ সেরা হন জেমিসন। সংক্ষিপ্ত তালিকায় ডি কক জায়গা পান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সাফল্যে। তবে ধারাবাহিক সাফল্যে কনওয়ে পেছনে ফেলেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে।
তিন টেস্টে ৩৭৯ রান কনওয়ের। রেকর্ড ৪৪৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তার আবির্ভাব হয় আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে। ৩০ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের কাছে এই অর্জন বিশেষ কিছু হয়ে উঠেছে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণের পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি বলেই। “এই পুরস্কার পেয়ে আমি সত্যিই সম্মানিত। টেস্ট ক্রিকেটের পারফরম্যান্সের জন্য এই স্বীকৃতি পাওয়ায় তা বাড়তি স্পেশাল হয়ে উঠেছে।” “লর্ডসে ডাবল সেঞ্চুরি করা ছিল স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জয়ে দলে অবদান রাখতে পারাও এমন কিছু, অনেক বছর পরে যেটিতে ফিরে তাকাব গর্ব নিয়ে।” এক্লেস্টোন সেরা হন সাদা আর রঙিন, দুই সংস্করণই রাঙিয়ে। ভারতের বিপক্ষে টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে এই বাঁহাতি স্পিনারের শিকার ৮ উইকেট। পরে দুই ওয়ানডেতে নেন তিনটি করে উইকেট। সেরার লড়াইয়ে তিনি পেছনে ফেলেন ভারতের স্নেহ রানা ও শেফালি ভার্মাকে।
এই বছরের শুরু থেকে মাস সেরার এই স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করে আইসিসি। কনওয়ের আগে পাঁচ মাসে সেরা নির্বাচিত হন রিশাভ পান্ত, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, বাবর আজম ও মুশফিকুর রহিম। মেয়েদের সেরা হন এক্লেস্টোনের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার শাবনিম ইসমাইল, ইংল্যান্ডের ট্যামি বিউমন্ট, দক্ষিণ আফ্রিকার লিজেল লি ও অস্ট্রেলিয়ার এলিসা হিলি। আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসি ওয়েবসাইটে লগ ইন করে সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে। সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।