ঢাকা ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

‘অভিজ্ঞতার বিবেচনায়’ এশিয়া কাপ দলে মাহমুদউল্লাহ

  • আপডেট সময় : ১১:০০:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : মাহমুদউল্লাহ আর টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নন, এই প্রসঙ্গে কোনো কথাই হলো না। তার সাম্প্রতিক বাস্তবতা ফুটে উঠছে এতেই। বরং দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠল তাকে দলে নেওয়ায়। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন কারণ হিসেবে বললেন, এশিয়া কাপের মতো বড় আসরে প্রয়োজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। গত মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও মাহমুদউল্লাহ ছিলেন অধিনায়ক। ২০১৯ সালে সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে তিনি পালন করে আসছিলেন এই দায়িত্ব। গত বছর বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতার পর তুমুল সমালোচনা হলেও তার ওপরই আস্থা রাখে বিসিবি। তবে দলের টানা হার আর তার নিজের ব্যাট রান খরা মিলিয়ে সেই ভরসার জায়গা হারাতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। সবশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে তাকে বিশ্রাম দিয়ে অধিনায়ক করে পাঠানো হয় নুরুল হাসান সোহানকে। সোহান জিম্বাবুয়েতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পর ছিটকে যান চোট নিয়ে। শেষ ম্যাচের দলে তখন যোগ করা হয় মাহমুদউল্লাহকে। কিন্তু অধিনায়কত্ব দেওয়া হয় মোসাদ্দেক হোসেনকে। মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায় তখনই। অবশেষে শনিবার বিসিবি সাকিব আল হাসানকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ঘোষণা করে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। প্রেক্ষাপট তৈরি ছিল বলে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্ব না পাওয়া নিয়ে কোনো প্রশ্নই ওঠেনি। প্রশ্ন জাগাচ্ছে বরং ব্যাট হাতে তার ফর্ম। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব থেকে এখনও পর্যন্ত ১৪ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে স্রেফ ১৭.৪১ গড়ে তার রান ২০৯, স্ট্রাইক রেট মাত্র ১০০.৪৮। অথচ তিনি এমন জায়গায় ব্যাট করেন, যেখানে দলের দাবি থাকে দ্রুত রান।
প্রধান নির্বাচক অবশ্য বললেন, ফর্ম নয়, তারা ভরসা রাখছেন মাহমুদউল্লাহর ১১৯ ম্যাচের অভিজ্ঞতায়। “এশিয়া কাপ অনেক বড় টুর্নামেন্ট। অভিজ্ঞতা এখানে বড় ব্যাপার। এই জায়গায় অভিজ্ঞ ক্রিকেটার প্রয়োজন বলে আমরা চিন্তা-ভাবনা করেছি।” দল নির্বাচনে নতুন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ভূমিকাও ছিল বলে নিশ্চিত করলেন প্রধান নির্বাচক। “অধিনায়কের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। যেহেতু আমরা টি-টোয়েন্টিতে ভালো অবস্থানে নেই। সেসব বিবেচনায় নিয়েই দল তৈরি করেছি। আশা করছি, এশিয়া কাপে ভালো কিছু করবে এই দল। সেখানে কঠিন লড়াই হবে। আগে জিম্বাবুয়েতে আমরা ভালো করতে পারিনি। আশা করছি এই দলটা এশিয়া কাপে ভালো করবে।” জিম্বাবুয়ে থেকে ফেরার পর গত সোমবার সিঙ্গাপুরে অস্ত্রোপচার করা হয় সোহানের আঙুলে। এশিয়া কাপে তিনি খেলতে পারবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছিল। তবে নির্বাচকরা এখনও আশার জায়গা দেখছেন। “সোহানের ইনজুরি থাকলেও তার একটা আপডেট হলো, ২১ তারিখে হাতের সেলাই খোলার কথা। সেখানে আশা করছি ইতিবাচক কিছু হবে। সে যদি খেলতে পারে, সেই আশা থেকে দলে রাখা হয়েছে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘অভিজ্ঞতার বিবেচনায়’ এশিয়া কাপ দলে মাহমুদউল্লাহ

