ঢাকা ০১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

অভিষেকেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরার রেকর্ড ক্যারের

  • আপডেট সময় : ০৯:৩১:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১২২ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : অভিষেকটা যে কোনো ক্রিকেটারই রাঙিয়ে নিতে চায়, করে রাখতে স্মরণীয়। তবে, অভিষেকেই কেউ যদি রেকর্ড গড়ে বসেন, তাহলে তো কথাই নেই। উদয়ের লগ্নেই পুরো পৃথিবীকে বার্তা দিয়ে রাখা গেলো, শোনানো গেলো তার আগমন ধ্বনি।
অস্ট্রেলিয়ান উইকেটরক্ষক ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারে তার অভিষেকটা স্মরণীয় করে রাখলেন উইকেটের পেছনে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ধরে। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪০ বছরেরও বেশি ইতিহাসে এই প্রথম কোনো অভিষিক্ত উইকেটরক্ষক ৮টি ক্যাচ ধরার গৌরব অর্জন করলেন।
এমনিতেই অ্যাডাম গিলক্রিস্টের পর অ্যালেক্স ক্যারে প্রথম উইকেটরক্ষক, যার অভিষেকটা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হলো। নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে টিম পেইন দল থেকে বিদায় নেয়ার পর তার জায়গাটা কাকে দেয়া হবে তা নিয়ে জ্বল্পনা ছিল অনেক। শেষ পর্যন্ত ক্যারের ওপরই আস্থা রাখলো অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই ক্যারে উইকেটের পেছনে আস্থার এতটা প্রতিদান দেবেন, কে ভেবেছিল? প্রথম ইনিংসে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ধরেছিলেন ৩টি ক্যাচ। দ্বিতীয় ইনিংসে ধরলেন ৫টি। অ্যালেক্স ক্যারের হাত ফসকে বল বের করে, সাধ্য কার? যেভাবে ওঁত পেতে থাকেন আর ক্ষিপ্র গতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ ধরেন, তা সত্যিই বিরল। ক্রিস ওকসের ক্যাচ ধরেই নিজের নাম রেকর্ডের পাতায় তুলে ফেলেন তিনি।
ইংল্যান্ডের ক্রিস রিড, অস্ট্রেলিয়ার ব্র্যায়ান ট্যাবার এবং ভারতের রিশাভ পান্তকে পেছনে ফেলেন অ্যালেক্স ক্যারে। এই তিন ক্রিকেটার অভিষেকে ধরেছিলেন ৭টি ক্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে প্রথম দাঁড়িয়ে ধরেছিলেন ৯টি ক্যাচ। কিন্তু তার নাম রেকর্ডের পাতায় আসবে না, কারণ উইকেটরক্ষক হিসেবে প্রথম হলেও ওটা ছিল তার দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে উইকেটকিপিং করার সুযোগ পাননি ডি কক।
সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং বলেন, ‘অ্যালেক্স ক্যারেকে প্রতিটি পার্টে দেখে মনে হয়েছে, সে একজন পূর্ণাঙ্গ টেস্ট ক্রিকেটার। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে সে যেভাবে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে আসলে এবং মোকাবেলা করলো, তেমনটা অনেক ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেই দেখা যায় না।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অভিষেকেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরার রেকর্ড ক্যারের

আপডেট সময় : ০৯:৩১:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : অভিষেকটা যে কোনো ক্রিকেটারই রাঙিয়ে নিতে চায়, করে রাখতে স্মরণীয়। তবে, অভিষেকেই কেউ যদি রেকর্ড গড়ে বসেন, তাহলে তো কথাই নেই। উদয়ের লগ্নেই পুরো পৃথিবীকে বার্তা দিয়ে রাখা গেলো, শোনানো গেলো তার আগমন ধ্বনি।
অস্ট্রেলিয়ান উইকেটরক্ষক ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারে তার অভিষেকটা স্মরণীয় করে রাখলেন উইকেটের পেছনে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ধরে। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪০ বছরেরও বেশি ইতিহাসে এই প্রথম কোনো অভিষিক্ত উইকেটরক্ষক ৮টি ক্যাচ ধরার গৌরব অর্জন করলেন।
এমনিতেই অ্যাডাম গিলক্রিস্টের পর অ্যালেক্স ক্যারে প্রথম উইকেটরক্ষক, যার অভিষেকটা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হলো। নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে টিম পেইন দল থেকে বিদায় নেয়ার পর তার জায়গাটা কাকে দেয়া হবে তা নিয়ে জ্বল্পনা ছিল অনেক। শেষ পর্যন্ত ক্যারের ওপরই আস্থা রাখলো অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই ক্যারে উইকেটের পেছনে আস্থার এতটা প্রতিদান দেবেন, কে ভেবেছিল? প্রথম ইনিংসে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ধরেছিলেন ৩টি ক্যাচ। দ্বিতীয় ইনিংসে ধরলেন ৫টি। অ্যালেক্স ক্যারের হাত ফসকে বল বের করে, সাধ্য কার? যেভাবে ওঁত পেতে থাকেন আর ক্ষিপ্র গতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ ধরেন, তা সত্যিই বিরল। ক্রিস ওকসের ক্যাচ ধরেই নিজের নাম রেকর্ডের পাতায় তুলে ফেলেন তিনি।
ইংল্যান্ডের ক্রিস রিড, অস্ট্রেলিয়ার ব্র্যায়ান ট্যাবার এবং ভারতের রিশাভ পান্তকে পেছনে ফেলেন অ্যালেক্স ক্যারে। এই তিন ক্রিকেটার অভিষেকে ধরেছিলেন ৭টি ক্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে প্রথম দাঁড়িয়ে ধরেছিলেন ৯টি ক্যাচ। কিন্তু তার নাম রেকর্ডের পাতায় আসবে না, কারণ উইকেটরক্ষক হিসেবে প্রথম হলেও ওটা ছিল তার দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে উইকেটকিপিং করার সুযোগ পাননি ডি কক।
সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং বলেন, ‘অ্যালেক্স ক্যারেকে প্রতিটি পার্টে দেখে মনে হয়েছে, সে একজন পূর্ণাঙ্গ টেস্ট ক্রিকেটার। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে সে যেভাবে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে আসলে এবং মোকাবেলা করলো, তেমনটা অনেক ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেই দেখা যায় না।’