ঢাকা ০১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, মেয়রের সামনে ইট-পাটকেলের বৃষ্টি

  • আপডেট সময় : ১১:১২:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

মহানগর প্রতিবেদন : খালের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গিয়ে দখলদারদের ইট-পাটকেলের মুখোমুখি হতে হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসিকে। এ সময় উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। গতকাল রোববার বেলা পৌনে একটায় রাজধানীর বসিলা রোডের লাউতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কাটাসুর খালের অংশ বিশেষ ভরাট করে সেখানে মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেছে স্থানীয় কিছু দখলদার। লাউতলা এলাকার ট্রাকস্ট্যান্ড লাগোয়া একটি অস্থায়ী মসজিদ উচ্ছেদ করতে গেলে দখলদারদের রোষাণলে পড়তে হয় উত্তর সিটি মেয়র ও নগর কর্মকর্তাদের। এ সময় ঘটনাস্থলে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। উচ্ছেদ শুরু করতেই স্থানীয় একদল লোক তাদেরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পরে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
অবৈধ দখলদারদের বিনা নোটিশে উচ্ছেদ করা হবে: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অবৈধ দখলদারদের কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ করা হবে বলে সতর্ক করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। রোববার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় লাউতলা খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র আতিকুল বলেন, নকশা অনুযায়ী খালটির (লাউতলা খালের) দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যা থাকার কথা বাস্তবে তার কিছুই নেই। অবৈধভাবে দখল ও স্থাপনা নির্মাণ করে খালটির অস্তিত্বই বিলীন করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ খাল উদ্ধার করে বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, এরইমধ্যে যারা অবৈধভাবে খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে দখল ছেড়ে দিতে হবে। অন্যথায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। নগরীকে জলজট কিংবা জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্ত করতে হলে যে কোনো মূল্যে খালগুলো উদ্ধার করতেই হবে। তিনি বলেন, নগরবাসীর সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিষ্কার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি খালের দুই পাড়ের সীমানা নির্ধারণ করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাছে খালগুলো হস্তান্তরের পূর্বে দায়িত্বে থাকা ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার কারণেই খালগুলো দখল ও দূষণে বিপর্যস্ত অবস্থায় পৌঁছেছে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক এবং স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংগঠনের প্রতি উমামার কমিটমেন্ট ছিল কি না, প্রশ্ন রিফাতের

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, মেয়রের সামনে ইট-পাটকেলের বৃষ্টি

আপডেট সময় : ১১:১২:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

মহানগর প্রতিবেদন : খালের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গিয়ে দখলদারদের ইট-পাটকেলের মুখোমুখি হতে হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসিকে। এ সময় উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। গতকাল রোববার বেলা পৌনে একটায় রাজধানীর বসিলা রোডের লাউতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কাটাসুর খালের অংশ বিশেষ ভরাট করে সেখানে মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেছে স্থানীয় কিছু দখলদার। লাউতলা এলাকার ট্রাকস্ট্যান্ড লাগোয়া একটি অস্থায়ী মসজিদ উচ্ছেদ করতে গেলে দখলদারদের রোষাণলে পড়তে হয় উত্তর সিটি মেয়র ও নগর কর্মকর্তাদের। এ সময় ঘটনাস্থলে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। উচ্ছেদ শুরু করতেই স্থানীয় একদল লোক তাদেরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পরে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
অবৈধ দখলদারদের বিনা নোটিশে উচ্ছেদ করা হবে: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অবৈধ দখলদারদের কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ করা হবে বলে সতর্ক করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। রোববার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় লাউতলা খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র আতিকুল বলেন, নকশা অনুযায়ী খালটির (লাউতলা খালের) দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যা থাকার কথা বাস্তবে তার কিছুই নেই। অবৈধভাবে দখল ও স্থাপনা নির্মাণ করে খালটির অস্তিত্বই বিলীন করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ খাল উদ্ধার করে বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, এরইমধ্যে যারা অবৈধভাবে খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে দখল ছেড়ে দিতে হবে। অন্যথায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। নগরীকে জলজট কিংবা জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্ত করতে হলে যে কোনো মূল্যে খালগুলো উদ্ধার করতেই হবে। তিনি বলেন, নগরবাসীর সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিষ্কার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি খালের দুই পাড়ের সীমানা নির্ধারণ করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাছে খালগুলো হস্তান্তরের পূর্বে দায়িত্বে থাকা ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার কারণেই খালগুলো দখল ও দূষণে বিপর্যস্ত অবস্থায় পৌঁছেছে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক এবং স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।