কুষ্টিয়া সংবাদদাতা: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও কন্যার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
দৌলতপুর থানার ওসি মো. সোলয়মান শেখ বলেন, বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর গ্রাম থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার মরদেহের ময়নাতদন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে হয়েছে। নিহতরা হল- গ্রামের সৌদি প্রবাসী রহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেশমা খাতুন (২৫) এবং তার আড়াই বছরের মেয়ে লামিয়া। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, কিছুদিন ধরে রহিদুল তার স্ত্রী ও সন্তানের কোনো খোঁজ-খবর নিচ্ছিলেন না। এ কারণে রেশমা আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছিলেন। তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রতিবেশীরা বাড়িতে গিয়ে রেশমাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি মেরে রেশমা খাতুনকে সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। ঘরে তখন শিশুটির নিস্তেজ দেহও পড়েছিল। দৌলতপুর থানার ওসি মো. সোলয়মান শেখ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রহিদুল দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রী ও শিশুকন্যার কোনো খোঁজখবর রাখেন না এবং খরচাপাতি কিছু না দেওয়ায় আর্থিক কষ্টে দিন কাটছিল। সে কারণে পারিবারিক কলহ চলছিল। মনে হচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মা সিলিংয়ের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনা যাই ঘটুক, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত বলা যাবে। ওসি বলেন, দুপুরে মা ও শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সানা/আপ্র/০৭/১১/২০২৫






















