ঢাকা ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউনের বেতন বৃদ্ধি, সমালোচনার ঝড়

  • আপডেট সময় : ০৩:৩২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : সাময়িকভাবে সামরিক আইন জারির দায়ে অভিশংসিত হলেও দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বার্ষিক বেতন বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে সরকার। বিবিসি লিখেছে, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধির মানদন্ড অনুযায়ী ইউনের বেতনও ৩ শতাংশ বেড়ে ২৬ কোটি ২৬ লাখ ওন (১ লাখ ৭৯ হাজার ডলার; ১ লাখ ৪৭ হাজার পাউন্ড) হবে। ইউনের বেতন বৃদ্ধির খবরে দক্ষিণ কোরীয়রা তীব্র সমালোচনা শুরু করেছেন। সমালোচকদের কেউ কেউ বলছেন, “তারা বিশ্বাসই করতে পারছেন না তার বেতন এখনও বহাল আছে।

সেখানে তাকে বরখাস্ত করার পরও বেতন বাড়ানো তো দূরের কথা।” সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন, ইউনের ৩ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি দেশের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। এক্স এ এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছেন, “ যেখানে ন্যূনতম মজুরি ১ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, সেখানে ইউনের বেতন কেন ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেল?” বিবিসি লিখেছে, এই পোস্টে শত শত লাইক পড়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারি এবং চাপের মুখে তা প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে গত ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে অভিসংশিত হওয়ার পর সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছেন ইউন সুক-ইওল।
দুর্নীতি বিরোধী কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তের আওতায় তাকে দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছিলেন। ৩ জানুয়ারিতে ইউনকে গ্রেপ্তারের একটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

এরপর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত হলেও সাংবিধানিক আদালতে তার অভিশংসন বিচারের রায় না হওয়া পর্যন্ত ইউন প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন। ইউন তার সামরিক আইন ঘোষণার যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি’ এবং উত্তর কোরিয়ার হুমকির কথা উল্লেখ করেছিলেন। তবে দ্রুতই এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে, সামরিক আইন জারির পদক্ষেপটি কারও হুমকিতে নয় বরং তার নিজের ঘরোয়া রাজনৈতিক সমস্যার কারণে নেওয়া হয়েছিল। চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় বাধা দিয়েছিল তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস (পিএসএস)। পুলিশ কর্মকর্তা ও সিআইও সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করতে তার বাসভবনে গিয়েছিল।

অচলাবস্থার কারণে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে প্রাথমিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মেয়াদ শেষ হলেও স্থানীয় আদালত তা বাড়িয়েছে। বিবিসি লিখেছে, তদন্তকারীরা ইউনকে গ্রেপ্তারের জন্য আরেকটি প্রচেষ্টার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং পুলিশের কাছে সহায়তা চেয়েছেন। সোমবার কর্তৃপক্ষক্ষ জানিয়েছে, “হতাহত বা রক্তপাত এড়াতে ইউনকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা সতর্কতার সঙ্গে নেওয়া হবে। তারা সতর্ক করে দিয়েছে, নিরাপত্তা কর্মী এবং আইনপ্রণেতারা যদি গ্রেফতারি চেষ্টায় বাধা দেয় তবে তাদেরও গ্রেপ্তারের মুখোমুখি করা হতে পারে।”

ইউনের আইনজীবীরা বলেছেন, প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কর্মকর্তা ও তদন্তকারীদের নিয়োগ করা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’। তাদের দাবি, এই গ্রেফতারি পরোয়ানা অবৈধ’।

 

 

 

 

 

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউনের বেতন বৃদ্ধি, সমালোচনার ঝড়

আপডেট সময় : ০৩:৩২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : সাময়িকভাবে সামরিক আইন জারির দায়ে অভিশংসিত হলেও দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বার্ষিক বেতন বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে সরকার। বিবিসি লিখেছে, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধির মানদন্ড অনুযায়ী ইউনের বেতনও ৩ শতাংশ বেড়ে ২৬ কোটি ২৬ লাখ ওন (১ লাখ ৭৯ হাজার ডলার; ১ লাখ ৪৭ হাজার পাউন্ড) হবে। ইউনের বেতন বৃদ্ধির খবরে দক্ষিণ কোরীয়রা তীব্র সমালোচনা শুরু করেছেন। সমালোচকদের কেউ কেউ বলছেন, “তারা বিশ্বাসই করতে পারছেন না তার বেতন এখনও বহাল আছে।

সেখানে তাকে বরখাস্ত করার পরও বেতন বাড়ানো তো দূরের কথা।” সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন, ইউনের ৩ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি দেশের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। এক্স এ এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছেন, “ যেখানে ন্যূনতম মজুরি ১ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, সেখানে ইউনের বেতন কেন ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেল?” বিবিসি লিখেছে, এই পোস্টে শত শত লাইক পড়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারি এবং চাপের মুখে তা প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে গত ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে অভিসংশিত হওয়ার পর সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছেন ইউন সুক-ইওল।
দুর্নীতি বিরোধী কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তের আওতায় তাকে দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছিলেন। ৩ জানুয়ারিতে ইউনকে গ্রেপ্তারের একটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

এরপর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত হলেও সাংবিধানিক আদালতে তার অভিশংসন বিচারের রায় না হওয়া পর্যন্ত ইউন প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন। ইউন তার সামরিক আইন ঘোষণার যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি’ এবং উত্তর কোরিয়ার হুমকির কথা উল্লেখ করেছিলেন। তবে দ্রুতই এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে, সামরিক আইন জারির পদক্ষেপটি কারও হুমকিতে নয় বরং তার নিজের ঘরোয়া রাজনৈতিক সমস্যার কারণে নেওয়া হয়েছিল। চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় বাধা দিয়েছিল তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস (পিএসএস)। পুলিশ কর্মকর্তা ও সিআইও সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করতে তার বাসভবনে গিয়েছিল।

অচলাবস্থার কারণে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে প্রাথমিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মেয়াদ শেষ হলেও স্থানীয় আদালত তা বাড়িয়েছে। বিবিসি লিখেছে, তদন্তকারীরা ইউনকে গ্রেপ্তারের জন্য আরেকটি প্রচেষ্টার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং পুলিশের কাছে সহায়তা চেয়েছেন। সোমবার কর্তৃপক্ষক্ষ জানিয়েছে, “হতাহত বা রক্তপাত এড়াতে ইউনকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা সতর্কতার সঙ্গে নেওয়া হবে। তারা সতর্ক করে দিয়েছে, নিরাপত্তা কর্মী এবং আইনপ্রণেতারা যদি গ্রেফতারি চেষ্টায় বাধা দেয় তবে তাদেরও গ্রেপ্তারের মুখোমুখি করা হতে পারে।”

ইউনের আইনজীবীরা বলেছেন, প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কর্মকর্তা ও তদন্তকারীদের নিয়োগ করা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’। তাদের দাবি, এই গ্রেফতারি পরোয়ানা অবৈধ’।