আপডেট সময় : ১১:০০:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২

ক্রীড়া প্রতিবেদক : মাহমুদউল্লাহ আর টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নন, এই প্রসঙ্গে কোনো কথাই হলো না। তার সাম্প্রতিক বাস্তবতা ফুটে উঠছে এতেই। বরং দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠল তাকে দলে নেওয়ায়। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন কারণ হিসেবে বললেন, এশিয়া কাপের মতো বড় আসরে প্রয়োজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। গত মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও মাহমুদউল্লাহ ছিলেন অধিনায়ক। ২০১৯ সালে সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে তিনি পালন করে আসছিলেন এই দায়িত্ব। গত বছর বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতার পর তুমুল সমালোচনা হলেও তার ওপরই আস্থা রাখে বিসিবি। তবে দলের টানা হার আর তার নিজের ব্যাট রান খরা মিলিয়ে সেই ভরসার জায়গা হারাতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। সবশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে তাকে বিশ্রাম দিয়ে অধিনায়ক করে পাঠানো হয় নুরুল হাসান সোহানকে। সোহান জিম্বাবুয়েতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পর ছিটকে যান চোট নিয়ে। শেষ ম্যাচের দলে তখন যোগ করা হয় মাহমুদউল্লাহকে। কিন্তু অধিনায়কত্ব দেওয়া হয় মোসাদ্দেক হোসেনকে। মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায় তখনই। অবশেষে শনিবার বিসিবি সাকিব আল হাসানকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ঘোষণা করে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। প্রেক্ষাপট তৈরি ছিল বলে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্ব না পাওয়া নিয়ে কোনো প্রশ্নই ওঠেনি। প্রশ্ন জাগাচ্ছে বরং ব্যাট হাতে তার ফর্ম। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব থেকে এখনও পর্যন্ত ১৪ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে স্রেফ ১৭.৪১ গড়ে তার রান ২০৯, স্ট্রাইক রেট মাত্র ১০০.৪৮। অথচ তিনি এমন জায়গায় ব্যাট করেন, যেখানে দলের দাবি থাকে দ্রুত রান।
প্রধান নির্বাচক অবশ্য বললেন, ফর্ম নয়, তারা ভরসা রাখছেন মাহমুদউল্লাহর ১১৯ ম্যাচের অভিজ্ঞতায়। “এশিয়া কাপ অনেক বড় টুর্নামেন্ট। অভিজ্ঞতা এখানে বড় ব্যাপার। এই জায়গায় অভিজ্ঞ ক্রিকেটার প্রয়োজন বলে আমরা চিন্তা-ভাবনা করেছি।” দল নির্বাচনে নতুন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ভূমিকাও ছিল বলে নিশ্চিত করলেন প্রধান নির্বাচক। “অধিনায়কের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। যেহেতু আমরা টি-টোয়েন্টিতে ভালো অবস্থানে নেই। সেসব বিবেচনায় নিয়েই দল তৈরি করেছি। আশা করছি, এশিয়া কাপে ভালো কিছু করবে এই দল। সেখানে কঠিন লড়াই হবে। আগে জিম্বাবুয়েতে আমরা ভালো করতে পারিনি। আশা করছি এই দলটা এশিয়া কাপে ভালো করবে।” জিম্বাবুয়ে থেকে ফেরার পর গত সোমবার সিঙ্গাপুরে অস্ত্রোপচার করা হয় সোহানের আঙুলে। এশিয়া কাপে তিনি খেলতে পারবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছিল। তবে নির্বাচকরা এখনও আশার জায়গা দেখছেন। “সোহানের ইনজুরি থাকলেও তার একটা আপডেট হলো, ২১ তারিখে হাতের সেলাই খোলার কথা। সেখানে আশা করছি ইতিবাচক কিছু হবে। সে যদি খেলতে পারে, সেই আশা থেকে দলে রাখা হয়েছে।”